নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, বিএনপি মহাসচিবের জামিন হয় না। অথচ দলটি কেনো আজকে হরতাল দেয় না। এই শূন্য নেতৃত্ব দিয়ে আর কতদিন চলবে বিএনপি। ফাকাঁ বুলি দিয়ে আর কতদিন চলবে তারা। দলের মহাসচিবকে হাইকোর্ট থেকে জামিন দেয় না, আর বিএনপি বসে বসে আঙুল চুষে। উই শেইম ফর বিএনপি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে মনোনয়ন বাতিলের আপিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে ভোট করাটা চ্যালেঞ্জের কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে যে দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে, তাহলে বিএনপির সিলটা আমার ব্যবহার করাটাই অন্যায় ছিল। বিএনপির সিলটা যে আমি এতদিন ব্যবহার করেছি, এটাই তো অন্যায় করেছি। আমাকে তো ন্যূনতম সদস্যও রাখেনি। একটা গ্রামকে আমাকে অর্গানাইজ করতে দেয় নাই। আমি স্বাধীন, স্বতন্ত্র হয়ে গেছি। আমি কোথাও যায়নি। এটা কী আমার অপরাধ হলো। আমি কি বলছি, আমি বিএনপিতে আসছি।
তিনি বলেন, আমি বিএনপির বর্তমান কার্যকালাপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছি। আমি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছি। উনি দলটি যেভাবে চালাচ্ছেন সেভাবে আমাদের দলের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী আজ গৃহহারা, পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের মহাসচিবকে উচ্চ আদালত জামিন দেয় না। এরচেয়ে নির্মমতা কী থাকতে পারে। এর দায় দায়িত্ব কার। কেনো এমন একটা মামলায় আমরা জড়ালাম, যেখানে উচ্চ আদালতের সুপ্রিম েেকার্টের প্রধান বিচারপতির বাড়িতে নেতাকর্মী হামলা করবে।
তিনি আরও বলেন, কেনো আমাদের নিয়ন্ত্রণ নাই আমাদের কর্মীদের ওপরে, কী রাজনীতি করি আমরা। আমার মহাসচিবকে হাইকোর্ট থেকে জামিনিই নিলাম না। কেনো আজকে হরতাল দেওয়া হলো না, কেনো হাইকোর্টে বৃহস্পতিবার আলাদা হরতাল দেওয়া হলো না। কীসের দল করেন আপনারা, বিএনপির কথা বলেন, এর নাম বিএনপি। এই শূন্য নেতৃত্ব দিয়ে আর কতদিন চলবে বিএনপি, ফাঁকা বুলি দিয়ে আর কতদিন চলবে বিএনপি।
তিনি বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো ভদ্রলোককে উচ্চ আদালত জামিন দেয়নি। এর চেয়ে নির্মমতা আর কী হতে পারে। কেন আমরা এমন একটা কাজ করলাম যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করবে। কেন আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই কর্মীদের উপর? কী রাজনীতি করি আমরা? আজকে আমার মহাসচিব হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন না। কেন হাইকোর্টের জামিন না দেওয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দিন আলাদা হরতাল দেওয়া হলো না? কিসের দল করেন আপনারা?
মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে আখতারুজ্জামান বলেন, ইসি থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, আমি মামলা সম্পর্কে লিখিনি। এটা যদি লিখতে হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় রাঘববোয়াল সব নেতারা বাদ পড়বে। এত হাজার হাজার কেস জীবনে খেয়েছি এবং আরও খাচ্ছি। কোথাও লেখার জায়গা নেই। লেখা আছে অতীত সব মামলা। অনেক মামলায় তো নেতারা খালাস পেয়েছেন। আমরা যেসব মামলায় খালাস পেয়েছি, সেসব কেন লিখতে হবে? উনারা লিখবে না, তাহলে আমরা লিখব কেন? এটা তারা মনে হয় সঠিক করেনি।
প্রার্থিতা ফেরত পাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থিতা ফেরত পাব না কেন? পাব বলেই তো আপিল করেছি। অবশ্যই প্রত্যাশা করি পাব।