লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর সদরে বাড়িতে ঢুকে ধাওয়া করে নুর আলম (৬০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নুর চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি পাঁচপাড়া গ্রামে। তিনি বাড়ির পাশে একটি দোকানে পোশাক সেলাইয়ের কাজ করতেন।
ঘটনার বর্ণনায় নিহতের ছেলে আরিফ বলেন, সন্ধ্যার পর আমার বাবা ঘরে ছিলেন। এ সময় তার মোবাইল ফোনে কে বা কারা কল করে জানায় যে, লোকজন তাকে মারতে আসছে। তখন তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া মাত্রই বাড়ির পেছনে হামলাকারীরা তাকে আক্রমণ করে। তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি পুকুরে পড়ে যান। সেখান থেকে তুলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আমার বাবা তাদের বলেছিলেন, আমাকে মেরো না, তুলে নিয়ে যাও। তারপরও তারা মেরে ফেলল।
আরিফ বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘর থেকে বেরিয়ে বাবাকে মারতে দেখি। ওই সময় হামলাকারী দুইজন আমাকেও ধরে রেখেছিল। আমি তাদের হাত থেকে ছুটে পুকুরের অন্য পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিই। আমার মা মমতাজ বেগম হামলাকারীদের পায়ে ধরে ছিলেন, যাতে বাবাকে না মারে। কিন্তু কেউ কোনো কথা শোনেননি। আমার মাকেও মারধর করা হয়েছে। আমার বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও কারো ক্ষতি করেননি। হামলার পর প্রথমে তাকে চন্দ্রগঞ্জের একটি হাসপাতালে, পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরিফ দাবি করেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোকন নামের একজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন, যিনি হামলার নেতৃত্বে ছিলেন। তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন ছিলেন। খোকন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, দুর্বৃত্তের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালেও পুলিশ পাঠানো হবে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।