রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা চায় বাংলাদেশ। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের কারণে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা হুমকির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মন্তব্য, ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে এ সমস্যাকে জিইয়ে রাখছে কিছু দেশ।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে প্রতি বছর জন্ম নিচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার শিশু। এতে পাঁচ বছর আগে যে সংখ্যা ছিলো সাড়ে সাত লাখ তা এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ লাখে। এছাড়া, আগে থেকেই এদেশে ছিল ৩ লাখ রোহিঙ্গা।
পুলিশের হিসাবে, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯৯ জন খুন হয়েছে। এছাড়া, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, মানবপাচার, অপহরণ, ধর্ষণসহ ১৪ ধরনের অপরাধে যুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গারা। গত ৫ বছরে মামলা হয়েছে ১ হাজার ৯০৮টি। বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের কারণে এখন হুমকির মুখে স্থানীয়রা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ ও বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। যারা এই স্বীকৃতি দিয়েছে তারাই দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াচ্ছে, এটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তেমন সাড়া পাচ্ছে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।