Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন জাগো ফাউন্ডেশনের করভী রাখসান্দ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

‘এশিয়ার নোবেল‘ খ্যাত র‌্যামন ম্যাগসাসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান্দ।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ফিলিপাইন থেকে বিশ্বব্যাপী মর্যাদাসম্পন্ন এই পুরস্কারে মোট চারজনকে ভূষিত করার ঘোষণা দেয় র‌্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন।

এ বছর কয়েকটি ক্যাটগরিতে মোট চারজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন ভারতের রবি কানন, তিমুরের ইগুনিও লেমোস, ফিলিপাইনের মিরিয়াম কোরোনেল-ফেরারূ ও বাংলাদেশের করভী রাখসান্দ।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষায় অবদান রাখায় তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে উদীয়মান নেতৃত্বের ক্যাটাগরিতে এই পদক বিজয়ীদের একজন হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষায় অবদান রাখায় তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার পাওয়া অপর তিনজন হলেন, ভারতের রবি কানন, তিমুরের ইগুনিও লেমোস ও ফিলিপাইনের মিরিয়াম কোরোনেল-ফেরারূ।

ফিলিপাইনের সপ্তম প্রেসিডেন্ট র‌্যামন ম্যাগসাইসাইয়ের নামে প্রতিষ্ঠিত র‌্যামন ম্যাগসাসাইয় অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টিস এ পুরস্কার দিয়ে থাকে।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ৩৮ বছর বয়সী করভী রাখসান্দ ছয় বন্ধুকে নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। তারা ২০০৭ সালে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান জাগো ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, প্রথমে খুব ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে জাগো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যেটি মূলত শিক্ষা নিয়ে কাজ করে। তারা নিজস্ব ১১টি গতানুগতিক ও অনলাইন স্কুলের মাধ্যমে ১০টি জেলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে সরকার-স্বীকৃত ইংরেজি ভাষার প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে। র‌্যামন ম্যাগসাসের বোর্ড অব ট্রাস্টিস তার এই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার দিয়েছে।

এদিকে এর আগে এশিয়ার নোবেলখ্যাত এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন আরও ১২ বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন স্যার ফজলে আবেদ খান, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস, ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। করভী রাখসান্দ ১৩তম বাংলাদেশি হিসেবে দেশের জন্য এ সুনাম বয়ে এসেছেন।

আবহাওয়া

র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন জাগো ফাউন্ডেশনের করভী রাখসান্দ

প্রকাশের সময় : ১১:৫০:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

‘এশিয়ার নোবেল‘ খ্যাত র‌্যামন ম্যাগসাসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান্দ।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ফিলিপাইন থেকে বিশ্বব্যাপী মর্যাদাসম্পন্ন এই পুরস্কারে মোট চারজনকে ভূষিত করার ঘোষণা দেয় র‌্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন।

এ বছর কয়েকটি ক্যাটগরিতে মোট চারজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন ভারতের রবি কানন, তিমুরের ইগুনিও লেমোস, ফিলিপাইনের মিরিয়াম কোরোনেল-ফেরারূ ও বাংলাদেশের করভী রাখসান্দ।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষায় অবদান রাখায় তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে উদীয়মান নেতৃত্বের ক্যাটাগরিতে এই পদক বিজয়ীদের একজন হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষায় অবদান রাখায় তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার পাওয়া অপর তিনজন হলেন, ভারতের রবি কানন, তিমুরের ইগুনিও লেমোস ও ফিলিপাইনের মিরিয়াম কোরোনেল-ফেরারূ।

ফিলিপাইনের সপ্তম প্রেসিডেন্ট র‌্যামন ম্যাগসাইসাইয়ের নামে প্রতিষ্ঠিত র‌্যামন ম্যাগসাসাইয় অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টিস এ পুরস্কার দিয়ে থাকে।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ৩৮ বছর বয়সী করভী রাখসান্দ ছয় বন্ধুকে নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। তারা ২০০৭ সালে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান জাগো ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, প্রথমে খুব ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে জাগো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যেটি মূলত শিক্ষা নিয়ে কাজ করে। তারা নিজস্ব ১১টি গতানুগতিক ও অনলাইন স্কুলের মাধ্যমে ১০টি জেলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে সরকার-স্বীকৃত ইংরেজি ভাষার প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে। র‌্যামন ম্যাগসাসের বোর্ড অব ট্রাস্টিস তার এই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার দিয়েছে।

এদিকে এর আগে এশিয়ার নোবেলখ্যাত এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন আরও ১২ বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন স্যার ফজলে আবেদ খান, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস, ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। করভী রাখসান্দ ১৩তম বাংলাদেশি হিসেবে দেশের জন্য এ সুনাম বয়ে এসেছেন।