মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি :
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে দেশের উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো স্বাবলম্বী করার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমাতে এর বিকল্প নেই। বিভিন্ন রোগের পরীক্ষার রিপোর্টে গড়মিল থাকার কারণেই দেশের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি মানুষের আস্থা কম। এগুলো চিন্তা করেই অনেকে বিদেশ চলে যায়। দেশের টেকনোলজি শক্ত হলে, রোগের চিকিৎসা দেশেই করা সম্ভব। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই হবে। সব রোগের সার্ভিস ভালো করে দেওয়া হলে, রাজধানী ঢাকায় রোগীর চাপ কমবে।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড টেকনোলজি পরিদর্শন শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় না হওয়ায় দেশের অর্ধেক রোগী বিদেশে চলে যায় চিকিৎসা করাতে। টেকনিশিয়ানরা সঠিকভাবে বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট সঠিক প্রদান করলেই দেশের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশে শুধুমাত্র টেকনোলজিক্যাল সমস্যা রয়েছে বলে একেক জায়গায় একেক ধরনের স্বাস্থ্য রিপোর্ট তৈরি হয়। রোগীদের চিকিৎসা দিতে হলে অবশ্যই তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সঠিক হতে হবে। রোগ নির্নয় সঠিক হলে, রোগীদের বিদেশ যাওয়া লাগতো না। আমাদের দেশে অনেক ভালো চিকিৎসক রয়েছেন। দেশে অনেক ভালো মানের হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। কিন্তু, আমাদের ব্যাপক জনবল সংকট রয়েছে।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শুধু হসপিটাল বা ভবন নির্মাণ করলেই চলবে না। জনবল সংকট দূর করতে হবে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। চিকিৎসার মান অবশ্যই উন্নত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তোমরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। পড়ালেখা করে আগামীতে তোমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিতে পারবে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে যখন কাজ করবে তখন মনোযোগ সহকারে রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষায় বিশেষ অবদান রাখবে অবশ্যই। তোমরাই পারবে বাংলাদেশকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে।
এর আগে, ডা. সামন্ত লাল সেন শিবচর উপজেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত ইলিয়াস অহম্মেদ ট্রমা সেন্টার, চৌধুরী ফাতেমা বেগম মা ও শিশু ক্লিনিক, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শিবচর ডায়াবেটিক সমিতি পরিদর্শন করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই- আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডা. মো. টিটু, হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পরিচালক ডা. মাইনুল আহসান, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খান, মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির চৌধুরী, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান, সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) একরাম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।