বয়স মাত্র ছয়, কিন্তু ইউটিউবে প্রতি ভিডিওতে গড়ে তার আয় প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ ডলার। ফোর্বসের ২০২০ সালের সর্বাধিক উপার্জনকারী ইউটিউবারদের সম্মিলিত তালিকায় ৬ বছর বয়সী এই রাশিয়ান শিশু ছিল সাত নম্বরে। তার উপার্জনের ১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার।
এখনকার শিশুরা কেবল রূপকথার গল্প আর ছড়ার ভিডিওই দেখে না। পাশাপাশি তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে শিশুদের উপযোগী কিছু চ্যানেল, যেখানে তাদেরই সমবয়সী ইউটিউবাররা নানা ধরনের খেলা, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ, ক্র্যাফটিং, শিক্ষামূলক ও বিনোদনমূলক ভিডিও প্রকাশ করে। আর এতে বিনোদনের পাশাপাশি আয়টাও নেহায়েত কম নয়!
শিশু ইউটিউবারদের প্রসঙ্গ আসলেই আসলেই চলে আসে রায়ান কাজির নাম। বেশ কয়েকবছর ধরেই বেশি উপার্জনকারী শিশুদের তালিকায় থাকে তার নাম। তবে এখন শুধু শিশু ইউটিউবার নয়, ফোর্বসের সম্মিলিত তালিকাতেও ২০২০ সালের সর্বাধিক আয় করা ইউটিউবার সে, আয় ২ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। মাত্র নয় বছর বয়সী রায়ান কাজি ২০১৫ সাল থেকে ইউটিউবে নতুন খেলনার মোড়ক উন্মোচন নিয়ে ভিডিও প্রকাশ করে আসছে।
এছাড়াও তার চ্যানেলে রয়েছে আর্ট ও ক্র্যাফট, মিউজিক ভিডিও, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা, বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ নিয়ে নানারকম ভিডিও। রায়ান নিকেলোডিওনের মতো ঐতিহ্যবাহী টিভি চ্যানেলগুলোতেও একশটিরও বেশি খেলনা, পোশাকের আইটেম ও অন্যান্য পণ্যে নিয়ে কাজ করেছে। রায়ান’স ওয়ার্ল্ড চ্যানেলে ২ কোটি ৮৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে।
ফোর্বস অনুযায়ী, রায়ান ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আয় করেছে ১ কোটি ১০ লাখ ডলার। সর্বাধিক আয় করা ইউটিউবারদের মধ্যে তিনি ছিলেন অষ্টম। এরপর ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালে তার চ্যানেলটি আয় করে যথাক্রমে ২ কোটি ২০ লাখ ও ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সেসময় এ ইউটিউবারকে সর্বাধিক আয়ের ইউটিউবার হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।
বয়স মাত্র ছয়, কিন্তু ইউটিউবে প্রতি ভিডিওতে গড়ে তার আয় প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ ডলার। ফোর্বসের ২০২০ সালের সর্বাধিক উপার্জনকারী ইউটিউবারদের সম্মিলিত তালিকায় ৬ বছর বয়সী এই রাশিয়ান শিশু ছিল সাত নম্বরে। তার উপার্জনের ১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার।
ন্যাস্তিয়ার ছয়টি ভিন্ন চ্যানেল রয়েছে। এর মধ্যে কেবল ‘লাইক ন্যাস্তিয়া’তেই সাবস্ক্রাইবার রয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ। ছয়টি চ্যানেলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘মাই লিটল ন্যাস্তিয়া’তে সাবস্ক্রাইবার রয়েছে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার। চ্যানেলটি যখন প্রথম খোলা হয় তখন এর মূল ফোকাস ছিল সেরেব্রাল পালসি রয়েছে এমন ইউটিউবারদের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কাজ করা।তবে এখন ন্যাস্তি তার বাবার সঙ্গে শেখা ও খেলা নিয়ে নানারকম ভিডিও আপলোড করছে।
রাশিয়ান দুই ভাই ভ্লাদ ও নিকিতা। ক্ষুদে দুই ভাই মিলে ইউটিউবে অন্য অনেকের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করে চলেছে। তাদের ইউটিউব চ্যানেল ভ্লাদ অ্যান্ড নিকি সক্রিয় রয়েছে দুই বছর ধরে। ছয় এবং চার বছর বয়সী দুই ভাইয়ের ইউটিউব চ্যানেলের অনুসরণকারী রয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখের বেশি। তাদের চ্যানেলে রয়েছে নতুন খেলনার প্যাকেট খোলা, গল্প বলা এবং খেলা বিষয়ক ভিডিও। জানা যায়, এখন পর্যন্ত তারা ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য ৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বেশি আয় করেছে। ২০২০ সালের জুন মাসের হিসেবে তাদের আয় ছিল ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউটিউব চ্যানেল কিডস ডিয়ানা শো প্রতি ভিডিওতে আয় করছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ ডলাল। চ্যানেলটি ডিয়ানা নামের ৬ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় শিশু দ্বারা পরিচালিত। ডিয়ানা তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার খেলার ভিডিওগুলো আপলোড করে। চ্যানেলটির সাবস্ক্রাইবার ৭ কোটি ৪৪ লাখ।
ইংরেজ বংশোদ্ভূত গেব্রিয়েলা ও অ্যালেক্সের চ্যালেটি ইউটিউবে সবচেয়ে শিশুবান্ধব চ্যানেল। গ্যাবি ও অ্যালেক্স নামের চ্যানেলটি রয়েছে বিভিন্ন রকম খেলনা দিয়ে খেলা, আনন্দ করা, শিক্ষা বিষয়ক মজাদার সব ভিডিও। তাদের চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১ কোটি ৭০ লাখ। গত বছর এসব ভিডিও দ্বারা তাদের আয় হয় ১০ লাখ পাউন্ড।
ব্রিটিশ যমজ বোন মিলা ও এমা স্টাফার। ধারণা করা হয় মিলা ও এমা এখন প্রায় ৯ লাখ ৬০ হাজার ডলারেরও বেশি সম্পদের অধিকারী। মূলত, তারা নিজেদের ভবিষ্যতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করার পরই প্রথম নিটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
ভিডিওটি চার লক্ষেরও বেশি ভিউ হওয়ার পর অ্যামাজন তাদের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনের চুক্তি করে। কেটি স্টাফার চ্যানেলে মিলা ও এমার রয়েছে ৭ লাখ ১২ হাজার সাবস্ক্রাইবার।