Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেমিট্যান্সের প্রবাহ থামিয়ে দিলো রিজার্ভের পতন : বাংলাদেশ ব্যাংক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রিজার্ভের পতন থামানো গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে। প্রবাসী আয়ের বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ার ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়ায় বেড়েছে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে রিজার্ভের পতন থামানো গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে বর্তমানে আছে ২ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে এর পরিমাণ ২ হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি।

প্রবাসী আয় বাড়ার কারণে রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে হুসনে আরা শিখা বলেন, জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। প্রবাসীরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, যা রিজার্ভ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, আন্তঃব্যাংকিং ফরেন এক্সচেঞ্জ সক্রিয় করা হয়েছে। এখন ব্যাংকগুলো নিজেরা কেনা-বেচা করতে পারছে। এক্ষেত্রে ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। ডলারের দাম এখন ১১৮ থকে ১২০ টাকার বেশি হবে না। আর খোলা বাজারে ডলারে দাম ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে ১ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।

ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে জানিয়ে হুসনে আরা শিখা বলেন, আন্তঃব্যাংক লেনদেন সক্রিয় থাকার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখন স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হুসনে আরা শিখা বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে, রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়নের (বিপিএম৬) কাছাকাছি এবং বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ বা গ্রস রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বেশি হওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয় রোধ সম্ভব হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর চলতি বছরে জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ।

আন্তঃব্যাংক লেনদেন সক্রিয় থাকার কারণে ফরেন এক্সচেঞ্জ স্থিতিশীল থাকবে বলেও জানান মুখপাত্র হুসনে আরা।

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

রেমিট্যান্সের প্রবাহ থামিয়ে দিলো রিজার্ভের পতন : বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশের সময় : ০২:০৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রিজার্ভের পতন থামানো গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৩০ কোটি ডলারে। প্রবাসী আয়ের বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ার ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়ায় বেড়েছে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে রিজার্ভের পতন থামানো গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে বর্তমানে আছে ২ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে এর পরিমাণ ২ হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি।

প্রবাসী আয় বাড়ার কারণে রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে হুসনে আরা শিখা বলেন, জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। প্রবাসীরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, যা রিজার্ভ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, আন্তঃব্যাংকিং ফরেন এক্সচেঞ্জ সক্রিয় করা হয়েছে। এখন ব্যাংকগুলো নিজেরা কেনা-বেচা করতে পারছে। এক্ষেত্রে ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। ডলারের দাম এখন ১১৮ থকে ১২০ টাকার বেশি হবে না। আর খোলা বাজারে ডলারে দাম ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে ১ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।

ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে জানিয়ে হুসনে আরা শিখা বলেন, আন্তঃব্যাংক লেনদেন সক্রিয় থাকার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখন স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হুসনে আরা শিখা বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে, রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়নের (বিপিএম৬) কাছাকাছি এবং বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ বা গ্রস রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বেশি হওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয় রোধ সম্ভব হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর চলতি বছরে জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ।

আন্তঃব্যাংক লেনদেন সক্রিয় থাকার কারণে ফরেন এক্সচেঞ্জ স্থিতিশীল থাকবে বলেও জানান মুখপাত্র হুসনে আরা।