নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের অর্ধেক ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিতে আছে সম্প্রতি ‘নির্বাচন কমিশন ও ডিএমপি কমিশনের’ এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, অগণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দেশের গণতন্ত্র যখন ভাসমান- শুধু ভোটকেন্দ্র কেন? পুরো দেশটাই তখন ঝুঁকিতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে ১২ দলীয় জোটের গণসংযোগ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যখন দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অভাবে জনগণের ওপর বার বার লাশের মিছিল দৃশ্যমান হয় এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে দেশের অর্থনীতির ওপর আক্রমণ আসতে থাকে; তখন দেশের আইন-আদালত ও নির্বাচন ব্যবস্থা হয় আজ্ঞাবহ! যদি শক্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুণঃপ্রতিষ্ঠা করতে হয়, তাহলে শেখ হাসিনাকে বিদায় করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই নির্বাচন ভাগাভাগির নির্বাচন। কারণ এই ডামি নির্বাচনে কারা এমপি হবে তা ঠিক করা হয়ে গেছে। তাই এই নির্বাচনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। এখনো নির্বাচন বাতিল করার সুযোগ আছে। অবিলম্বে নির্বাচন বাতিল করে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় গণ-আন্দোলনের স্রোতে সরকার ভেসে যাবে।
তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা একজন অর্থনীতিবিদ নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান দিতে পারিনি! আমরা বিশ্ব বিবেকের কাছে লজ্জিত।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, এটা নির্বাচন নয়! নির্বাচনের নামে পুতুল খেলা চলছে। আগামী ৭ তারিখ জনগণ এই পুতুল সরকারকে ক্ষমতায় থেকে টেনে নামাতে প্রস্তুত থাকবে। জনগণের পিট দেওয়ালে ঠেকে গেছে। শেখ হাসিনার আর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নাই।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা এদেশের অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে পারিনি। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করে বলতে হয়, আজ দেশে পতাকা আছে, স্বাধীনতা নাই! সংবিধান আছে অধিকার নাই! শিল্প আছে উৎপাদন নাই! শিক্ষিত যুবক আছে, কর্মসংস্থান নাই। আমরা মানচিত্র পেয়েছি, তবে সীমান্ত অরক্ষিত। একটাই সমাধান! স্বৈরাচার হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) কাজী মো. নজরুল, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, মো. ফরিদ উদ্দিন, মিজানুর রহমান পিন্টু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, মো. লিটন, হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, রিপন মিয়া, মো. ফরহাদ, মানিক মিয়া, মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, জনি নন্দী, যুব সংহতির নিজাম উদ্দিন সরকার, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।