Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোজা শুরুর আগেই বেড়েছে বেশ কিছু পণ্যের দাম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান। শনিবার (১ মার্চ) রাত থেকেই শুরু হচ্ছে মুসলিম ধর্মালম্বীদের সিয়াম সাধনার মাস। তবে এর মধেই বাজারে বেড়েছে লেবু, বেগুন ও শসার দাম। মুরগি, মাছ ও মাংসের দামও বেড়েছে। সাধারণত রোজার সময় এসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। তবে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম এখনও বাড়েনি। আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে এসব পণ্য।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে রমজানের পণ্যের এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এসব বাজারে ক্রেতা সাধারণের ভিড় ছিল উপচে পড়া।

রমজানে শরবত তৈরির জন্য লেবুর চাহিদাও বাড়ে। ফলে বাজারে এখন কিছুটা বাড়তি দামে লেবু বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি শরবতি লেবু ৭০ টাকা এবং অন্যান্য লেবু ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শশা প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা ও গাজর ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া অন্যান্য শাক সবজির মধ্যে প্রতি কেজি টমেটো ৩০ টাকা, দেশি গাজর ৩০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৬০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৭০ টাকা, শসা ৪০-৬০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, লাল মূলা ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ১৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা ফালি, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংস হাড়ছাড়া প্রতিকেজি ৯৫০ টাকা এবং হাড়সহ ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম আবারও অন্তত ১০ টাকা কমে প্রতি ডজন ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিম প্রতি ডজন ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের মধ্যে বাজারে আকারভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতলা মাছ ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ও শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বেলে ও আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ট্যাংরা প্রতিকেজি ৬০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং গলদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে।

পাইকারি ও খুচরায় আদা এবং রসুনের দামও কেজিতে অন্তত ২০ টাকা কমেছে। পাইকারিতে ভারতীয় ও দেশি আদা প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মিয়ানমারের আদা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, রসুন ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় বিভিন্ন ধরনের আদা ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়।

পাইকারিতে মসুর, মটর ও চনার ডাল গত মাসের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। মোটা দানার মসুর ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, চনার ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা এবং মটরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। খুচরায় ডালের মধ্যে ছোট মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরায় বোতলের সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৮৫০ থেকে ৮৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই হিসাবে দাম সরকার নির্ধারিত দরেই আছে। তবে সরকার প্রতিলিটার খোলা সয়াবিনের দর ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ১৮২ টাকা দরে।

রমজানের আরেকটি বেশি চাহিদাসম্পন্ন পণ্য খেজুরের দামও এবার কম। বাজারে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ রকমের খেজুর পাওয়া যায়। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত বছরের চেয়ে এবার বিভিন্ন ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

খেজুরের পাইকারি বাজার দেখা গেছে, জাহিদি খেজুর প্রতিকেজি ১৮০ টাকা ও মেডজুল খেজুর ১৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত রমজানে জাহিদি খেজুরের দাম ৫০ টাকা বেশি ছিল। আর মেডজুল খেজুরের দাম কমেছে ১৮০ টাকা। এছাড়া পাইকারিতে প্রতি কেজি দাব্বাস খেজুর ৩০০-৩৬০ টাকা, মাশরুখ ৪০০ টাকা, সাফারি ৬০০ টাকা, সৌদি আরবের আম্বর ৬০০ টাকা, নাকাল ২৮০ টাকা ও ছড়া খেজুর ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আজোয়া ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা, আম্বর ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে খুচরায় দাব্বাস খেজুর মানভেদে প্রতি কেজি ৪০০-৪২০ টাকায়, নাকাল ৩২০-৩৫০ টাকা, জাহিদি ২২০-২৫০ টাকা, আজোয়া ১ থেকে ২ হাজার টাকা এবং মেডজুল ১০০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদি পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, খোলা ময়দা ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে চালের দর এখনও চড়া রয়ে গেছে। খুচরায় প্রতিকেজি নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট সরু আতপ চাল মানভেদে ৫৮, ৬৫ ও ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম সিদ্ধ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ টাকায়। ব্রি-২৮ চাল মানভেদে ৮০ ও ৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনিগুঁড়া প্রতিকেজি ১৪০ টাকা এবং কিছুটা উন্নতমানের চিনিগুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

 

 

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রোজা শুরুর আগেই বেড়েছে বেশ কিছু পণ্যের দাম

প্রকাশের সময় : ০১:১৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান। শনিবার (১ মার্চ) রাত থেকেই শুরু হচ্ছে মুসলিম ধর্মালম্বীদের সিয়াম সাধনার মাস। তবে এর মধেই বাজারে বেড়েছে লেবু, বেগুন ও শসার দাম। মুরগি, মাছ ও মাংসের দামও বেড়েছে। সাধারণত রোজার সময় এসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। তবে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম এখনও বাড়েনি। আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে এসব পণ্য।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে রমজানের পণ্যের এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এসব বাজারে ক্রেতা সাধারণের ভিড় ছিল উপচে পড়া।

রমজানে শরবত তৈরির জন্য লেবুর চাহিদাও বাড়ে। ফলে বাজারে এখন কিছুটা বাড়তি দামে লেবু বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি শরবতি লেবু ৭০ টাকা এবং অন্যান্য লেবু ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শশা প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা ও গাজর ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া অন্যান্য শাক সবজির মধ্যে প্রতি কেজি টমেটো ৩০ টাকা, দেশি গাজর ৩০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৬০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৭০ টাকা, শসা ৪০-৬০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, লাল মূলা ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ১৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা ফালি, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংস হাড়ছাড়া প্রতিকেজি ৯৫০ টাকা এবং হাড়সহ ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম আবারও অন্তত ১০ টাকা কমে প্রতি ডজন ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিম প্রতি ডজন ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের মধ্যে বাজারে আকারভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতলা মাছ ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ও শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বেলে ও আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ট্যাংরা প্রতিকেজি ৬০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং গলদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে।

পাইকারি ও খুচরায় আদা এবং রসুনের দামও কেজিতে অন্তত ২০ টাকা কমেছে। পাইকারিতে ভারতীয় ও দেশি আদা প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মিয়ানমারের আদা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, রসুন ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় বিভিন্ন ধরনের আদা ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়।

পাইকারিতে মসুর, মটর ও চনার ডাল গত মাসের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। মোটা দানার মসুর ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, চনার ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা এবং মটরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। খুচরায় ডালের মধ্যে ছোট মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরায় বোতলের সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৮৫০ থেকে ৮৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই হিসাবে দাম সরকার নির্ধারিত দরেই আছে। তবে সরকার প্রতিলিটার খোলা সয়াবিনের দর ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ১৮০ থেকে ১৮২ টাকা দরে।

রমজানের আরেকটি বেশি চাহিদাসম্পন্ন পণ্য খেজুরের দামও এবার কম। বাজারে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ রকমের খেজুর পাওয়া যায়। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত বছরের চেয়ে এবার বিভিন্ন ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

খেজুরের পাইকারি বাজার দেখা গেছে, জাহিদি খেজুর প্রতিকেজি ১৮০ টাকা ও মেডজুল খেজুর ১৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত রমজানে জাহিদি খেজুরের দাম ৫০ টাকা বেশি ছিল। আর মেডজুল খেজুরের দাম কমেছে ১৮০ টাকা। এছাড়া পাইকারিতে প্রতি কেজি দাব্বাস খেজুর ৩০০-৩৬০ টাকা, মাশরুখ ৪০০ টাকা, সাফারি ৬০০ টাকা, সৌদি আরবের আম্বর ৬০০ টাকা, নাকাল ২৮০ টাকা ও ছড়া খেজুর ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আজোয়া ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা, আম্বর ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে খুচরায় দাব্বাস খেজুর মানভেদে প্রতি কেজি ৪০০-৪২০ টাকায়, নাকাল ৩২০-৩৫০ টাকা, জাহিদি ২২০-২৫০ টাকা, আজোয়া ১ থেকে ২ হাজার টাকা এবং মেডজুল ১০০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদি পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, খোলা ময়দা ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে চালের দর এখনও চড়া রয়ে গেছে। খুচরায় প্রতিকেজি নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট সরু আতপ চাল মানভেদে ৫৮, ৬৫ ও ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম সিদ্ধ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ টাকায়। ব্রি-২৮ চাল মানভেদে ৮০ ও ৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনিগুঁড়া প্রতিকেজি ১৪০ টাকা এবং কিছুটা উন্নতমানের চিনিগুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।