Dhaka মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লরির ধাক্কায় লাইন থেকে উল্টে পড়লো ট্রেন, চাপা পড়ে নিহত ১

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রামের সাগরিকা এলাকায় একটি পণ্যবোঝাই লরি রেললাইনে ঢুকে চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এতে লরিটি উল্টে যায় এবং ট্রেনের ইঞ্জিন ও একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় লরিটির নিচে চাপা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে নগরীর সাগরিকা স্টেডিয়াম রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল হাই (৬০)। তার বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর দিদার কলোনিতে। তিনি ওই এলাকায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন।

দুর্ঘটনার পর থেকে ওই রুটে মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি।

জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল হাই (৬০)। তিনি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর দিদার কলোনির বাসিন্দা। ওই এলাকায় দোকানগুলোর নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া ট্রেনের লোকোমাস্টার মনিরুল ইসলাম ও সহকারী লোকোমাস্টার মো. আলমগীর আহত হয়েছেন, যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি উদ্ধারের জন্য চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এবং কুমিল্লার লাকসাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন আসছে বলে জানা যায়।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভোর ৪টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে একটি মালবাহী ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রেনটি সাগরিকা এলাকায় পৌঁছালে একটি পণ্যবোঝাই লরি রেললাইনে ঢুকে ট্রেনের ইঞ্জিনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন উল্টে গিয়ে রেললাইনের বাইরে পড়ে যায়, এবং একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। লরিটি উল্টে যাওয়ার পর লরির নিচে চাপা পড়ে শামসুল হাই নামে এক ব্যক্তি মারা যান।

এ ঘটনায় সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। নিহতের পরিবারসহ স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। দুর্ঘটনার পর মালবাহী ট্রেনটির বাকি বগিগুলো সিজিপিওয়াই স্টেশনে নিয়ে আসা হয়েছে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গেটম্যানের অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সাগরিকা এলাকায় গেটটি খোলা ছিল। এর ফলে দ্রুতগামী লরিটি রেললাইনে ঢুকে পড়ে। গেটম্যান সিগন্যাল মানতে ব্যর্থ হওয়ায় লরিটি সরাসরি ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, গেটম্যানের অবহেলা এবং গেট খোলা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, চালবোঝাই লরির ধাক্কায় দুর্ঘটনার কারণে মালবাহী ট্রেনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ এই লাইনটি শুধু মালবাহী ট্রেন ও কনটেইনার পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

লরির ধাক্কায় লাইন থেকে উল্টে পড়লো ট্রেন, চাপা পড়ে নিহত ১

প্রকাশের সময় : ১১:৫১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

চট্টগ্রামের সাগরিকা এলাকায় একটি পণ্যবোঝাই লরি রেললাইনে ঢুকে চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়। এতে লরিটি উল্টে যায় এবং ট্রেনের ইঞ্জিন ও একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় লরিটির নিচে চাপা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে নগরীর সাগরিকা স্টেডিয়াম রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল হাই (৬০)। তার বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর দিদার কলোনিতে। তিনি ওই এলাকায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন।

দুর্ঘটনার পর থেকে ওই রুটে মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি।

জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল হাই (৬০)। তিনি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর দিদার কলোনির বাসিন্দা। ওই এলাকায় দোকানগুলোর নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া ট্রেনের লোকোমাস্টার মনিরুল ইসলাম ও সহকারী লোকোমাস্টার মো. আলমগীর আহত হয়েছেন, যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি উদ্ধারের জন্য চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এবং কুমিল্লার লাকসাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন আসছে বলে জানা যায়।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভোর ৪টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে একটি মালবাহী ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রেনটি সাগরিকা এলাকায় পৌঁছালে একটি পণ্যবোঝাই লরি রেললাইনে ঢুকে ট্রেনের ইঞ্জিনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন উল্টে গিয়ে রেললাইনের বাইরে পড়ে যায়, এবং একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। লরিটি উল্টে যাওয়ার পর লরির নিচে চাপা পড়ে শামসুল হাই নামে এক ব্যক্তি মারা যান।

এ ঘটনায় সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। নিহতের পরিবারসহ স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। দুর্ঘটনার পর মালবাহী ট্রেনটির বাকি বগিগুলো সিজিপিওয়াই স্টেশনে নিয়ে আসা হয়েছে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গেটম্যানের অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সাগরিকা এলাকায় গেটটি খোলা ছিল। এর ফলে দ্রুতগামী লরিটি রেললাইনে ঢুকে পড়ে। গেটম্যান সিগন্যাল মানতে ব্যর্থ হওয়ায় লরিটি সরাসরি ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, গেটম্যানের অবহেলা এবং গেট খোলা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, চালবোঝাই লরির ধাক্কায় দুর্ঘটনার কারণে মালবাহী ট্রেনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ এই লাইনটি শুধু মালবাহী ট্রেন ও কনটেইনার পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।