Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। চলতি মাসের প্রথম পাঁচ দিনে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম পাঁচদিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। সবমিলিয়ে এপ্রিলের প্রথম পাঁচদিনে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার দেশে এসেছে।

এর আগে, মার্চের প্রথম ৫দিনে ৩২ কোটি ৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সেই হিসেবে চলতি মাসের শুরুতেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এ সুবাতাস কোরবানির ঈদ পর্যন্ত থাকতে পারে। রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কাটবে ডলার সংকটও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, রোজা-ঈদে প্রবাসীরা দেশে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ পাঠান। তাই এই সময়ে স্বাভাবিকভাবেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। একইসঙ্গে ডলার সংকটও কেটে যাবে।

আর গত মার্চ মাসে দেশে এসেছে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। এই ধারা আগামী ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, রোজা-ঈদে প্রবাসীরা দেশে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ পাঠান। তাই এই সময়ে স্বাভাবিকভাবেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। একইসঙ্গে ডলার সংকটও কেটে যাবে।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে দেশে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে

প্রকাশের সময় : ১০:২৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। চলতি মাসের প্রথম পাঁচ দিনে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম পাঁচদিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। সবমিলিয়ে এপ্রিলের প্রথম পাঁচদিনে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার দেশে এসেছে।

এর আগে, মার্চের প্রথম ৫দিনে ৩২ কোটি ৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সেই হিসেবে চলতি মাসের শুরুতেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এ সুবাতাস কোরবানির ঈদ পর্যন্ত থাকতে পারে। রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কাটবে ডলার সংকটও।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, রোজা-ঈদে প্রবাসীরা দেশে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ পাঠান। তাই এই সময়ে স্বাভাবিকভাবেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। একইসঙ্গে ডলার সংকটও কেটে যাবে।

আর গত মার্চ মাসে দেশে এসেছে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। এই ধারা আগামী ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, রোজা-ঈদে প্রবাসীরা দেশে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ পাঠান। তাই এই সময়ে স্বাভাবিকভাবেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। একইসঙ্গে ডলার সংকটও কেটে যাবে।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে দেশে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আর ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।