সিলেট জেলা প্রতিনিধি :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার ( ২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটে হজরত শাহজালালের (র.) মাজার জিয়ারত করেন তিনি। এরপর শেখ হাসিনা হজরত শাহ পরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করবেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৬০১ এর একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এরপর তিনি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে পৌঁছে জিয়ারত করেন।
হজরত শাহজালাল (রা) এর মাজারে নারীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে শেখ হাসিনা বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। সেখানে তিনি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন এবং বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নারী নেত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন।
পুরুষদের জন্য আলাদা স্থানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় এবং সিলেটের নেতারা হজরত শাহজালাল (রা.) এর মাজার জিয়ারত করেন।
দুপুরে সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জ্বালাও পোড়াও করবে জনগণ তাদের উৎখাত করবে। এদের বিরুদ্ধে সরকারও কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না। মানুষ কিন্তু ভোটের পক্ষে, মানুষ নির্বাচনের পক্ষে। মানুষতো তাদের হরতালে সাড়া দিচ্ছে না, মানুষ বরং ভোটের মিছিলে যোগ দিচ্ছে। তারপরেও কেন এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড? সেটাই আমার প্রশ্ন। দেশের মানুষ হরতাল চায় না, ভোট দিতে চায়।
সরকারপ্রধান বলেন, যারা নির্বাচন করবে না, করবে না। কিন্তু আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা, জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করা, এগুলো সন্ত্রাসী কাজ, জঙ্গিবাদী কাজ। আর এগুলো করে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।
মানুষ মেরে ভীতি সৃষ্টি করে তারা কি করতে চায়- প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, লন্ডনে বসে একজন হুকুম দেয়, আর তার লোকজন দেশে আগুন দেয়। এসব করে কিছুই হবে না। তারা কোন দিন সফল হবে না। এ ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে জনগণকে দাবায়ে রাখতে পারবে না।
নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি জামায়াত জঙ্গিবাদী কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। যারা জনগণকে ভোট দিতে বাধা দেবে, মানুষ তাদের উৎখাত করবে। মানুষ ভোটের পক্ষে, তারা হরতাল চায় না। বিএনপির হরতালে মানুষ সাড়াও দিচ্ছে না।
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসলে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।
এর আগে তিনি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
বিকেলে সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ প্রধান এবং ওই জনসভা থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আশপাশের এলাকা, চৌহাট্টা, রিকাবীবাজারসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের জড়ো হতে দেখা গেছে।