Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে গ্রেনেড হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ আল-দাবিবাহের বাসভবনে রকেটচালিত গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। তবে হামলায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। লিবিয়ার একজন মন্ত্রী রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন। ওই মন্ত্রী নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বার্তায় নিশ্চিত করেছেন, হামলায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।

দেশটির দুই নাগরিক বলেছেন, তারা ত্রিপোলির বিলাসবহুল হে আন্দালুসপাড়ায় সাগরের কাছে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী দবেইবার বাসভবন। তাদের মধ্যে একজন বলেছেন, প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর এলাকাটির চারপাশে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব রকেট ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর বিধ্বংসী ক্ষমতা গ্রেনেডের সমপর্যায়ের। তবে হামলায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেরও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।

২০১১ সালের ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহের পর লিবিয়ায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ২০১৪ সালে দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তখন থেকে লিবিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম অংশ শাসন করছে দুটি পৃথক প্রশাসন। ২০২১ সালে জাতিসংঘ সমর্থিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দিবেইবাহের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠিত হয়।

কিন্তু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর লিবিয়ার পূর্ব অংশ তার বৈধতাকে স্বীকৃতি দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এর ফলে দেশটিতে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দেয়।

গত মার্চের শুরুর দিকে লিবিয়ার তিনজন প্রধান নেতা বলেছিলেন, তারা একটি নতুন ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের ‘প্রয়োজনীয়তার’ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন, যা বিলম্বিত নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে গ্রেনেড হামলা

প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ আল-দাবিবাহের বাসভবনে রকেটচালিত গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। তবে হামলায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। লিবিয়ার একজন মন্ত্রী রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন। ওই মন্ত্রী নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বার্তায় নিশ্চিত করেছেন, হামলায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।

দেশটির দুই নাগরিক বলেছেন, তারা ত্রিপোলির বিলাসবহুল হে আন্দালুসপাড়ায় সাগরের কাছে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী দবেইবার বাসভবন। তাদের মধ্যে একজন বলেছেন, প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর এলাকাটির চারপাশে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব রকেট ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর বিধ্বংসী ক্ষমতা গ্রেনেডের সমপর্যায়ের। তবে হামলায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেরও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।

২০১১ সালের ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহের পর লিবিয়ায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ২০১৪ সালে দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তখন থেকে লিবিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম অংশ শাসন করছে দুটি পৃথক প্রশাসন। ২০২১ সালে জাতিসংঘ সমর্থিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দিবেইবাহের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠিত হয়।

কিন্তু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর লিবিয়ার পূর্ব অংশ তার বৈধতাকে স্বীকৃতি দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এর ফলে দেশটিতে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দেয়।

গত মার্চের শুরুর দিকে লিবিয়ার তিনজন প্রধান নেতা বলেছিলেন, তারা একটি নতুন ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের ‘প্রয়োজনীয়তার’ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন, যা বিলম্বিত নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করবে।