নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। রোববার (৪ আগস্ট) থেকে ধাপে ধাপে খোলার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার (৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে জানানো হয়, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ধাপে ধাপে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আগামী ৪ আগস্ট থেকে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদী জেলার পৌর এলাকা ব্যতীত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম অনুমোদিত সময়সূচি অনুযায়ী চালু হবে বলে জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ৩১ জুলাই দেশের সব (১২টি) সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদী পৌর এলাকা ছাড়া দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ৪ আগস্ট রবিবার থেকে চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৭ আগস্ট থেকে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশনের এলাকাভুক্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণিকার্যক্রমও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
আর ১৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অধীনে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।