সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের থলেরবন্দ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, থলেরবন্দ গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২২) এবং একই গ্রামের মৃত নইমুল্লার ছেলে আব্দুল আউয়াল (৫৫)।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তাদির আহমেদ নিহতের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষে আহত নুর মুহাম্মদ (২২) ও আব্দুল আওয়াল (৫৫) নামে দুইজন সুনামগঞ্জ সদর ও সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই আলীম উদ্দিন (৩০), হাফিজুর রহমান (৫৫), কালাই মিয়া (৬০), শের আলী (৪৮), নাজমুল হক (২৫), আলীম উল্লাহসহ (৩৯) ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, থলেরবন্দ গ্রামের আশিক মিয়ার বাড়ির সামনে যাতায়তের রাস্তার মধ্যে শের আলীর একটি পালিত ঘোড়া বেঁধে রাখলে উক্ত ঘোড়ার লাথিকে কেন্দ্র করে আশিক মিয়ার ছেলে ফরিদ আহত হন। এ নিয়ে আশিক মিয়ার ভাই সাহার ও শের আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে এবং এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর করে।

পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার আহত নুর মোহাম্মদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। অপর আহত ব্যক্তি আব্দুল আওয়াল সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।

শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, সড়কে ঘোড়া বাঁধা নিয়ে সংঘর্ষের শুরু। এ ঘটনায় একজন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং অন্যজন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।