Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়া উপকূলে ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ৬০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুও আছে।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় ৬১ জনেরও বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, প্রায় ৮৬ জন আরোহী নিয়ে জুওয়োরা শহর থেকে ছেড়ে এসেছিল নৌকাটি। যাত্রা শুরুর পর বড় বড় ঢেউয়ের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ ৬১ অভিবাসী নিখোঁজ হন। তাদের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার জন্য লিবিয়া উপকূলকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে মানবপাচারকারীরা। প্রতিবছর ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা বেড়েছে। বিপজ্জনক এই সমুদ্রযাত্রায় পথেই অনেকে সবচেয়ে করুণ পরিণতি বরণ করছেন।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে যাত্রা শুরুর জন্য স্থান হিসেবে লিবিয়াকে ব্যবহার করছেন অভিবাসীরা।
যে সকল অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে তাদের জন্য লিবিয়া অন্যতম প্রধান পয়েন্ট। আইওএমের ধারণা মতে, শুধু এই বছর সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ ডুবে গেছে। এই রুটটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন রুটে পরিণত হয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, সর্বশেষ ঘটনার ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া ও অন্যান্য আফ্রিকান দেশের বাসিন্দা। জীবিত ২৫ ব্যক্তিকে লিবিয়ার একটি আটক কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাদের বর্তমানে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

জুন মাসে দক্ষিণ গ্রিসের কাছে একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৭৮ জন মারা গিয়েছিল। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল ১০০ জনকে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে এ বছর ১ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি অভিবাসী ইতালিতে এসেছে।

শনিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার ইতালীয় সমকক্ষ জর্জিয়া মেলোনি ও আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামার সঙ্গে ইউরোপে অবৈধ অভিবাসন হ্রাস করার উপায় নিয়ে রোমে আলোচনা করেছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

লিবিয়া উপকূলে ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর শঙ্কা

প্রকাশের সময় : ০২:০৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ৬০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুও আছে।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় ৬১ জনেরও বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, প্রায় ৮৬ জন আরোহী নিয়ে জুওয়োরা শহর থেকে ছেড়ে এসেছিল নৌকাটি। যাত্রা শুরুর পর বড় বড় ঢেউয়ের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ ৬১ অভিবাসী নিখোঁজ হন। তাদের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার জন্য লিবিয়া উপকূলকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে মানবপাচারকারীরা। প্রতিবছর ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা বেড়েছে। বিপজ্জনক এই সমুদ্রযাত্রায় পথেই অনেকে সবচেয়ে করুণ পরিণতি বরণ করছেন।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে যাত্রা শুরুর জন্য স্থান হিসেবে লিবিয়াকে ব্যবহার করছেন অভিবাসীরা।
যে সকল অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে তাদের জন্য লিবিয়া অন্যতম প্রধান পয়েন্ট। আইওএমের ধারণা মতে, শুধু এই বছর সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ ডুবে গেছে। এই রুটটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন রুটে পরিণত হয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, সর্বশেষ ঘটনার ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া ও অন্যান্য আফ্রিকান দেশের বাসিন্দা। জীবিত ২৫ ব্যক্তিকে লিবিয়ার একটি আটক কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাদের বর্তমানে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

জুন মাসে দক্ষিণ গ্রিসের কাছে একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৭৮ জন মারা গিয়েছিল। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল ১০০ জনকে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে এ বছর ১ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি অভিবাসী ইতালিতে এসেছে।

শনিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার ইতালীয় সমকক্ষ জর্জিয়া মেলোনি ও আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামার সঙ্গে ইউরোপে অবৈধ অভিবাসন হ্রাস করার উপায় নিয়ে রোমে আলোচনা করেছেন।