এক শিশু হত্যা মামলায় আপস করে আসামির জামিন আবেদন করার ঘটনায় মামলার বাদী শিশুর বাবাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শিশুর বাবা খছরু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে গ্রেফতার করতে বলেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) এ মামলার এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এ সময় তার জামিন আবেদনটিও সরাসরি খারিজ করে দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আল আমীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান খান শাহীন।
পরে আইনজীবী ড. বশির উল্লাহ বলেন, সিলেটের বিয়ানীবাজর থানার উত্তর আকাখাজনা গ্রামে সুরমা বেগম, তার দেবর নাহিদ ইসলাম ইব্রাহিমের এ দুজনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। তাদের অপকর্মের ঘটনাটি সাহেল আহমেদ ওরফে সোহেল শিশুটি দেখে ফেলে। ঘটনাটি দেখে ফেলায় তারা শিশুটিকে হত্যা করে লাশটি কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে গোসলখানায় ড্রামের মধ্যে ভরে রাখে। পরবর্তীতে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনাটার পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটির বাবা বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় সুরমা বেগম ও নাহিদ ইসলাম ইব্রাহীম গ্রেফতার হয়। এরমধ্যে নাহিদ ইসলাম নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় মামলার বাদী শিশুটির বাবা একটি আবেদন দেন এই মর্মে যে তাকে জামিন দিলে তাদের আপত্তি নাই। তারপরও নিম্ন আদালত নাহিদ ইসলামকে জামিন দেননি।
সেখানে জামিন না পেয়ে নাহিদ ইসলাম হাইকোর্টে আবেদন করেন। তার আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি দেখে ক্ষুব্ধ হন।
এ কারণে আদালত তার জামিন আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়ে বিয়ানীবাজার থানাকে মামলার বাদী শিশুর বাবা খসরু মিয়াকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ধারায় মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।