Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশু ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি : 

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় শিশু ধর্ষণ মামলায় তরিকুল জোয়ারদার (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

বুধবার (৬ মার্চ) সকালে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত তরিকুল ইসলাম উপজেলার ক্ষুদ্র রয়েড়া গ্রামের মৃত মেনদায় জোয়ার্দ্দারের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ৭ ফেব্রয়ারি আনুমানিক বিকেল ৫টায় ভিকটিম (৫) বাড়িতে খেলা করছিল। তখন আসামি তরিকুল জোয়ার্দার ভাইয়ের বাড়িতে এসে দেখে বাড়িতে আর কেউ নেই। সেই সুযোগে আসামি ভিকটিমকে তাদের বসত বাড়ির উত্তর কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের আত্মচিৎকারে তার ভাইয়ের বউ বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। সে সময় টের পেয়ে আসামি মো. তরিকুল জোয়ার্দার ভিকটিমকে ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর ভিকটিমের মা তার মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে উপস্থিত সাক্ষী (১) জহুরুল (০২) ঠান্ডু (০৩) সাইফুল (০৪) রেহেনা খাতুনকে সব খুলে বলে। এরপর ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মামলা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় প্রদান করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের নেতৃত্বের সুযোগ এসেছে : শিল্প উপদেষ্টা

শিশু ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৪:১১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি : 

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় শিশু ধর্ষণ মামলায় তরিকুল জোয়ারদার (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

বুধবার (৬ মার্চ) সকালে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত তরিকুল ইসলাম উপজেলার ক্ষুদ্র রয়েড়া গ্রামের মৃত মেনদায় জোয়ার্দ্দারের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ৭ ফেব্রয়ারি আনুমানিক বিকেল ৫টায় ভিকটিম (৫) বাড়িতে খেলা করছিল। তখন আসামি তরিকুল জোয়ার্দার ভাইয়ের বাড়িতে এসে দেখে বাড়িতে আর কেউ নেই। সেই সুযোগে আসামি ভিকটিমকে তাদের বসত বাড়ির উত্তর কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের আত্মচিৎকারে তার ভাইয়ের বউ বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। সে সময় টের পেয়ে আসামি মো. তরিকুল জোয়ার্দার ভিকটিমকে ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর ভিকটিমের মা তার মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে উপস্থিত সাক্ষী (১) জহুরুল (০২) ঠান্ডু (০৩) সাইফুল (০৪) রেহেনা খাতুনকে সব খুলে বলে। এরপর ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মামলা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় প্রদান করেন।