Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটে রেলের জমি নিলাম নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগের আওতাধীন বগুড়া এলাকার ৩ ও ৪ নং কাচারী অফিসের কৃষিজমি অস্থায়ী ভিত্তিতে নিলাম কার্যক্রমে এ অফিসের কানুনগো গোলাম নবীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কৃষিজমি নিলামের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না, প্রকাশ্য নিলাম ব্যতিরেকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দমতো লোকদের রেলওয়ের কৃষিজমির লাইসেন্স পাইয়ে দিতে ব্যবস্থা করছেন গোলাম নবী। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লালমনিরহাটে রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২০২২ সালের ৪ নভেম্বরে দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় রেল ভূমির অস্থায়ী কৃষি লাইসেন্স প্রদানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় ২০২২ সালে ১৪ নভেম্বর থেকে তিনটি পর্যায়ে প্রকাশ্য ও উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে দুই বছরমেয়াদি অস্থায়ী কৃষি লাইসেন্স দেওয়া হবে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে জানানো হয়, নিলামের আওতাভুক্ত রেল ভূমির তালিকা, নিলামের স্থান, নিলামের সময়সূচি ও নিলামের শর্তাবলি এ কার্যালয়ের কাচারী অফিস এবং সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে অফিস চলাকালে সব তথ্য জানা যাবে। কিন্তু আগ্রহী ব্যক্তিরা বগুড়ার ৩ ও ৪ নং কাচারী অফিসে গিয়ে নিলাম-সংক্রান্ত কোনো তথ্য না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি ৩ ও ৪ নং কাচারী অফিস বগুড়ায় সরেজমিন গিয়ে জনসাধারণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। বগুড়ার আকাশতারা এলাকার আবদুস সামাদ জানান, বিজ্ঞাপন দেখে তিনি বগুড়ার কাচারী অফিসে বেশ কয়েক দিন গিয়ে কানুনগোর নিকট নিলাম কার্যক্রমের বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন। কানুনগোর পরামর্শ, জমি নিতে হলে লালমনিরহাটে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে হবে। এ জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে গোলাম নবী বলেন, এ ব্যাপারে স্টেট অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন। আমি আপনাকে তথ্য দিতে বাধ্য নই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

লালমনিরহাটে রেলের জমি নিলাম নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৪:১১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগের আওতাধীন বগুড়া এলাকার ৩ ও ৪ নং কাচারী অফিসের কৃষিজমি অস্থায়ী ভিত্তিতে নিলাম কার্যক্রমে এ অফিসের কানুনগো গোলাম নবীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কৃষিজমি নিলামের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না, প্রকাশ্য নিলাম ব্যতিরেকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দমতো লোকদের রেলওয়ের কৃষিজমির লাইসেন্স পাইয়ে দিতে ব্যবস্থা করছেন গোলাম নবী। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লালমনিরহাটে রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২০২২ সালের ৪ নভেম্বরে দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় রেল ভূমির অস্থায়ী কৃষি লাইসেন্স প্রদানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় ২০২২ সালে ১৪ নভেম্বর থেকে তিনটি পর্যায়ে প্রকাশ্য ও উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে দুই বছরমেয়াদি অস্থায়ী কৃষি লাইসেন্স দেওয়া হবে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে জানানো হয়, নিলামের আওতাভুক্ত রেল ভূমির তালিকা, নিলামের স্থান, নিলামের সময়সূচি ও নিলামের শর্তাবলি এ কার্যালয়ের কাচারী অফিস এবং সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে অফিস চলাকালে সব তথ্য জানা যাবে। কিন্তু আগ্রহী ব্যক্তিরা বগুড়ার ৩ ও ৪ নং কাচারী অফিসে গিয়ে নিলাম-সংক্রান্ত কোনো তথ্য না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি ৩ ও ৪ নং কাচারী অফিস বগুড়ায় সরেজমিন গিয়ে জনসাধারণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। বগুড়ার আকাশতারা এলাকার আবদুস সামাদ জানান, বিজ্ঞাপন দেখে তিনি বগুড়ার কাচারী অফিসে বেশ কয়েক দিন গিয়ে কানুনগোর নিকট নিলাম কার্যক্রমের বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন। কানুনগোর পরামর্শ, জমি নিতে হলে লালমনিরহাটে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে হবে। এ জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে গোলাম নবী বলেন, এ ব্যাপারে স্টেট অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন। আমি আপনাকে তথ্য দিতে বাধ্য নই।