আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দক্ষিণ তাইওয়ানে ৬.৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।এই ভূমিকম্পের কারণে এখন পর্যন্ত ২৭ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। কারণ কোথাও কোথাও ভূমিধস ও বাড়ির ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি রাত ১২টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল চিয়াই কাউন্টি হল থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
অন্যদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ ছিল বলে জানায়।
ভূমিকম্পের ফলে তাইওয়ানে চিয়াই এবং তাইনান শহর জুড়ে ছোট থেকে মাঝারি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ২৭ জনকে সামান্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানোর খবর নিশ্চিত করে তাইওয়ানের দমকল বিভাগ।
আহতদের মধ্যে এক মাস বয়সী একটি শিশুসহ ছয়জনকে তাইনানের নানক্সি জেলায় ধসে পড়া একটি বাড়ি থেকের তাদের উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাইনানে দুইজন এবং চিয়াই শহরে একজনকে লিফটে আটকা পড়ার খবর পেয়ে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ভূমিকম্পের ফলে চিয়াইয়ের একটি মুদ্রণ কারখানায় আগুন লাগে, তবে সেখানে হতাহত কিংবা কোনো মৃত্যুর খবরও এখনো পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত এপ্রিলে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল। গত ২৫ বছরের মধ্যে যা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
তবে তাই তাইওয়ানের ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি ছিল ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এরপরেই তাইওয়ান ভূমিকম্প প্রতিরোধী নির্মাণ পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিল্ডিং কোড আপডেট এবং উন্নত করেছে। বাড়ি যাতে ভূমিকম্পে ভাঙতে না পারে তারজন্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়। এর পাশাপাশি, তাইওয়ান একটি উন্নত প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা তৈরি করেছে যা জনসাধারণকে সেকেন্ডের মধ্যে সম্ভাব্য গুরুতর ভূমিকম্প সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে।