নিজস্ব প্রতিবেদক :
যশোরের শার্শার নাভারণ থেকে গোড়পাড়া সড়কের পৃথক দুটি স্থানে বেতনা নদীর উপর দুটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও কাজ চলছে ধীর গতিতে। এর ফলে অনেক দিন পর এ উপজেলার কাজিরবেড় ও গাতিপাড়াসহ অঞ্চলের মানুষের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বিষাদে রূপ নিয়েছে।
এদিকে দুই গ্রামের মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি ও এলাকায় উৎপাদিত নানা কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতির মুখে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এ পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন যাতে কষ্টের মধ্যে না পড়তে হয় সে জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রতি আহবান জানান স্থানীয় ও এ সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
এ অবস্থার পরিপেক্ষিতে দুই গ্রামের লোকজন নতুন ব্রীজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে করে আসা দাবি নিরলসভাবে বাস্তবায়নে কাজ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ। একটু দেরি হলেও অবশেষে তাদের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছরের ৯ জানুয়ারি ২০২২ এ কাজ শুরু হয়ে আগামী ৩ জুলাই ২০২৩ এ শেষ করার তারিখ নির্ধারণ করেছে যশোরের আইসিএল প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দুটি ব্রিজ জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ ছিলো। দুগ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতেন। গাতিপাড়া খেয়াঘাট ও কাজির বেড় দীর্ঘদিনের পুরাতন ও ঝুকিপূর্ণ ব্রিজ ভেঙে ৬০ মিটার লম্বা ব্রিজ দুটি তৈরি করছে এলজিইডি। নির্মাণ কাজ করছে যশোরের আইসিএল প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুটি ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ১১ লাখ টাকা।
গত বছরের ৯ জানুয়ারি ব্রিজের নির্মাণ কাজ কাজ শুরু হয়। তবে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরুর প্রায় দেড় বছর হলেও বিভিন্ন কার্য্য জটিলতায় সব মিলিয়ে ৬০ ও ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল তাদের। ব্রিজ দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে দুই গ্রামের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দার খুলবে। তবে সময়মত কাজ শেষ না হওয়ায় জনভোগান্তিতে রয়েছেন দুই গ্রামের মানুষ।
যশোরের আইসিএল প্রাইভেট লিমিটেড নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সুখেশ মজুমদার বলেন, আমরা ইতোমধ্যে গাতিপাড়া খেয়াঘাট ব্রীজের কাজ ৬০ শতাংশ এবং কাজির বেড় ব্রীজের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। বাকী কাজ আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে পারবো। এখন জনভোগান্তি হলে কিছু করার নেই।
যশোর এলজিইডি’র ফিল্ড রেসিডেন্স ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দদের সাথে কথা বলেছি। আশা করছি শিঘ্রয় কাজ শেষ হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যেন ভাল ভাবে চলাচল করতে পারে সে জন্য পাশেই কাঠের সেতুটি উপযোগী করে তুলছি। কাঠের সেতু দুটিতে জনসাধারণ চলাচল স্বাভাবিক হলে জনভোগান্তি কমে আসবে।
শার্শা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) এম এম মামুন হাসান জানান, কার্য্যজটিলতায় ব্রীজ দুটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ না হলেও খুব শিঘ্রয় শেষ হবে মনে করছি। যথা সময়ে কাজ শেষ করতে করনীয় বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে।
যশোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুতই কাজ শেষ হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যেন ভালভাবে চলাচল করতে পারেন সে জন্য পাশেই কাঠের সেতুটি উপযোগী করে তুলছি। কাঠের সেতু দুটিতে জনসাধারণ চলাচল স্বাভাবিক হলে জনভোগান্তি কমে আসবে।