Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়

শিক্ষার মানোন্নয়ন হলে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ওপর অনেকগুলো ঝড়ঝাপটা গিয়েছে। কোভিডে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেক বাচ্চারা চলে গেছে। প্রাথমিকে যে কারিকুলাম চালু হয়েছে, সেটা অভিভাবকরা গ্রহণ করেননি। সামগ্রিক অবস্থা মিলে প্রাথমিক শিক্ষার মানের অবনতি ঘটেছে। আমরা চেষ্টা করছি, সে মানের উন্নয়ন করতে। আশাকরি শিক্ষার মানের উন্নয়ন ঘটলে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরো বাড়বে।

শনিবার (৩ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন আয়োজিত আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেকগুলো লাভ হয়। শিশুরা টিমওয়ার্ক শিখে। তারা যুক্তিচর্চা শিখে। এগুলো করতে গিয়ে তার নিজের চর্চা বাড়ে। কথা বলার দক্ষতা বাড়ে, সাহস বাড়ে এবং তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে তাদের পড়ালেখার আগ্রহ বাড়ে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা বাচ্চাদের শিক্ষার উন্নতিতে সহায়তা করে। এটা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

প্রাথমিকে যে কারিকুলাম চালু হয়েছে, সেটা অভিভাবকরা গ্রহণ করেননি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ওপর অনেকগুলো ঝড়ঝাপটা গেছে। কোভিডের সময় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেক বাচ্চা চলে গেছে। এ ছাড়া প্রাথমিকে যে কারিকুলাম চালু হয়েছে, সেটা অভিভাবকরা গ্রহণ করেননি।

সামগ্রিক অবস্থা মিলে প্রাথমিক শিক্ষার মানের অবনতি ঘটেছে জানিয়ে বিধান রঞ্জন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, শিক্ষার মানের উন্নয়ন করতে। আশা করি শিক্ষার মানের উন্নয়ন ঘটলে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।

লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা প্রমুখ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বিকেলে শহরের টাউন হল মিলনায়তনে সদর উপজেলাধীন ২৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ হাজার গরিব, অসহায়, মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে শিখন সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়

শিক্ষার মানোন্নয়ন হলে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ওপর অনেকগুলো ঝড়ঝাপটা গিয়েছে। কোভিডে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেক বাচ্চারা চলে গেছে। প্রাথমিকে যে কারিকুলাম চালু হয়েছে, সেটা অভিভাবকরা গ্রহণ করেননি। সামগ্রিক অবস্থা মিলে প্রাথমিক শিক্ষার মানের অবনতি ঘটেছে। আমরা চেষ্টা করছি, সে মানের উন্নয়ন করতে। আশাকরি শিক্ষার মানের উন্নয়ন ঘটলে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরো বাড়বে।

শনিবার (৩ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন আয়োজিত আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেকগুলো লাভ হয়। শিশুরা টিমওয়ার্ক শিখে। তারা যুক্তিচর্চা শিখে। এগুলো করতে গিয়ে তার নিজের চর্চা বাড়ে। কথা বলার দক্ষতা বাড়ে, সাহস বাড়ে এবং তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে তাদের পড়ালেখার আগ্রহ বাড়ে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা বাচ্চাদের শিক্ষার উন্নতিতে সহায়তা করে। এটা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

প্রাথমিকে যে কারিকুলাম চালু হয়েছে, সেটা অভিভাবকরা গ্রহণ করেননি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ওপর অনেকগুলো ঝড়ঝাপটা গেছে। কোভিডের সময় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেক বাচ্চা চলে গেছে। এ ছাড়া প্রাথমিকে যে কারিকুলাম চালু হয়েছে, সেটা অভিভাবকরা গ্রহণ করেননি।

সামগ্রিক অবস্থা মিলে প্রাথমিক শিক্ষার মানের অবনতি ঘটেছে জানিয়ে বিধান রঞ্জন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, শিক্ষার মানের উন্নয়ন করতে। আশা করি শিক্ষার মানের উন্নয়ন ঘটলে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।

লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা প্রমুখ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বিকেলে শহরের টাউন হল মিলনায়তনে সদর উপজেলাধীন ২৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ হাজার গরিব, অসহায়, মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে শিখন সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।