Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ঢোকানো থেকে শুরু করে মিয়ানমার পায়ে পাড়া দিয়ে রাজনৈতিক উসকানি দিচ্ছে : র‌্যাব ডিজি

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

মিয়ানমার অনেক আগে থেকেই চাচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বলে মন্তব্য করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা ঢোকানো থেকে শুরু করে তারা (মিয়ানমার) পায়ে পাড়া দিয়ে রাজনৈতিক উসকানি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোভাবের কারণে এটা থেকে রক্ষা পেয়েছি। এখন যুদ্ধে যাওয়া মানে দেশটা শেষ হয়ে যাওয়া। মিয়ানমারে এখন সামরিক সরকার রয়েছে। তাদের আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ চলছে। তাই ওরা আমাদের সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজ মাঠে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, মাদক এখন আকাশ, নৌপথ দিয়ে এবং মিয়ানমার থেকে বেশি আসছে। এটি পরিকল্পিতভাবে পাঠানো হচ্ছে। আমরা জাল ফেলে রেখেছি, মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় গ্যাংস্টারকে জালের মধ্যে ফেলেছি। মাদক নিয়ন্ত্রণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যে কোনো মূল্যে মিয়ানমার রুট বন্ধ করা হবে।

তিনি বলেন, মাদক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা। রাতারাতি ধনী হওয়ার ব্যবসা। এটা জনপ্রতিনিধিসহ সবাই জানে। বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী রয়েছে। কোনো একক বাহিনীর পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না। মাদক নির্মূল করতে হলে সবাই মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোনো একক বাহিনীর পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না। মাদক নির্মূল করতে হলে সবাইকে মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অল আউট অ্যাকশনে যেতে হবে। গডফাদার ও কিশোর গ্যাং কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

এম খুরশীদ হোসেন বলেন, এই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে শুধু বইখাতা দিয়ে স্কুলে পাঠালে হবে না। এই বাস্তবতা কিন্তু এখন আর নাই। তাই বাচ্চাদের শৈশব থেকে শিখাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে পড়ে কেউ নীতি-নৈতিকতা শেখে না, সেটা পরিবার থেকেই শিখতে হয়। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের মূল ভূমিকা পরে শিক্ষকদের।

এসময় শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে র‌্যাব ডিজি বলেন, আপনাদের মডেল হতে হবে। কারণ পরিবারের পরেই আপনাদের স্থান। আপনাদেরই শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। আপনাদের সুযোগ সুবিধা এখন একটু কম থাকলেও আগামীতে ঠিক হয়ে যাবে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে ডিজি বলেন, ছেলে-মেয়েকে স্কুল-কলেজে পাঠিয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না। খবর রাখতে হবে মাদকের সহজলভ্যতা সন্তানটিকে শেষ করে দিচ্ছে কিনা।

দেশে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে র‌্যাব ডিজি বলেন, বর্তমানে দেশে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে বলেই আমাদের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এখনকার প্রত্যেকটি ক্যাডারের মধ্যে পেশাদারিত্বের ঘাটতি রয়েছে। যেমন লেখাপড়ায় ঘাটতি রয়েছে, পেশাদারিত্বে ঘাটতি রয়েছে, শৃঙ্খলায়ও ঘাটতি রয়েছে। এটাকে ওভারকাম করতে হলে এখন থেকে চেষ্টা করতে হবে। যাতে যুব সমাজ বা নতুন প্রজন্ম অবাধ্য হয়ে না যায়।

এমএ খালেক ডিগ্রি কলেজ মাঠে র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে.কর্নেল ফিরোজ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা ও বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কেএম মাহাবুব, ভাটিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার সেলিম তালুকদার, পুলিশ সুপার (অপারেশন) কাজী মাহাবুবুল আলম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

পরে প্রধান অতিথি কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ১০৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে ১০ হাজার টাকা করে বৃত্তি ও ক্রেস্ট তুলে দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের নেতৃত্বের সুযোগ এসেছে : শিল্প উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা ঢোকানো থেকে শুরু করে মিয়ানমার পায়ে পাড়া দিয়ে রাজনৈতিক উসকানি দিচ্ছে : র‌্যাব ডিজি

প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

মিয়ানমার অনেক আগে থেকেই চাচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বলে মন্তব্য করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা ঢোকানো থেকে শুরু করে তারা (মিয়ানমার) পায়ে পাড়া দিয়ে রাজনৈতিক উসকানি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোভাবের কারণে এটা থেকে রক্ষা পেয়েছি। এখন যুদ্ধে যাওয়া মানে দেশটা শেষ হয়ে যাওয়া। মিয়ানমারে এখন সামরিক সরকার রয়েছে। তাদের আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ চলছে। তাই ওরা আমাদের সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজ মাঠে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, মাদক এখন আকাশ, নৌপথ দিয়ে এবং মিয়ানমার থেকে বেশি আসছে। এটি পরিকল্পিতভাবে পাঠানো হচ্ছে। আমরা জাল ফেলে রেখেছি, মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় গ্যাংস্টারকে জালের মধ্যে ফেলেছি। মাদক নিয়ন্ত্রণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যে কোনো মূল্যে মিয়ানমার রুট বন্ধ করা হবে।

তিনি বলেন, মাদক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা। রাতারাতি ধনী হওয়ার ব্যবসা। এটা জনপ্রতিনিধিসহ সবাই জানে। বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী রয়েছে। কোনো একক বাহিনীর পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না। মাদক নির্মূল করতে হলে সবাই মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোনো একক বাহিনীর পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না। মাদক নির্মূল করতে হলে সবাইকে মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অল আউট অ্যাকশনে যেতে হবে। গডফাদার ও কিশোর গ্যাং কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

এম খুরশীদ হোসেন বলেন, এই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে শুধু বইখাতা দিয়ে স্কুলে পাঠালে হবে না। এই বাস্তবতা কিন্তু এখন আর নাই। তাই বাচ্চাদের শৈশব থেকে শিখাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে পড়ে কেউ নীতি-নৈতিকতা শেখে না, সেটা পরিবার থেকেই শিখতে হয়। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের মূল ভূমিকা পরে শিক্ষকদের।

এসময় শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে র‌্যাব ডিজি বলেন, আপনাদের মডেল হতে হবে। কারণ পরিবারের পরেই আপনাদের স্থান। আপনাদেরই শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। আপনাদের সুযোগ সুবিধা এখন একটু কম থাকলেও আগামীতে ঠিক হয়ে যাবে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে ডিজি বলেন, ছেলে-মেয়েকে স্কুল-কলেজে পাঠিয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না। খবর রাখতে হবে মাদকের সহজলভ্যতা সন্তানটিকে শেষ করে দিচ্ছে কিনা।

দেশে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে র‌্যাব ডিজি বলেন, বর্তমানে দেশে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে বলেই আমাদের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এখনকার প্রত্যেকটি ক্যাডারের মধ্যে পেশাদারিত্বের ঘাটতি রয়েছে। যেমন লেখাপড়ায় ঘাটতি রয়েছে, পেশাদারিত্বে ঘাটতি রয়েছে, শৃঙ্খলায়ও ঘাটতি রয়েছে। এটাকে ওভারকাম করতে হলে এখন থেকে চেষ্টা করতে হবে। যাতে যুব সমাজ বা নতুন প্রজন্ম অবাধ্য হয়ে না যায়।

এমএ খালেক ডিগ্রি কলেজ মাঠে র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে.কর্নেল ফিরোজ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা ও বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কেএম মাহাবুব, ভাটিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার সেলিম তালুকদার, পুলিশ সুপার (অপারেশন) কাজী মাহাবুবুল আলম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

পরে প্রধান অতিথি কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ১০৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে ১০ হাজার টাকা করে বৃত্তি ও ক্রেস্ট তুলে দেন।