বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিশনপ্রধান আব্দুল্লা আলী আলমউদী জানিয়েছেন, আরব আমিরাতেও শতবছরের পুরনো অনেক ভাস্কর্য রয়েছে। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিরাতের ভাস্কর্যগুলো তাদের দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ, যা পরিবর্তনের কোনো বিষয় নেই।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন, একই বছর ১৯৭১ সালে ইউএই এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ইউএই প্রতিষ্ঠাতা শেখ যায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক ছিল।
আমাদের দেশ গঠনের ক্ষেত্রেও শুরু থেকেই আরব আমিরাতের অনেক ভূমিকা ছিল। সেখানে আমাদের লক্ষ লক্ষ কর্মী বিভিন্ন পেশায় অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাতের ভিসা আরো সহজীকরণের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
আরও পড়ুন : ১৯৪৭ শিল্পী-কলাকুশলীকে আর্থিক সহায়তা প্রধানমন্ত্রীর
চট্টগ্রামের মীরসরাইতে যে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী হচ্ছে ইউএই’র পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই সেখানে ইকোনোমিক জোনের জন্য তারা জায়গা চেয়েছে এবং তাদেরকে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি উল্লেখ করেণ মন্ত্রী।
বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ যায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের সম্মানে এক শ একরের বেশি জায়গা দেয়া হয়েছে। সেখানে একটি মেটারনিটি হাসপাতাল এবং নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাসহ আর কি স্থাপনা তৈরি হতে পারে সেবিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিশনপ্রধান আব্দুল্লা আলী আলমউদী এ সময় বাংলাদেশের সাথে তার দেশের ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আরো এগিয়ে নিতে কাজ করছেন বলে জানান।
সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, তথ্যসচিব খাজা মিয়া এবং মন্ত্রীর দপ্তর ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।