নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোলার লালমোহনে ভাঙা সেতু দিয়ে দুই পাড়ের কয়েক হাজার এলাকাবাসী ও পথচারীদের পারাপারে কষ্ট এখন চরমে। এলাকাবাসী দড়ি দিয়ে ব্রিজটি কিছুদিন বেঁধে রাখলেও তা খুলে গেছে। গত ২০ দিন ধরে ব্রিজটিতে চরম ঝুঁকি নিয়ে এলাকাবাসী চলাচল করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে স্থানীয়রা লাফিয়ে লাফিয়ে পার হলেও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে ব্রিজটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের পূর্ব ফুলবাগিচা রাস্তার মাথায় খালের ওপর অবস্থিত এই ব্রিজটির ওপারে চরভূতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডকে সংযুক্ত করেছে। দুই ইউনিয়নের মানুষ ও যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে প্রায় ২০ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রিজের নিচে ঢালাই পিলার না করে লোহার পাত দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছিল। ওই পাত সরে গিয়ে গত ২০ দিন আগে ব্রিজের একটি গার্ডার পড়ে যায়। এতে দুই গার্ডারের মধ্যে বিশাল ফাঁকা হয়ে যায়।
স্থানীয়রা বলেন, ব্রিজের মাঝখান দিয়ে ফাঁকা হওয়ার পর দুই গার্ডারের রেলিংয়ে দড়ি দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে খালে জোয়ার-ভাটায় টান পড়ে অপর প্রান্তের গার্ডারও সরে আসে। এ কারণে দড়ি খুলে দেওয়া হয়। এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই পাড়ের মানুষদের ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। মাঝখানে ফাঁকা হওয়ার কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে ব্রিজ পার হতে হয়। এতে করে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ শিশুদের। ব্রিজের এমন অবস্থায় অটোরিক্সা, মোটরসাইকেলকে অন্য পথ দিয়ে ঘুরে যেতে হয় গন্তব্যে। যার জন্য ভাড়াও বেশি খরচ হয়।
জাহাঙ্গীর ও লোকমান নামের আরও কয়েকজন জানান, ব্রিজটি দেবে যাওয়ায় গার্ডার প্রতিদিন আরও নিচে নেমে যাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো খালের মধ্যে এটি পুরোপুরি ধসে পড়তে পারে। লালমোহন উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনাটি পাস হলে কাজ শুরু করা যাবে।