নিজস্ব প্রতিবেদক :
লজ্জাহীন সরকার রাষ্ট্র্রক্ষমতা ধরে রেখে জনগণকে বন্দি করে রেখেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, উন্মুক্ত কারাগারে জনগণকে বন্দি করে রেখেছে। গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কথা বলছে, তাদেরও বন্দি করে রাখা হয়েছে। সাজা দিয়ে গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। আজ মা দিবস। সারা দেশের মানুষ অনুভব করছে, তাদের মা বন্দি।
রোববার (১২ মে) সকালে শেরেবাংলা নগর জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নবনির্বাচিত কমিটির নেতাদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও জিয়ারত শেষে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, সেই মা আজ বাইরে থাকলে জনগণের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্র ফেরানো জন্য, যারা দুঃখ কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছেন, অনাহারে-অর্ধাহারে জীবনযাপন করছেন, তাদের জন্য তিনি সোচ্চার হতেন, সংগ্রাম করতেন। এরশাদের বিরুদ্ধে ৯ বছর আন্দোলন করেছেন খালেদা জিয়া। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করইে যাচ্ছেন। আর এ জন্য তার ওপর নির্মম নির্যাতন চলছে। বিশ্ব মা দিবসে তার আশু সুস্থতা এবং সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, নির্বাচন করছেন… সেখানে ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না। আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করছে। উপজেলা নির্বাচন হয়ে গেল, এখানে আরও ভোট কম পড়েছে। তাদের লজ্জা নেই। লজ্জাহীন সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা ধরে রেখে জনগণকে বন্দি করে রেখেছে। উন্মুক্ত কারাগারে জনগণকে বন্দি করে রেখেছে। গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কথা বলছে, তাদেরও তারা বন্দি
তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ যে চারদিক থেকে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তা হতো না। আজকে পত্রিকায় এসেছে প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ১৮ মিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। মানুষ প্রয়োজনীয় খাবার আমদানি করতে পারছে না। পাশাপাশি যে ঋণ নেওয়া হয়েছে… তাতে সুদ দিতে হবে এক লাখ কোটি ডলার। ঋণের টাকা পরিশোধ করবে না কি জনগণের উন্নয়নে কাজ করবে?
এই বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন… বাইরের কেউ থাকুক বা না থাকুক, প্রতিবেশী দেশ তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। দেশের জনগণ তাদের লাগে না। জনগণকে তালাক দিয়ে তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে আছে।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা বলেছেন, বাইরের কেউ থাকুক না থাকুক, পাশের দেশ আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। আপনাদের এ দেশের জনগণ লাগে না। আপনাদের ঘাড়ে আরব্য রজনীর দৈত্য বসে আছে, যাদের নির্দেশে আপনারা চলছেন। আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ যে চারদিক থেকে ধ্বসে যাচ্ছে, তা হতো না।
তিনি বলেন, আজকে পত্রিকায় এসেছে প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ১৮ মিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। মানুষ প্রয়োজনীয় খাবার আমদানি করতে পারছে না। পাশাপাশি যে ঋণ নেওয়া হয়েছে তাতে সুদ দিতে হবে এক লাখ কোটি ডলার। ঋণের টাকা পরিশোধ করবে নাকি জনগণের উন্নয়নে কাজ করবে। কারণ আরব্য রজনীর দৈত্যের নির্দেশে জনগণকে বাদ দিয়ে আপনারা কাজ করছেন।
এ সময়ে সভাপতি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলে সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, মহিলা দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রুমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক মহিলা দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাহিনুর নার্গিস, সিনিয়র সহ-সভাপতি দক্ষিণ সুরাইয়া বেগম, সহ-সভাপতি রেহানা ইয়াসমিন ডলি, হাসিনা আলম হাসি, খালেদা আলমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।