Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লটারি নয় মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে ভর্তির দাবিতে রেসিডেনসিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

লটারি নয় মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে ভর্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রিন্সিপাল ব্রিগেডিয়ার কাজী শামীম ফরহাদের অনুরোধে রাস্তা ছাড়েন তারা। তবে শিগগিরই দাবি আদায় না হলে আবারও রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে স্কুলটির প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী মিরপুর রোডে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় তারা ‘লটারি না মেধা’ বলে স্লোগান দেয়। অনেককে রাস্তায় বসে পড়তে দেখা যায়।

জানা যায়, ভর্তির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সকালে একাধিকবার বৈঠক করে কর্তৃপক্ষ। এসময় তাদের আন্দোলন না করার আহ্বান জানায়। তবে শিক্ষার্থীরা এসবের তোয়াক্কা না করে গণভবনের সামনে সড়কে অবস্থান নেয়। এতে দু’পাশ থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেখা যায় দীর্ঘ যানজট। এতে ভোগান্তি পড়ে যাত্রী ও চালকরা। অনেকে বাধ্য হয়ে হেঁটেই গন্তব্যে যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, করোনাকালীন সময়ে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল করে মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা চালু করতে হবে। এই দাবিতে কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দেয়ার পরও কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী আন্দোলনে নামেন তারা।

তারা আরও বলেন, তৃতীয়, ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণীতে খুব দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি নিয়ে মেধার মূল্যায়ন করতে হবে। এছাড়া দাবি আদায়ে মানববন্ধনসহ নানান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তারা।

এই দাবির বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের আসায় তাদের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে অবস্থান করছেন বলেও জানান তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজে পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে শিক্ষার্থী ভর্তির রেওয়াজ ছিল। করোনার সময় পরীক্ষার বদলে লটারি প্রথা চালু হয়। এরপর থেকে সেই পদ্ধতিতে চলছে নতুন ছাত্র ভর্তি। ফলে মেধা থাকা স্বত্বেও অনেক শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানটিতে পড়ার সুযোগ হারাচ্ছেন। এই পদ্ধতি বাতিল করে পুনরায় মেধা যাচাই প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে কিংবা মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি নিতে হবে।

একাদশ শ্রেণির (প্রভাতী শাখা) শিক্ষার্থী জোবায়েদ ইসলাম রাতুল বলেন, আমরা মেধার ভিত্তিতে ছাত্র ভর্তি চাই। আমরা সকালে সচিবালয়ে গিয়েছিলাম কোন সুরাহা না হওয়ায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। আজকের আন্দোলনে ছিল প্রভাতী শাখার শিক্ষার্থীরা। আমাদের প্রতিনিধিরা সচিবালয়ে রয়েছে দাবি আদায় না হলে কাল থেকে আরও কঠোর আন্দোলন হবে। আগামীকাল দিবা শাখার শিক্ষার্থীরাও যোগ দেবে।

বেলা সোয়া ১২টায় প্রিন্সিপাল শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করলে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দেন।

প্রিন্সিপাল কাজী শামীম ফরহাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির কথা ওপর মহলে পৌঁছে দিয়েছি। তাদের দাবির বিষয়ে আমার পর্যায় থেকে কিছু করার নেই। আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছি রাস্তা বন্ধ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি না করতে। ইতোমধ্যে অনেক যাত্রীর দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তারা আমার অনুরোধে রাস্তা থেকে সরে এসেছে।

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রভাতী ও দিবা শাখায় শিক্ষাদান করা হয়। তৃতীয়, সপ্তম ও নবম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

লটারি নয় মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে ভর্তির দাবিতে রেসিডেনসিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ০২:২০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

লটারি নয় মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে ভর্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রিন্সিপাল ব্রিগেডিয়ার কাজী শামীম ফরহাদের অনুরোধে রাস্তা ছাড়েন তারা। তবে শিগগিরই দাবি আদায় না হলে আবারও রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে স্কুলটির প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী মিরপুর রোডে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় তারা ‘লটারি না মেধা’ বলে স্লোগান দেয়। অনেককে রাস্তায় বসে পড়তে দেখা যায়।

জানা যায়, ভর্তির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সকালে একাধিকবার বৈঠক করে কর্তৃপক্ষ। এসময় তাদের আন্দোলন না করার আহ্বান জানায়। তবে শিক্ষার্থীরা এসবের তোয়াক্কা না করে গণভবনের সামনে সড়কে অবস্থান নেয়। এতে দু’পাশ থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেখা যায় দীর্ঘ যানজট। এতে ভোগান্তি পড়ে যাত্রী ও চালকরা। অনেকে বাধ্য হয়ে হেঁটেই গন্তব্যে যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, করোনাকালীন সময়ে শুরু হওয়া লটারি পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল করে মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা চালু করতে হবে। এই দাবিতে কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দেয়ার পরও কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী আন্দোলনে নামেন তারা।

তারা আরও বলেন, তৃতীয়, ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণীতে খুব দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি নিয়ে মেধার মূল্যায়ন করতে হবে। এছাড়া দাবি আদায়ে মানববন্ধনসহ নানান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তারা।

এই দাবির বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের আসায় তাদের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে অবস্থান করছেন বলেও জানান তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজে পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে শিক্ষার্থী ভর্তির রেওয়াজ ছিল। করোনার সময় পরীক্ষার বদলে লটারি প্রথা চালু হয়। এরপর থেকে সেই পদ্ধতিতে চলছে নতুন ছাত্র ভর্তি। ফলে মেধা থাকা স্বত্বেও অনেক শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানটিতে পড়ার সুযোগ হারাচ্ছেন। এই পদ্ধতি বাতিল করে পুনরায় মেধা যাচাই প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে কিংবা মেধা যাচাইয়ের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি নিতে হবে।

একাদশ শ্রেণির (প্রভাতী শাখা) শিক্ষার্থী জোবায়েদ ইসলাম রাতুল বলেন, আমরা মেধার ভিত্তিতে ছাত্র ভর্তি চাই। আমরা সকালে সচিবালয়ে গিয়েছিলাম কোন সুরাহা না হওয়ায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। আজকের আন্দোলনে ছিল প্রভাতী শাখার শিক্ষার্থীরা। আমাদের প্রতিনিধিরা সচিবালয়ে রয়েছে দাবি আদায় না হলে কাল থেকে আরও কঠোর আন্দোলন হবে। আগামীকাল দিবা শাখার শিক্ষার্থীরাও যোগ দেবে।

বেলা সোয়া ১২টায় প্রিন্সিপাল শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করলে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দেন।

প্রিন্সিপাল কাজী শামীম ফরহাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির কথা ওপর মহলে পৌঁছে দিয়েছি। তাদের দাবির বিষয়ে আমার পর্যায় থেকে কিছু করার নেই। আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছি রাস্তা বন্ধ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি না করতে। ইতোমধ্যে অনেক যাত্রীর দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তারা আমার অনুরোধে রাস্তা থেকে সরে এসেছে।

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রভাতী ও দিবা শাখায় শিক্ষাদান করা হয়। তৃতীয়, সপ্তম ও নবম শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়।