Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুধু পদযাত্রা নয় এটি ‘বিজয় যাত্রা’ : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পদযাত্রা নয় এটা বিএনপির জয়যাত্রা, দাবি একটাই অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। ৩৬ দলের একটাই ঘোষণা, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সরকারকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না। অবৈধ হাসিনা সরকারের অধিনে নির্বাচন নয়।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর গাবতলীতে বিএনপির সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের পদযাত্রা কর্মসূচির পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। কারণ সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকায় উপনির্বাচন নিয়ে তামাশা খেলেছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনে ড. আরাফাত নামে আওয়ামী লীগের একজন হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন। তিনি আবার আওয়ামী লীগের থিং ট্রাঙ্কের প্রধান। প্রতিদ্বন্দ্বী কে? হিরো আলম। ওই নির্বাচনেও ভোটারদের নিতে পারে নাই।

তিনি বলেন, এই দেশের মানুষ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই এখনি পদত্যাগ করতে হবে।

ফখরুল বলেন, আবারো পরিষ্কার করে বলছি অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়। কারণ গতকাল ঢাকায় একটি নির্বাচনের তামাশা দেখেছি। সেখানে আওয়ামী লীগের হ্যাভি ওয়েট একজন প্রার্থী হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হিরো আলম। সেখানে দেখলাম ভোটকেন্দ্রে কোন ভোটার নাই। হিরো আলম কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয় তার সঙ্গে ভোট করতে যেয়ে তাকে মেরে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। পুলিশ প্রশাসন সেটি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন।

তিনি বলেন, ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচন দেখলাম। একদিকে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট থিংক ট্যাংক বিপরীতে হিরো আলম। খালি ভোটকেন্দ্র, কোথাও ভোটার উপস্থিতি নাই। নির্বাচন কমিশন একটা পঙ্গু। একটা ভোট পড়লে টেলিভিশন লাইভ করে, এটা লজ্জার।

মির্জা ফখরুল বলেন, হিরো আলম রাজনৈতিক ব্যক্তি নয় তাকেও পেটানো হলো। তামাশা করে কোন লাভ হবে না। ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ করিয়েছেন, ২০১৮ সালে রাতে ভোট করেছেন। এই ধরনের ভোটার হতে দেয়া হবে না। এখন দেশের মানুষের পকেট খালি করছেন আর কর বাড়াচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন একেবারে পুঙ্গু, অথর্ব ও দলদাস। তাদের হিসাব অনুযায়ী মাত্র ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। আমরা টেলিভিশনে দেখলাম কোথাও ভোটার নেই। ৫ ঘণ্টা পর একটা ভোটার আসছে তাকে নিয়ে লাফালাফি।

আজকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এই আন্দোলনের মাধ্যমে এক দফা দাবি আদায় করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অসৎ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার অসৎ ব্যবসায়ীদের সরকার। চারিদিকে লুট-পাট হচ্ছে অথচ দেশের জনগণ কষ্টে আছে। সিঙ্গাপুর ও আমেরিকায় বাড়ি বানায় অসৎ ব্যবসায়ীরা। সরকার গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়েছে। অবিলম্বে পদত্যাগ করেন।

তিনি আরও বলেন, তোমরা যখন নিরপেক্ষ সরকারের চেয়েছিলে ক্ষমতায় এসেছিল তখন খুব মজা লাগছিল এখন কেন নয়।

ডেঙ্গু রোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ডেঙ্গু ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। অথচ উত্তরের মেয়র বিদেশে ঘুরছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবকাশযাপন করতে বিদেশে গেছেন।

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টার পর রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পদযাত্রা করছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আমান উল্লাহ আমান। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব আমিনুল হক। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

এদিকে একই দাবিতে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশ করছে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশ শেষে তারা সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু করে জাতীয় প্রেস ক্লাবে পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। এছাড়া রাজধানীর বিজয় নগর মোড় থেকে বিকেল ৩টায় পদযাত্রা করবে ১২ দলীয় জোট।

বিএনপি জানিয়েছে, আজকের পদযাত্রাটি গাবতলী এলাকা থেকে শ্যামলী হয়ে আগারগাঁও, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, এফডিসি, মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক মোড়, দয়াগঞ্জ হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

শুধু পদযাত্রা নয় এটি ‘বিজয় যাত্রা’ : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পদযাত্রা নয় এটা বিএনপির জয়যাত্রা, দাবি একটাই অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। ৩৬ দলের একটাই ঘোষণা, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সরকারকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না। অবৈধ হাসিনা সরকারের অধিনে নির্বাচন নয়।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর গাবতলীতে বিএনপির সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের পদযাত্রা কর্মসূচির পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। কারণ সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকায় উপনির্বাচন নিয়ে তামাশা খেলেছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনে ড. আরাফাত নামে আওয়ামী লীগের একজন হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন। তিনি আবার আওয়ামী লীগের থিং ট্রাঙ্কের প্রধান। প্রতিদ্বন্দ্বী কে? হিরো আলম। ওই নির্বাচনেও ভোটারদের নিতে পারে নাই।

তিনি বলেন, এই দেশের মানুষ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই এখনি পদত্যাগ করতে হবে।

ফখরুল বলেন, আবারো পরিষ্কার করে বলছি অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়। কারণ গতকাল ঢাকায় একটি নির্বাচনের তামাশা দেখেছি। সেখানে আওয়ামী লীগের হ্যাভি ওয়েট একজন প্রার্থী হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হিরো আলম। সেখানে দেখলাম ভোটকেন্দ্রে কোন ভোটার নাই। হিরো আলম কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয় তার সঙ্গে ভোট করতে যেয়ে তাকে মেরে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। পুলিশ প্রশাসন সেটি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন।

তিনি বলেন, ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচন দেখলাম। একদিকে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট থিংক ট্যাংক বিপরীতে হিরো আলম। খালি ভোটকেন্দ্র, কোথাও ভোটার উপস্থিতি নাই। নির্বাচন কমিশন একটা পঙ্গু। একটা ভোট পড়লে টেলিভিশন লাইভ করে, এটা লজ্জার।

মির্জা ফখরুল বলেন, হিরো আলম রাজনৈতিক ব্যক্তি নয় তাকেও পেটানো হলো। তামাশা করে কোন লাভ হবে না। ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ করিয়েছেন, ২০১৮ সালে রাতে ভোট করেছেন। এই ধরনের ভোটার হতে দেয়া হবে না। এখন দেশের মানুষের পকেট খালি করছেন আর কর বাড়াচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন একেবারে পুঙ্গু, অথর্ব ও দলদাস। তাদের হিসাব অনুযায়ী মাত্র ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। আমরা টেলিভিশনে দেখলাম কোথাও ভোটার নেই। ৫ ঘণ্টা পর একটা ভোটার আসছে তাকে নিয়ে লাফালাফি।

আজকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এই আন্দোলনের মাধ্যমে এক দফা দাবি আদায় করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অসৎ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার অসৎ ব্যবসায়ীদের সরকার। চারিদিকে লুট-পাট হচ্ছে অথচ দেশের জনগণ কষ্টে আছে। সিঙ্গাপুর ও আমেরিকায় বাড়ি বানায় অসৎ ব্যবসায়ীরা। সরকার গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়েছে। অবিলম্বে পদত্যাগ করেন।

তিনি আরও বলেন, তোমরা যখন নিরপেক্ষ সরকারের চেয়েছিলে ক্ষমতায় এসেছিল তখন খুব মজা লাগছিল এখন কেন নয়।

ডেঙ্গু রোগে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ডেঙ্গু ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। অথচ উত্তরের মেয়র বিদেশে ঘুরছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবকাশযাপন করতে বিদেশে গেছেন।

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসহ এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টার পর রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পদযাত্রা করছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আমান উল্লাহ আমান। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব আমিনুল হক। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

এদিকে একই দাবিতে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশ করছে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশ শেষে তারা সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু করে জাতীয় প্রেস ক্লাবে পর্যন্ত পদযাত্রা করবে। এছাড়া রাজধানীর বিজয় নগর মোড় থেকে বিকেল ৩টায় পদযাত্রা করবে ১২ দলীয় জোট।

বিএনপি জানিয়েছে, আজকের পদযাত্রাটি গাবতলী এলাকা থেকে শ্যামলী হয়ে আগারগাঁও, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, এফডিসি, মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক মোড়, দয়াগঞ্জ হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হবে।