স্পোর্টস ডেস্ক :
কে কাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন, সেই প্রতিযোগিতা মাথায় নিয়েই সম্ভবত নেমেছিলেন শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। একজন অন্যজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এই প্রতিযোগিতায় লাভ হলো গুজরাট টাইটানসের। এই দুই ওপেনার মিলেই স্কোরবোর্ডে তুলে ফেললেন ১৭৫ রান। সেই রানটাই তো করতে পারলো না গোটা লখনউ সুপার জায়ান্টস!
এবারের আইপিএলে অন্যতম আলো ঝলমলে সূচনা ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। প্রথম ৬ ম্যাচে জিততে পারে ৪ ম্যাচ। তার পর অবশ্য হতাশার বৃত্তে বন্দি লখনউ। ৪ ম্যাচে জিততে পারে একটি ম্যাচ। রোববার (৭ মে) তারা মুখোমুখি হয়েছিল টেবিলের শীর্ষ দল ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানসের। যাদের বিপক্ষে আগের তিনবারের লড়াইয়েও জয় ছিল না। সর্বশেষ লড়াইয়েও ভাগ্য বদলালো না তাদের। আইপিএলে গুজরাটের কাছে ৫৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে লখনউ।
১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট ও শ্রেয়তর রানরেট নিয়ে প্লে-অফে এক পা দিয়েও ফেলেছে হার্দিক পান্ডিয়ারা।দুইয়ে থাকা চেন্নাইয়ের চেয়ে ৩ তারা পয়েন্টে এগিয়ে। সমান ম্যাচে চেন্নাইয়ের পয়েন্ট ১৩।
লোকেশ রাহুল ছিটকে যাওয়ায় লখনউয়ের নেতৃত্বে ছিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। প্রতিপক্ষ গুজরাটের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া আবার তারই ছোট ভাই। দুই পান্ডিয়ার লড়াইয়ে জিতলেন হার্দিক পান্ডিয়াই।
আহমেদাবাদে টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং নিয়েও গুজরাটের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের সামনে কোনও বাধা হতে পারেনি লখনউ। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে তারা ২২৭ রান সংগ্রহ করেছে। যার পেছনে বড় অবদান দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিলের। ১২.১ ওভারে ওপেনিং জুটিতেই তারা ১৪২ রান যোগ করেছেন। সাহা ৪৩ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কার ৮১ রানের ইনিংসে আউট হলে ভাঙে জুটি। তবে গিল ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। যদিও অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পাননি তিনি। ৫১ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় তাণ্ডব চালিয়ে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচসেরাও তিনি। তাছাড়া ১৫ বলে ২৫ রানের কার্যকরী ইনিংসে ভূমিকা রাখেন হার্দিক। শেষ দিকে দারুণ ফিনিশিংয়ে অবদান ছিল ডেভিড মিলারেরও। ১২ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটার। তাতে ছিল ২টি চার ও ১টি ছয়।
বড় স্কোরের বিপরীতে ৭ উইকেটে ১৭১ রানই করতে পারে লখনউ। বিশাল লক্ষ্যের বিপরীতে যেমন বারুদ দরকার ছিল সেটার প্রদর্শনী ছিল লখনউয়ের। কাইল মেয়ার্স ও কুইন্টন ডি ককের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দারুণভাবে জবাব দিতে থাকে তারা। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৮.২ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৮৮ রান যোগ হয়েছে। মেয়ার্সকে (৪৮) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটি ভাঙার পরই মূলত লখনউ ধীরে ধীরে লক্ষ্য থেকে ছিটকে যেতে থাকে। ডি কক একপ্রান্তে আগ্রাসন বজায় রেখে খেললেও অপরপ্রান্তে যোগ্য সঙ্গী ছিল না। যার খেসারত দেয় শেষ পর্যন্ত। ডি কক দলীয় ১৪০ রানে আউট হলে আর কেউ লড়াই করতে পারেনি। প্রোটিয়া ব্যাটার ফেরার আগে ৪১ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। তার পর শেষ দিকে বলার মতো ২১ রান আসে আইয়ুশ বাদোনির ব্যাট থেকে। ডানহাতি পেসার মোহিত ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন। একটি করে নিয়েছেন মোহাম্মদ সামি, রশিদ খান ও নূর আহমেদ।তবে ম্যাচসেরা হন ব্যাট হাতে ঝড় তোলা গিল।