নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর মধ্যে ঢাকায় ৭১ জন ও ঢাকার বাইরে ২১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২৭ জুলাই) র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ঢাকায় ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ১৬ জন।
এছাড়া নাশকতা, সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এখন পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ঢাকায় ৭১ জন ও ঢাকার বাইরে ২১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিটিভি ভবন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব মো. তারেক রহমানসহ চারজনকে রাজধানীর মিরপুর ও বাড্ডা এলাকা থেকে আটক করে র্যাব। তারা হলেন- গণঅধিকার পরিষদের যুগ্মা সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান (৩১) ও তার সহযোগী মো. সজল মিয়া (২৪), আল ফয়সাল রকি (২৭) ও মো. আরিফুল ইসলাম (৩০)।
র্যাব জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হামলা, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগে আটকরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্রের নির্দেশনায় তারা এ হামলা ও নাশকতায় অংশ নেন।
আটককৃতরা মূলত তারেকের (কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক) নির্দেশনা ও নেতৃত্বে রাজধানীর বিটিভি ভবন, মেট্রো রেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনসহ রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুরে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী কুচক্রী মহলের সঙ্গে তারেক নিয়মিত যোগাযোগ করতেন।