শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে বিআইব্লিউটিএ’র ড্রেজিং কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নৌরুটের লৌহজং টার্নিং চ্যানেল চালু করতে সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ দিন ৯টি ড্রেজার দিয়ে দিনরাত ড্রেজিং করলেও সেতু পয়েন্টে অপসারণ করা পলিমাটি পাশেই ফেলা হচ্ছে। এতে লৌহজং টার্নিং চ্যানেল আবারও পলিমাটিতে ভরে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিআইডব্লিউটিসি, লঞ্চচালক ও ঘাটসংশ্লিষ্টরা।
বিআইডব্লিউটিএ’র এমন ড্রেজিং কার্যক্রম দেখে বিস্মিত ঘাট ব্যবহারকারীরা। তারা বলেন, ড্রেজিংয়ে কোটি কোটি টাকা অর্থ ব্যয় করা হলেও দীর্ঘদিনেও ফেরি চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠেনি নৌ-চ্যানেল, উল্টো ড্রেজিং কার্যক্রমই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। আর বিআইডব্লিউটিএ’র কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা নাব্যসংকট নিরসনে ড্রেজিং অব্যাহত রেখেছে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিং কাজ অব্যাহত থাকলেও নাব্যসংকট নিরসন না হওয়ায় রো রো ফেরি ও ডাম্প ফেরিগুলো চলাচল করতে পারছে না। এমনকি ছোট ছোট চার থেকে ছয়টি ফেরি চালু রেখে নৌরুট সচল রাখলেও সেগুলো চলছে নদীর তলদেশ ঘেঁষে। বাকি ফেরিগুলো অলস সময় কাটাচ্ছে ঘাটের অদূরেই নোঙরে থেকে।
আরও পড়ুন : শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ফেরি চলাচল সহসা স্বাভাবিক হচ্ছে না
শিমুলিয়া ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, গত জুন মাস থেকে চার মাস পর্যবেক্ষণের পর বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে চলাচলরত ফেরির একাধিক চালক, বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা ও লঞ্চচালকরা। তারা জানান, চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না সিনোহাইড্রোর ড্রেজিংয়ে কাটা পলিমাটি পদ্মা চরের মাঝে ফেলার কারণে সেগুলো নদীর পানিতে মিশতে সুযোগ পায় না। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজারগুলো যেখানে ড্রেজিং করছে, তার পাশেই ফেলছে পলিমাটি। ফলে আবারও পলি জমে চ্যানেলে নাব্যসংকট দেখা দিচ্ছে।
বিআইব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মজনু মিয়া জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের নাব্যসংকট নিরসনে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নৌ-চ্যানেলে ৩৩ লাখ ঘনমিটার পলিমাটি অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ড্রেজিং কাজ চলছে। লৌহজং টার্নিং চ্যানেলটি এখন ব্যবহারের সম্ভাবনা নেই। তাই ড্রেজিংয়ের বালি সাময়িক সময়ের জন্য এখানে ফেলা হচ্ছে।