Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লুটপাটের জন্য সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে: মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্নীতি আর লুটপাটের জন্যই সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এরা সরকার নয়। এরা জনগণের ভোটের বাইরে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় আছে এরা- দুর্নীতি, লুটপাট, চুরি, সন্ত্রাসী করার জন্য। মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্যই এরা জোর করে ক্ষমতায় আছে। জনগণের দুর্ভোগ বাড়ানোর জন্যই পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।

তিনি বলেন, দখলদার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আজকের কর্মসূচি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ কর্মসূচি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, বাড়ছে, বাড়বে… আমরা এটাই জনগণকে জানাতে চাই। আর কিছুই নয়। গণতন্ত্র উদ্ধারের, বাক স্বাধীনতার ও ভোটের অধিকারের রক্ষার আমাদের চলমান অহিংস গণতান্ত্রিক আন্দোলন সারা দেশে চলবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বলতে চাই, গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে কিন্তু সার্বিকভাবে কখনো ব্যর্থ হয়নি। আজকে না হয় কালকে এই ফ্যাসিস্ট দখলদার সরকারের পতন ঘটবেই এই জনতার হাতে।

তিনি বলেন, মুসোলিনি-স্ট্যালিনরা বহুদিন রাজত্ব করেছে। কিন্তু পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে থাকতে পারেনি। এরা জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় টিকে আছে লুটপাট করার জন্য, চুরি করার জন্য, দেশের মানুষের কষ্ট দেওয়ার জন্য।

বিএনপি আন্দোলন করতে করতে এই পর্যন্ত এসেছে বলে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের বয়স হয়ে গেছে। এখন পরবর্তী যে প্রজন্ম আছে তাদেরকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মনোবল ঠিক রাখতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে। এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

২৮ অক্টোবরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশি হামলার ঘটনা সরকারের পূর্বপরিকল্পিত অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ২৮ তারিখ কী হয়েছিল? সেই প্রথম থেকে একটা নকশা করে, এটা ডিজাইন করে যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, যাতে নির্বাচনে আসতে না পারে.. এই চক্রান্ত প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে। সেজন্য দুই বছর আগে থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের ওপরে ২৮ তারিখে নির্মম নির্যাতন ও বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। এই হামলায় আমি এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন শেষ পর্যন্ত মঞ্চে ছিলাম। সেই সময়ে আমরা দেখেছি যখন টিকে থাকা সম্ভব ছিল না টিয়ার সেল আমাদের ট্রাকের মাঝে পড়েছে। সামনে রাইফেল হাতে পুলিশ দাঁড়ানো.. গুলি করবে। হয়ত তারা গুলি করেনি। আমরা নেমে যেতে বাধ্য হয়েছি। এমন নারকীয় ঘটনা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীও ঘটায়নি সেটা সেদিন ওরা ঘটিয়েছে।

কারাগারে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপরে নির্মম নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এই নির্যাতন ও অত্যাচারে যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে এটা আর সহ্য করা যায় না, বর্ণনা করা যায়। তারপরও আমাদের নেতাকর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে তারা যুদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটবেই।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাদরেজ জামান, ছাত্র দলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ ।

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

লুটপাটের জন্য সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে: মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০৩:৫২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্নীতি আর লুটপাটের জন্যই সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এরা সরকার নয়। এরা জনগণের ভোটের বাইরে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় আছে এরা- দুর্নীতি, লুটপাট, চুরি, সন্ত্রাসী করার জন্য। মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্যই এরা জোর করে ক্ষমতায় আছে। জনগণের দুর্ভোগ বাড়ানোর জন্যই পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।

তিনি বলেন, দখলদার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আজকের কর্মসূচি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ কর্মসূচি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, বাড়ছে, বাড়বে… আমরা এটাই জনগণকে জানাতে চাই। আর কিছুই নয়। গণতন্ত্র উদ্ধারের, বাক স্বাধীনতার ও ভোটের অধিকারের রক্ষার আমাদের চলমান অহিংস গণতান্ত্রিক আন্দোলন সারা দেশে চলবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বলতে চাই, গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে কিন্তু সার্বিকভাবে কখনো ব্যর্থ হয়নি। আজকে না হয় কালকে এই ফ্যাসিস্ট দখলদার সরকারের পতন ঘটবেই এই জনতার হাতে।

তিনি বলেন, মুসোলিনি-স্ট্যালিনরা বহুদিন রাজত্ব করেছে। কিন্তু পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে থাকতে পারেনি। এরা জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় টিকে আছে লুটপাট করার জন্য, চুরি করার জন্য, দেশের মানুষের কষ্ট দেওয়ার জন্য।

বিএনপি আন্দোলন করতে করতে এই পর্যন্ত এসেছে বলে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের বয়স হয়ে গেছে। এখন পরবর্তী যে প্রজন্ম আছে তাদেরকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মনোবল ঠিক রাখতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে। এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

২৮ অক্টোবরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশি হামলার ঘটনা সরকারের পূর্বপরিকল্পিত অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ২৮ তারিখ কী হয়েছিল? সেই প্রথম থেকে একটা নকশা করে, এটা ডিজাইন করে যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, যাতে নির্বাচনে আসতে না পারে.. এই চক্রান্ত প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে। সেজন্য দুই বছর আগে থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের ওপরে ২৮ তারিখে নির্মম নির্যাতন ও বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। এই হামলায় আমি এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন শেষ পর্যন্ত মঞ্চে ছিলাম। সেই সময়ে আমরা দেখেছি যখন টিকে থাকা সম্ভব ছিল না টিয়ার সেল আমাদের ট্রাকের মাঝে পড়েছে। সামনে রাইফেল হাতে পুলিশ দাঁড়ানো.. গুলি করবে। হয়ত তারা গুলি করেনি। আমরা নেমে যেতে বাধ্য হয়েছি। এমন নারকীয় ঘটনা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীও ঘটায়নি সেটা সেদিন ওরা ঘটিয়েছে।

কারাগারে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপরে নির্মম নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এই নির্যাতন ও অত্যাচারে যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে এটা আর সহ্য করা যায় না, বর্ণনা করা যায়। তারপরও আমাদের নেতাকর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে তারা যুদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটবেই।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাদরেজ জামান, ছাত্র দলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ ।