Dhaka বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিগগিরই প্রতিটি আসনে একক প্রার্থীর সবুজ সংকেত দেবে বিএনপি : সালাহউদ্দিন আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই প্রতিটি আসনে একক প্রার্থী হিসেবে ‘গ্রীণ সিগন্যাল’ দেয়া হবে। পাশাপাশি দেশব্যাপী নির্বাচনকেন্দ্রিক গণসংযোগ কার্যক্রমও জোরদার করা হবে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) গুলশানে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক, উদার নৈতিক রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জনের মতো প্রার্থী আছে। এখন আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছি। খুব শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেবো। তবে সেটি অফিশিয়াল হবে তফসিল ঘোষণার পরে।

তিনি বলেন, জরুরি কিছু ব্যতীত এমন কোনো বিষয় সামনে আনা উচিত হবে না, যা জাতীয় জীবনে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে মনোনয়ন দেয়া হবে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তার পক্ষেই কাজ করবে। নির্বাচনকেন্দ্রিক জনসংযোগ নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই চালানো হবে। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ২৫০ আসন ছাড়লে সেটা তাদের একান্ত ব্যাপার। তবে বিএনপি কত আসন ছাড়বে তা আলোচনা ও বিবেচনার বিষয়।

সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে সংসদে যাবে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অসাংবিধানিক বা অবৈধ কোনো প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হলে জাতি নতুন সংকটে পড়বে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব গণতান্ত্রিক ধারায় দেশকে এগিয়ে নেয়া এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা।

গণতন্ত্র রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের প্রশ্নে এক থাকবে।

কোনো নির্বাহী আদেশে নয়, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ভাগ্য নির্ধারণ হবে বলে জানিয়ে সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করতে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। তবে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী নয় বিএনপি। এ বিষয়ে যা হবে তা বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, গণহত্যা চালানোর পরও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা দিল্লিতে বসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।’ তিনি বলেন, সরকারের উচিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইসিটি কোর্টে মামলা করা।

প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে মানুষ পাঁচ বছর চায়, এমন কথা উত্থাপন না করলেও পারতেন প্রধান উপদেষ্টা।

আবহাওয়া

শিগগিরই প্রতিটি আসনে একক প্রার্থীর সবুজ সংকেত দেবে বিএনপি : সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই প্রতিটি আসনে একক প্রার্থী হিসেবে ‘গ্রীণ সিগন্যাল’ দেয়া হবে। পাশাপাশি দেশব্যাপী নির্বাচনকেন্দ্রিক গণসংযোগ কার্যক্রমও জোরদার করা হবে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) গুলশানে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক, উদার নৈতিক রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জনের মতো প্রার্থী আছে। এখন আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছি। খুব শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেবো। তবে সেটি অফিশিয়াল হবে তফসিল ঘোষণার পরে।

তিনি বলেন, জরুরি কিছু ব্যতীত এমন কোনো বিষয় সামনে আনা উচিত হবে না, যা জাতীয় জীবনে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে মনোনয়ন দেয়া হবে। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তার পক্ষেই কাজ করবে। নির্বাচনকেন্দ্রিক জনসংযোগ নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই চালানো হবে। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ২৫০ আসন ছাড়লে সেটা তাদের একান্ত ব্যাপার। তবে বিএনপি কত আসন ছাড়বে তা আলোচনা ও বিবেচনার বিষয়।

সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে সংসদে যাবে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অসাংবিধানিক বা অবৈধ কোনো প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হলে জাতি নতুন সংকটে পড়বে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব গণতান্ত্রিক ধারায় দেশকে এগিয়ে নেয়া এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা।

গণতন্ত্র রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের প্রশ্নে এক থাকবে।

কোনো নির্বাহী আদেশে নয়, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ভাগ্য নির্ধারণ হবে বলে জানিয়ে সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করতে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। তবে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী নয় বিএনপি। এ বিষয়ে যা হবে তা বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, গণহত্যা চালানোর পরও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা দিল্লিতে বসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।’ তিনি বলেন, সরকারের উচিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইসিটি কোর্টে মামলা করা।

প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে মানুষ পাঁচ বছর চায়, এমন কথা উত্থাপন না করলেও পারতেন প্রধান উপদেষ্টা।