Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন ৭ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শনিবার (৭ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় এই তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সফট ওপেনিং করবেন। এখন পর্যন্ত টার্মিনালের ৮২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী সফট ওপেনিং করবেন। সফট উদ্বোধনের আগে প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য এবং সফট ওপেনিংকে সামনে রেখে গত সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ১১ থেকে ১২ হাজার শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছেন। এখানে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে এখন। নির্মাণাধীন এই টার্মিনালের ফিচারগুলো অত্যন্ত অত্যাধুনিক। টার্মিনালটি যখন যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে, এর ডিজাইন এবং সেবা দেখে তাদের মন আনন্দে ভরে উঠবে।

তিনি আরো বলেন, নতুন এই টার্মিনাল নির্মাণ হলে যাত্রী সেবা দেওয়ার ধারণক্ষমতা প্রতি বছর ১৬ মিলিয়নে পৌঁছাবে। আর আমরা যদি আগের টার্মিনালটা ধরি তাহলে ধারণক্ষমতা পৌঁছাবে ২৪ মিলিয়নে।

উদ্বোধনের কতদিন পর যাত্রীরা টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মফিদুর রহমান বলেন, উদ্বোধনের দিন একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট এখান থেকে পরিচালনা করা হবে। তবে আগামী বছরের শেষের দিকে যাত্রীরা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবেন। নির্মাণ কাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর যাত্রীদের ব্যবহার করতে দেওয়ার আন্তর্জাতিক নিয়ম নেই।

তিনি বলেন, এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের এপ্রিলে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই আমরা চলতি বছরে কাজ শেষ করেছি। বাকি সময়ের মধ্যে বিমানবন্দর পরিচালনায় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সফট ওপেনিং এরপর এখানে আর কী কী কাজ চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, সফট ওপেনিংয়ের পর আমাদের কিছু বর্ধিত কাজ এখানে চলবে। তাছাড়া ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, লাগেজ হ্যান্ডলিং, লিফট ও এসকেলেটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ইনস্টল করতে হবে এবং পরীক্ষা করতে হবে। সফট ওপেনিংয়ের পর সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনসহ নানা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এর আগে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানিয়েছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ২০২৩ সালের অক্টোবরে উদ্বোধন করা হবে।

দেশের প্রধান বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে আরও সাত হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের আকার দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির নির্মাণ শুরু হয়। খরচের বেশির ভাগ আসছে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার কাছ থেকে। সংস্থাটি ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বাকি পাঁচ হাজার ২৫৮ কোটি তিন লাখ ৮৮ হাজার টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

শাহজালালে বর্তমানে দুটি টার্মিনাল রয়েছে। এই দুই টার্মিনালের আয়তন এক লাখ বর্গমিটার। তৃতীয় যে টার্মিনালটি হচ্ছে, সেটির আকার বর্তমান দুটি টার্মিনালের দ্বিগুণের বেশি। দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তন হবে নতুন টার্মিনালের।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন ৭ অক্টোবর

প্রকাশের সময় : ০২:৩১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শনিবার (৭ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় এই তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সফট ওপেনিং করবেন। এখন পর্যন্ত টার্মিনালের ৮২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী সফট ওপেনিং করবেন। সফট উদ্বোধনের আগে প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য এবং সফট ওপেনিংকে সামনে রেখে গত সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ১১ থেকে ১২ হাজার শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছেন। এখানে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে এখন। নির্মাণাধীন এই টার্মিনালের ফিচারগুলো অত্যন্ত অত্যাধুনিক। টার্মিনালটি যখন যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে, এর ডিজাইন এবং সেবা দেখে তাদের মন আনন্দে ভরে উঠবে।

তিনি আরো বলেন, নতুন এই টার্মিনাল নির্মাণ হলে যাত্রী সেবা দেওয়ার ধারণক্ষমতা প্রতি বছর ১৬ মিলিয়নে পৌঁছাবে। আর আমরা যদি আগের টার্মিনালটা ধরি তাহলে ধারণক্ষমতা পৌঁছাবে ২৪ মিলিয়নে।

উদ্বোধনের কতদিন পর যাত্রীরা টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মফিদুর রহমান বলেন, উদ্বোধনের দিন একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট এখান থেকে পরিচালনা করা হবে। তবে আগামী বছরের শেষের দিকে যাত্রীরা পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবেন। নির্মাণ কাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর যাত্রীদের ব্যবহার করতে দেওয়ার আন্তর্জাতিক নিয়ম নেই।

তিনি বলেন, এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের এপ্রিলে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই আমরা চলতি বছরে কাজ শেষ করেছি। বাকি সময়ের মধ্যে বিমানবন্দর পরিচালনায় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সফট ওপেনিং এরপর এখানে আর কী কী কাজ চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, সফট ওপেনিংয়ের পর আমাদের কিছু বর্ধিত কাজ এখানে চলবে। তাছাড়া ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, লাগেজ হ্যান্ডলিং, লিফট ও এসকেলেটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ইনস্টল করতে হবে এবং পরীক্ষা করতে হবে। সফট ওপেনিংয়ের পর সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনসহ নানা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এর আগে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানিয়েছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ২০২৩ সালের অক্টোবরে উদ্বোধন করা হবে।

দেশের প্রধান বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে আরও সাত হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের আকার দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির নির্মাণ শুরু হয়। খরচের বেশির ভাগ আসছে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার কাছ থেকে। সংস্থাটি ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বাকি পাঁচ হাজার ২৫৮ কোটি তিন লাখ ৮৮ হাজার টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

শাহজালালে বর্তমানে দুটি টার্মিনাল রয়েছে। এই দুই টার্মিনালের আয়তন এক লাখ বর্গমিটার। তৃতীয় যে টার্মিনালটি হচ্ছে, সেটির আকার বর্তমান দুটি টার্মিনালের দ্বিগুণের বেশি। দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তন হবে নতুন টার্মিনালের।