Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লোকসানে চলা স্থলবন্দরগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে : নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, যেসব স্থলবন্দর দিয়ে তেমন আমদানি-রফতানি হয় না এবং লোকসানে রয়েছে, সেসব বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে দিনাজপুরের হাকিমপুরে হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্থলবন্দরের মতো নদী বন্দরগুলোকে পর্যায়ক্রমে ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া হবে। এছাড়াও অলাভজনক হওয়ায় চারটি স্থলবন্দর বন্ধ করেছে সরকার। পর্যায়ক্রমে আরও চারটি বন্ধ করা হবে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ৮টি বন্দর বন্ধ করার পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ৪টি বন্দর বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে বাকি ২০টি বন্দর থাকলেও কার্যকর বন্দর সংখ্যা ১২ থেকে ১৪টির বেশি নয়।

তিনি বলেন, যেসব বন্দর কার্যকর নয় এবং সারাবছরে মাত্র ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয় অথচ ব্যয় হয় তার চেয়ে অনেক বেশি এমন বন্দরের আধুনিকায়ন করে কোনো লাভ নেই। কার্যকর ও বড় বন্দরের উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের দিকেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, সব বন্দর সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলে উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না। তাই কিছু বন্দর ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া আছে। এছাড়াও দেশের বেশকিছু স্থলবন্দরের উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের থেকে উঠে আসা হিলি স্থলবন্দরের অব্যবস্থাপনা বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ চেয়ারম্যানকে দেওয়া হবে।

এসময় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রাজস্ব বোর্ডের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুণ কুমার বিশ্বাস, হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার এ এস এম আকরাম সম্রাট, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল দৌলাসহ হিলি শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা ও পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আগৈলঝাড়ায় ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ঝুঁকিপূর্ণ

লোকসানে চলা স্থলবন্দরগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে : নৌ পরিবহন উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৯:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : 

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, যেসব স্থলবন্দর দিয়ে তেমন আমদানি-রফতানি হয় না এবং লোকসানে রয়েছে, সেসব বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে দিনাজপুরের হাকিমপুরে হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্থলবন্দরের মতো নদী বন্দরগুলোকে পর্যায়ক্রমে ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া হবে। এছাড়াও অলাভজনক হওয়ায় চারটি স্থলবন্দর বন্ধ করেছে সরকার। পর্যায়ক্রমে আরও চারটি বন্ধ করা হবে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ৮টি বন্দর বন্ধ করার পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ৪টি বন্দর বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে বাকি ২০টি বন্দর থাকলেও কার্যকর বন্দর সংখ্যা ১২ থেকে ১৪টির বেশি নয়।

তিনি বলেন, যেসব বন্দর কার্যকর নয় এবং সারাবছরে মাত্র ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হয় অথচ ব্যয় হয় তার চেয়ে অনেক বেশি এমন বন্দরের আধুনিকায়ন করে কোনো লাভ নেই। কার্যকর ও বড় বন্দরের উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের দিকেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।

তিনি বলেন, সব বন্দর সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলে উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না। তাই কিছু বন্দর ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়া আছে। এছাড়াও দেশের বেশকিছু স্থলবন্দরের উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের থেকে উঠে আসা হিলি স্থলবন্দরের অব্যবস্থাপনা বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ চেয়ারম্যানকে দেওয়া হবে।

এসময় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রাজস্ব বোর্ডের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুণ কুমার বিশ্বাস, হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার এ এস এম আকরাম সম্রাট, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল দৌলাসহ হিলি শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা ও পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।