Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালান

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : 

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের আরেকটি চালান এসে পৌঁছেছে ঈশ্বরদীর রূপপুরে। এ নিয়ে জ্বালানির পঞ্চম চালান পৌঁছল রূপপুরে।

সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে সড়কপথে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো রূপপুর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালান রূপপুর প্রকল্পের ভেতরে প্রবেশ করেছে। ঈশ্বরদী উপজেলার সীমানা মুলাডুলিতে এসে পৌঁছায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে।

প্রকল্প পরিচালক ড. সৌকত আকবর জানান, বৃহস্পতিবার বিশেষ বিমানে ঢাকায় এসে পৌঁছায় রূপপুরের জন্য আনা ইউরেনিয়াম।

শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে প্রকল্প এলাকা রূপপুর পর্যন্ত মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ইউরেনিয়ামের চালান রূপপুর প্রকল্পের মধ্যে প্রবেশ করলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

এরপর পর্যায়ক্রমে আরো দুটি চালান দেশে আসবে। এই সাতটি চালানে আসা জ্বালানি দিয়ে এক বছর নিরবচ্ছিন্ন ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।

এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ বিমানে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য জ্বালানির প্রথম চালান। পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জ্বালানি নেওয়া হয় রূপপুর প্রকল্প এলাকায়। এরপর ৬ অক্টোবর ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান, ১৩ অক্টোবর তৃতীয় চালান এবং ২০ অক্টোবর চতুর্থ চালান রূপপুর প্রকল্প এলাকা পৌঁছে।

রূপপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ড. শৌকত আকবর জানান, প্রথম চালানের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে ৫ম চালানের ইউরেনিয়াম রূপপুরে আনা হয়েছে। এসব জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট।

২০২৫ সালের মাঝামাঝি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ২য় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিট চালু হলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের ব্যয় ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রূপপুরে পৌঁছাল ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালান

প্রকাশের সময় : ০৫:২৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : 

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের আরেকটি চালান এসে পৌঁছেছে ঈশ্বরদীর রূপপুরে। এ নিয়ে জ্বালানির পঞ্চম চালান পৌঁছল রূপপুরে।

সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে সড়কপথে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো রূপপুর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়ামের পঞ্চম চালান রূপপুর প্রকল্পের ভেতরে প্রবেশ করেছে। ঈশ্বরদী উপজেলার সীমানা মুলাডুলিতে এসে পৌঁছায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে।

প্রকল্প পরিচালক ড. সৌকত আকবর জানান, বৃহস্পতিবার বিশেষ বিমানে ঢাকায় এসে পৌঁছায় রূপপুরের জন্য আনা ইউরেনিয়াম।

শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে প্রকল্প এলাকা রূপপুর পর্যন্ত মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ইউরেনিয়ামের চালান রূপপুর প্রকল্পের মধ্যে প্রবেশ করলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

এরপর পর্যায়ক্রমে আরো দুটি চালান দেশে আসবে। এই সাতটি চালানে আসা জ্বালানি দিয়ে এক বছর নিরবচ্ছিন্ন ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।

এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ বিমানে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য জ্বালানির প্রথম চালান। পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জ্বালানি নেওয়া হয় রূপপুর প্রকল্প এলাকায়। এরপর ৬ অক্টোবর ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান, ১৩ অক্টোবর তৃতীয় চালান এবং ২০ অক্টোবর চতুর্থ চালান রূপপুর প্রকল্প এলাকা পৌঁছে।

রূপপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ড. শৌকত আকবর জানান, প্রথম চালানের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে ৫ম চালানের ইউরেনিয়াম রূপপুরে আনা হয়েছে। এসব জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট।

২০২৫ সালের মাঝামাঝি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ২য় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিট চালু হলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের ব্যয় ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।