নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল-আদমজী-চাষাঢ়া সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের কয়েকটি স্থানে খানাখন্দ হয়ে বেহাল দশা। সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ ঢালাই উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে যাতায়াত করছে মানুষজন।
সড়কটি দিয়ে শিমরাইলের চিটাগাং রোড থেকে চাষাঢ়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এ সড়কের পাশেই আদমজী ইপিজেড, র্যাব-১১-এর প্রধান কার্যালয়, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেলের ডিপোসহ বিভিন্ন শিল্প ও কলকারখানা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকসহ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনকে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরা। এসব খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। এ বেহাল সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করছে। গাড়ি গর্তে পড়লে যাত্রীরা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খান। অন্যদিকে হেলেদুলে চলছে গাড়ি। চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা। সড়কের এই বেহালের কারণে যানবাহনও চলছে ধীরগতিতে। তাই ব্যস্ত এ সড়কে সব সময় যানজট লেগেই থাকে।
নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। শিল্পনগরী এ অঞ্চলের মানুষের চলাফেরার অন্যতম মাধ্যম আদমজী-চাষাঢ়া সড়ক। তবে সড়কের বেহাল দশা হলেও সংস্কারের কোনো তাগিদ নেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের।
এ সড়কে নিয়মিত অটোরিকশা চালান পাপুল মিয়া। তিনি জানান, দীর্ঘদিন সড়কের এমন অবস্থা। প্রায় সময় গর্তের কারণে চালকরা ধীরগতিতে যানবাহন চালান। ফলে তীব্র যানজটে পড়তে হয় তাদের। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে।
লরী চালক রহমান আলী বলেন, আমরা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে গাড়ি নিয়ে আসা-যাওয়া করি। সড়কের মধ্যে অনেক বড় বড় গর্তের কারণে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। একদিকে গর্ত, অপরদিকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে আছি। যত দ্রুত সড়কের কাজ হবে ততই আমাদের জন্য উপকার।
নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলেন, প্রতিদিন এ সড়ক ব্যবহার করে আমাদের কলেজে যাতায়াত করতে হয়। সড়কের এমন খানাখন্দের ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকি। বিশেষ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সামনের অংশে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সড়টি সংস্কার করলে ভালো হয়।
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, সড়কটির আদমজী ইপিজেডের পরের অংশে খানাখন্দ বেশি হয়েছে। সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।