Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র : আফরিন

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের কোনোমতেই জোর করে মিয়ানমারে পাঠানো যাবে না। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান চাই আমরা। কিন্তু মিয়ানমারে এখনও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। মিয়ানমার সরকার সেখানে কোনও মানবাধিকার সংগঠনকে প্রবেশ করতে দেয় না। ফলে সেখানের আসল পরিস্থিতি জানা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে সভার পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ওখানে এখনো সামরিক দাঙ্গা চলছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পছন্দ মতো গ্রামে বসতি স্থাপন করতে দিচ্ছে না। সেখানে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা পাঠানোর অনুমোদন দিচ্ছে না। তাই আমি মনে করি না এটা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত সময়।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বড় দাতা দেশ জানিয়ে আফরিন বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ২২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পছন্দমতো গ্রামে বসতি স্থাপন করতে এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা পাঠানোর অনুমোদন দিচ্ছে না। তাই এটা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত সময় বলে আমি মনে করছি না।

ব্রিফিংয়ে তিনি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বানিজ্য এবং বিনিয়োগে দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের অংশীদার। অবাধ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সব সময় বলে আসছে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঢাকা এবং কক্সবাজারে ব্যস্ত সময় কেটেছে আমার। সোমবার আমি পররাষ্ট্র সচিব মোমেন এবং আরও কয়েকজন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের মধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কথা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইস্যুতেও আমাদের কথা হয়েছে যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল।

এর আগে সকাল পৌনে ৯টার দিকে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছায় আফরিন আক্তার। এরপর তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে বিকেলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র : আফরিন

প্রকাশের সময় : ০৯:৪১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের কোনোমতেই জোর করে মিয়ানমারে পাঠানো যাবে না। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান চাই আমরা। কিন্তু মিয়ানমারে এখনও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। মিয়ানমার সরকার সেখানে কোনও মানবাধিকার সংগঠনকে প্রবেশ করতে দেয় না। ফলে সেখানের আসল পরিস্থিতি জানা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে সভার পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ওখানে এখনো সামরিক দাঙ্গা চলছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পছন্দ মতো গ্রামে বসতি স্থাপন করতে দিচ্ছে না। সেখানে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা পাঠানোর অনুমোদন দিচ্ছে না। তাই আমি মনে করি না এটা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত সময়।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বড় দাতা দেশ জানিয়ে আফরিন বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ২২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পছন্দমতো গ্রামে বসতি স্থাপন করতে এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা পাঠানোর অনুমোদন দিচ্ছে না। তাই এটা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত সময় বলে আমি মনে করছি না।

ব্রিফিংয়ে তিনি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বানিজ্য এবং বিনিয়োগে দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের অংশীদার। অবাধ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সব সময় বলে আসছে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঢাকা এবং কক্সবাজারে ব্যস্ত সময় কেটেছে আমার। সোমবার আমি পররাষ্ট্র সচিব মোমেন এবং আরও কয়েকজন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের মধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কথা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইস্যুতেও আমাদের কথা হয়েছে যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল।

এর আগে সকাল পৌনে ৯টার দিকে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছায় আফরিন আক্তার। এরপর তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে বিকেলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।