Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লঙ্কা লিগের নতুন চ্যাম্পিয়ন ক্যান্ডি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩
  • ২২০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক :

ডাম্বুলা অরা আর বি-লাভ ক্যান্ডি। দুই দলই প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছিল। ফলে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে, জানা ছিল আগেই। সেই নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নাম উঠলো বি-লাভ ক্যান্ডির।

প্রেমাদাসা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার (২০ আগস্ট) রাতে ডাম্বুলা অরাকে ৫ উইকেট আর ১ বল হাতে রেখে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে বি-লাভ ক্যান্ডি।

প্রথম দুটি ম্যাচই হেরে গিয়েছিল ক্যান্ডি। অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা গর্জে ওঠেন, তার ব্যাটে-বলে অসাধারণ ভূমিকায় ফাইনালে ওঠে দলটি। কিন্তু বড় মঞ্চেই তাকে পাওয়া গেলো না! ইনজুরিতে ফাইনালে খেলতে পারেননি হাসারাঙ্গা, ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব পান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ।

টস জিতে প্রতিপক্ষ ডাম্বুলাকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় ক্যান্ডি। শুরুতেই আভিস্কা ফার্নান্দোর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ডাম্বুলা। তবে সেটাকে বাড়তে দেননি কুশাল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামারাবিক্রমা। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫৭ রান। ব্যাট হাতে দুজনের কেউই খুব একটা আগ্রাসী ছিলেন না।

৩০ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান সামারাবিক্রমা। ২৩ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে একই ওভারে আউট হয়েছেন কুশলও। এরপরই ডাম্বুলা পায় রান তোলার গতি। ব্যাট হাতে বড় স্কোরের চেষ্টা করেন কুশল পেরেরা এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফেরে ডাম্বুলা। চতুর্থ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ৬৩ রান। ২৫ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কুশাল পেরেরা। অন্যদিকে ২৯ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন ধনঞ্জয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে সক্ষম হয় ডাম্বুলা।

১৪৮ রানের মাঝারি টার্গেটের জবাব দিতে নেমে ক্যান্ডির শুরুটা ছিল দারুণ। দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস এবং কামিন্দু মেন্ডিস শুরু থেকেই ছিলেন ছন্দে। পাওয়ারপ্লেতে ওভারপ্রতি ৮ রান করে পেয়েছে ক্যান্ডি। বিনা উইকেটে ৪৭ রান তোলে প্রথম ৬ ওভারে।

এরপরেই অবশ্য ছন্দপতন। ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ৪৯ রানের মাথায় আউট হয়ে যান হারিস। তবে মেন্ডিস ছিলেন অবিচল। সঙ্গে অভিজ্ঞ দীনেশ চান্দিমালও ছিলেন যোগ্য সঙ্গ হয়ে। ধীরে ধীরে ফিফটির কাছেই যাচ্ছিলেন মেন্ডিস। তবে ৩৭ বলে ৪৪ রানে থামতে হয়েছে তাকে। এক ওভার পরে আউট হয়ে যান চান্দিমালও। ২২ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ডাম্বুলা। কিন্তু তাদের শিরোপা স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ান পাকিস্তানের আসিফ আলী আর ক্যান্ডির অধিনায়ক ম্যাথিউস।

১০ বলে ১৯ রানের দ্রুতগতির ইনিংস খেলে আসিফ আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন ম্যাথিউস।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রান। প্রথম চার বল থেকে পাঁচ রান তুলে ম্যাচ টাই করেন ম্যাথুজ ও মাদুশাঙ্কা। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন মাদুশাঙ্কা। ২৫ রানে অপরাজিত থাকা ম্যাথুজ ফাইনালের সেরা হয়েছেন।

ফাইনালে খেলতে না পারলেও টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন হাসারাঙ্গা। ব্যাটে-বলে দুই জায়গায় তিনি শীর্ষে। ৯ ইনিংসে ২৭৯ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে ১৯ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান এই অলরাউন্ডার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

লঙ্কা লিগের নতুন চ্যাম্পিয়ন ক্যান্ডি

প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক :

ডাম্বুলা অরা আর বি-লাভ ক্যান্ডি। দুই দলই প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছিল। ফলে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে, জানা ছিল আগেই। সেই নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নাম উঠলো বি-লাভ ক্যান্ডির।

প্রেমাদাসা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার (২০ আগস্ট) রাতে ডাম্বুলা অরাকে ৫ উইকেট আর ১ বল হাতে রেখে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে বি-লাভ ক্যান্ডি।

প্রথম দুটি ম্যাচই হেরে গিয়েছিল ক্যান্ডি। অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা গর্জে ওঠেন, তার ব্যাটে-বলে অসাধারণ ভূমিকায় ফাইনালে ওঠে দলটি। কিন্তু বড় মঞ্চেই তাকে পাওয়া গেলো না! ইনজুরিতে ফাইনালে খেলতে পারেননি হাসারাঙ্গা, ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব পান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ।

টস জিতে প্রতিপক্ষ ডাম্বুলাকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় ক্যান্ডি। শুরুতেই আভিস্কা ফার্নান্দোর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ডাম্বুলা। তবে সেটাকে বাড়তে দেননি কুশাল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামারাবিক্রমা। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫৭ রান। ব্যাট হাতে দুজনের কেউই খুব একটা আগ্রাসী ছিলেন না।

৩০ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান সামারাবিক্রমা। ২৩ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে একই ওভারে আউট হয়েছেন কুশলও। এরপরই ডাম্বুলা পায় রান তোলার গতি। ব্যাট হাতে বড় স্কোরের চেষ্টা করেন কুশল পেরেরা এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফেরে ডাম্বুলা। চতুর্থ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ৬৩ রান। ২৫ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কুশাল পেরেরা। অন্যদিকে ২৯ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন ধনঞ্জয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে সক্ষম হয় ডাম্বুলা।

১৪৮ রানের মাঝারি টার্গেটের জবাব দিতে নেমে ক্যান্ডির শুরুটা ছিল দারুণ। দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস এবং কামিন্দু মেন্ডিস শুরু থেকেই ছিলেন ছন্দে। পাওয়ারপ্লেতে ওভারপ্রতি ৮ রান করে পেয়েছে ক্যান্ডি। বিনা উইকেটে ৪৭ রান তোলে প্রথম ৬ ওভারে।

এরপরেই অবশ্য ছন্দপতন। ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ৪৯ রানের মাথায় আউট হয়ে যান হারিস। তবে মেন্ডিস ছিলেন অবিচল। সঙ্গে অভিজ্ঞ দীনেশ চান্দিমালও ছিলেন যোগ্য সঙ্গ হয়ে। ধীরে ধীরে ফিফটির কাছেই যাচ্ছিলেন মেন্ডিস। তবে ৩৭ বলে ৪৪ রানে থামতে হয়েছে তাকে। এক ওভার পরে আউট হয়ে যান চান্দিমালও। ২২ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ডাম্বুলা। কিন্তু তাদের শিরোপা স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ান পাকিস্তানের আসিফ আলী আর ক্যান্ডির অধিনায়ক ম্যাথিউস।

১০ বলে ১৯ রানের দ্রুতগতির ইনিংস খেলে আসিফ আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন ম্যাথিউস।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রান। প্রথম চার বল থেকে পাঁচ রান তুলে ম্যাচ টাই করেন ম্যাথুজ ও মাদুশাঙ্কা। পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন মাদুশাঙ্কা। ২৫ রানে অপরাজিত থাকা ম্যাথুজ ফাইনালের সেরা হয়েছেন।

ফাইনালে খেলতে না পারলেও টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন হাসারাঙ্গা। ব্যাটে-বলে দুই জায়গায় তিনি শীর্ষে। ৯ ইনিংসে ২৭৯ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে ১৯ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান এই অলরাউন্ডার।