Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রুমিন ফারহানা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল নিয়ে যা বললেন

ফাইল ছবিতে রুমিন ফারহানা

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, যখন কেউ ক্ষমতায় থাকেন তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যথেচ্ছা ক্ষমতা দিতে খুব ভালো লাগে। গৃহ তল্লাশি, বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, সেগুলোতো গুচ্ছক্ষমতা, পারলে বিনা বিচারের হত্যার ক্ষমতা, দেখামাত্র গুলি করার ক্ষমতা- এগুলো ক্ষমতা দিতে খুব আরাম লাগে।

কিন্তু ক্ষমতা থেকে যখন চলে যায়, তখন বোঝা যায় যে এ ধরনের ক্ষমতার ফল কি হতে পারে তা সবারই জানা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা নিয়ে বিতর্কে সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। সোমবার রাতে সংসদে সামুদ্রিক মৎস্য বিল-২০২০ পাসের সময় এ বিতর্ক হয়।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ অভিযোগ করে বলেন, সংবিধান থেকে ততত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার মূল উদ্দেশে ছিল সরকারকে সন্তুষ্ট করা।

জবাবে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে রায়টি দেয়া হয়েছিল। এটা সরকারকে খুশি করার জন্য নয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী।

আরও পড়ুন : বিএনপি মানুষ ও বাস পোড়ানোর খেলায় মেতে উঠেছে

বিলের সংশোধনী ও জনমত যাচাই-বাছাই করার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর রশীদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কথা তোলেন। সামরিক শাসনামলে জারি করা সব অধ্যাদেশ বাতিল করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের যে সব রায় দেয়া হয়, সব রায় কি আমরা কার্যকর করি, মানি? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছিল, যে রায় দেয়া হয়েছিল সেগুলো কার্যকর করা হয়নি। ২০১১ সালে সরকারকে সন্তুষ্ট করার জন্য রায়টি দেয়া হয়েছিল।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, পর্যবেক্ষণ আমরা মানিনি কেন? এরকম একটা কথা বলতে চেয়েছেন? পর্যবেক্ষণ কতটুক ছিল? পর্যবেক্ষণটা কোনো সিদ্ধান্ত নয়, আর সংসদ যেটা যথার্থ মনে করেছেন সেটিই করেছে। সরকারকে খুশি করার জন্য পঞ্চদশ ও সপ্তদশ সংশোধনী হয়নি।

তিনি বলেন, সংবিধান থেকে প্রায়ই আমরা উদ্ধৃতি দেই। এ সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে শুরু করে; অনুচ্ছেদ ১ থেকে শুরু করে শেষ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত কোথাও সামরিক আইন শাসক নামে কোনো আইন নেই এবং কেউ কাউকে কর্তৃত্ব দেননি। চাকুরিতে থাকা অবস্থায় কেউ দাঁড়িয়ে বলতে পারেন না বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম দেশবাসী আমি দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

রুমিন ফারহানা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল নিয়ে যা বললেন

প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, যখন কেউ ক্ষমতায় থাকেন তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যথেচ্ছা ক্ষমতা দিতে খুব ভালো লাগে। গৃহ তল্লাশি, বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, সেগুলোতো গুচ্ছক্ষমতা, পারলে বিনা বিচারের হত্যার ক্ষমতা, দেখামাত্র গুলি করার ক্ষমতা- এগুলো ক্ষমতা দিতে খুব আরাম লাগে।

কিন্তু ক্ষমতা থেকে যখন চলে যায়, তখন বোঝা যায় যে এ ধরনের ক্ষমতার ফল কি হতে পারে তা সবারই জানা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা নিয়ে বিতর্কে সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। সোমবার রাতে সংসদে সামুদ্রিক মৎস্য বিল-২০২০ পাসের সময় এ বিতর্ক হয়।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ অভিযোগ করে বলেন, সংবিধান থেকে ততত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার মূল উদ্দেশে ছিল সরকারকে সন্তুষ্ট করা।

জবাবে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে রায়টি দেয়া হয়েছিল। এটা সরকারকে খুশি করার জন্য নয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী।

আরও পড়ুন : বিএনপি মানুষ ও বাস পোড়ানোর খেলায় মেতে উঠেছে

বিলের সংশোধনী ও জনমত যাচাই-বাছাই করার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর রশীদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কথা তোলেন। সামরিক শাসনামলে জারি করা সব অধ্যাদেশ বাতিল করা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের যে সব রায় দেয়া হয়, সব রায় কি আমরা কার্যকর করি, মানি? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছিল, যে রায় দেয়া হয়েছিল সেগুলো কার্যকর করা হয়নি। ২০১১ সালে সরকারকে সন্তুষ্ট করার জন্য রায়টি দেয়া হয়েছিল।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, পর্যবেক্ষণ আমরা মানিনি কেন? এরকম একটা কথা বলতে চেয়েছেন? পর্যবেক্ষণ কতটুক ছিল? পর্যবেক্ষণটা কোনো সিদ্ধান্ত নয়, আর সংসদ যেটা যথার্থ মনে করেছেন সেটিই করেছে। সরকারকে খুশি করার জন্য পঞ্চদশ ও সপ্তদশ সংশোধনী হয়নি।

তিনি বলেন, সংবিধান থেকে প্রায়ই আমরা উদ্ধৃতি দেই। এ সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে শুরু করে; অনুচ্ছেদ ১ থেকে শুরু করে শেষ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত কোথাও সামরিক আইন শাসক নামে কোনো আইন নেই এবং কেউ কাউকে কর্তৃত্ব দেননি। চাকুরিতে থাকা অবস্থায় কেউ দাঁড়িয়ে বলতে পারেন না বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম দেশবাসী আমি দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।