বিনোদন ডেস্ক :
দেশের কিংবা বিদেশের শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকাই নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। দেশের অনেক তারকা রাজনীতিতে যোগ দিয়ে হয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত। তবে রাজনীতিতে শিল্পীদের জড়ানোর বিপক্ষে নগর বাউল’খ্যাত ব্যান্ড তারকা জেমস। আর তাই সবসময় নিজেকে রাজনীতির বাইরে রেখেছেন এই রকস্টার।
সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেমসের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, দেশ-বিদেশের অনেক শিল্পী রাজনীতিতে জড়িয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু আপনাকে সবসময় রাজনীতি থেকে দূরে দেখা গেছে, বিষয়গুলো নিয়ে কখনো কথাও বলতে চাননি। রাজনীতি নিয়ে আপনার জীবনদর্শন কী?
উত্তরে জেমস বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী, শিল্পীরা রাজনীতিসচেতন হতে পারেন, কিন্তু তাদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করি না। আর যদি রাজনীতিই করতে হয়, সব ছেড়ে ফুলটাইম রাজনীতি করা উচিত। ’
রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন কি-না জানতে চাইলে জনপ্রিয় এই ব্যান্ড তারকা বলেন, ‘ও আসেই। জীবনে অনেক এসেছে। ’
অসংখ্যা দর্শকপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে দীর্ঘদিন ধরেই নতুন গানের দেখা পাচ্ছে না দর্শকরা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন গান নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। কিছু গানের কাজ চলছে। হঠাৎ করে দেখবে যে গান চলে এসেছে। এরপর থেকে গান আসতেই থাকবে, আসতেই থাকবে।
সবশেষ বর্তমান সময়ের ব্যস্ততা নিয়ে তিনি জানান, দেশে এবং দেশের বাইরে বেশ কিছু আয়োজন রয়েছে। আগামী মাসে সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে দাম্মাম আর জেদ্দায় যাচ্ছেন। সেখানে ২ ও ৯ মে গান শোনাবেন। এরপর লম্বা সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁয় জন্ম জেমসের। জেমসের ছোট ভাই রুশো এখনো আছেন নওগাঁয়, দেখাশোনা করেন পারিবারিক ব্যবসা। ভক্তরা জানেন, জেমস বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। তার পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম। জেমস নামটি রেখেছিলেন তার বাবা মোজাম্মেল হক। তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। আর মা জাহানারা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। জেমসের তিন সন্তান—ছেলে দানেশ, মেয়ে জান্নাত ও জাহান।