Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিয়ালকে একহালি দিয়ে ফাইনালে ম্যানসিটি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই যেন রিয়াল মাদ্রিদের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। কিন্তু এবার গল্পটা ম্যানচেস্টার সিটিই লিখল; তবে প্রত্যাবর্তনের নয়, দাপুটে ফুটবলের। চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজাদের গুঁড়িয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পা রাখল ফাইনালে। ঠিক যেমনটা ওয়েইন রুনি বলেছিলেন।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ শেষ হয়েছিল ১-১ গোলের ড্রতে। তাই মীমাংসার রাতটা জমা থাকে ইতিহাদের জন্য। বুধবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে রিয়ালকে অবশ্য পাত্তাই দিল না সিটি। বার্নার্দো সিলভার জোড়া গোল, হুলিয়ান আলভারেজের এক গোলের সুবাদে ৪-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলের অগ্রগামিতায় নিশ্চিত করে ইস্তাম্বুলের টিকিট। একইসঙ্গে গত আসরে হারের প্রতিশোধটাও নিল মধুরভাবে। ঠিক এই পর্যায় থেকেই তো পেপ গার্দিওলার দলকে ছিটকে যেতে হয়েছিল। এবার গল্পের পুনরাবৃত্তিটা করতে পারেনি রিয়াল।

সিলভার জোড়া গোলে রিয়ালকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে সিটি

ঠিক এক মৌসুম আগে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের টিকিট কাটে রিয়াল মাদ্রিদ। আর সেই ক্ষোভটাই যেন ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে উগরে দিল ম্যানচেস্টার সিটি। ২০২১/২২ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দুই গোল করে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তন দেয় রিয়াল। আর তাতেই থমকে যায় সিটির ফাইনাল খেলার স্বপ্ন।

ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে এক বছর পেরিয়েছে। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে এর্লিং হালান্ডকে দলে ভিড়িয়েছে সিটিজেনরা। আর তাতেই অপ্রতিরোধ্য সিটি। সঙ্গে পেপ গার্দিওলার জগদ্বিখ্যাত কৌশল। নতুন মৌসুমে অপ্রতিরোধ্য ম্যানচেস্টার সিটি। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ থেকে ১-১ গোলে ড্র করে বেশ স্বস্তিতেই ছিলেন সিটিজেন কোচ গার্দিওলা। কেননা দ্বিতীয় লেগ যে ঘরের মাঠে। আর ঘরের মাঠে রিয়ালের কাছে কখনোই হারেনি সিটি। সেই পরিসংখ্যান ধরে রেখেছে সিটি। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়ালকে এক প্রকার উড়িয়েই দিয়েছে সিটিজেনরা। শেষ তিন মৌসুমে মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।

রিয়ালকে একহালি দিয়ে ফাইনালে ম্যানসিটি

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতেই বল দখল করে নিল সিটি। আর এরপরেই মুহুর্মুহ আক্রমণে রিয়াল মাদ্রিদকে কোণঠাসা করে ফেললো তারা। সপ্তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগও পায় স্বাগতিকরা। কিন্তু কেভিন ডি ব্রুইনের পাস পেয়ে বক্সে গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে কাটিয়ে শট নেওয়ার জায়গা পাননি এর্লিং হালান্ড। পাস দেওয়ার মতো আশেপাশে কোনো সতীর্থও ছিল না তার।

এরপর ম্যাচের ২১তম মিনিটে কোর্তোয়ার অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় বেঁচে যায় রিয়াল। মানুয়েল আকাঞ্জির ক্রসে ছয় গজ বক্সের মধ্যে থেকে জোরাল হেড করেন হালান্ড, ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান বেলজিয়ান গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর আর পারেননি কোর্তোয়া। ডান দিক থেকে শাণানো আক্রমণে ডি ব্রুইনের পাস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরাল শটে দলকে এগিয়ে নেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার সিলভা।

রিয়ালকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যান সিটি 

গোল হজম করার পর যেন নিজেদের খুঁজে পায় রিয়াল। ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও করিম বেনজেমা দুটি প্রতি আক্রমণের চেষ্টা করেন, যদিও গোলরক্ষকের পরীক্ষাও নিতে পারেননি তারা। এরপর ৩৫তম মিনিটে অনেক দূর থেকে বুলেট গতির শট নেন টনি ক্রুস। লাফিয়েও বলের নাগাল পাননি সিটি গোলরক্ষক এডারসন। তবে ভাগ্যের ফেরে বল লাগে ক্রসবারে।

প্রথমার্ধেই ম্যাচে ফেরার প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল রিয়াল। তবে প্রথমার্ধ শেষের আগেই রিয়ালের সে স্বপ্নের গুড়ে বালি দিয়ে দিলেন সিলভা। ইয়াকি গুন্দোয়ানের শট প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে বল চলে যায় সিলভার কাছে, নিখুঁত হেডে জালে পাঠান তিনি। এতেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। আর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ফাইনালের।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে শেষ বাধা পেরিয়ে যাওয়ার সময় ফাউলের শিকার হন ভিনিসিয়াস। ম্যাচে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন সিটির ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াস। ওই ফ্রি কিকে গোল পেতে পারত রিয়াল কিন্তু ডেভিড আলাবার শটে বল শেষ সময়ে নিচু হয়ে ক্রসবার ঘেঁষে জালে জড়াতে যাচ্ছিল, কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান এডারসন।

রিয়ালকে উড়িয়ে ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি

ম্যাচের সময় যতই গড়াচ্ছিল রিয়ালের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ততই ফিকে হয়ে আসছিল। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে এসে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় রিয়াল। বাঁ দিক থেকে ডে ব্রুইনের ফ্রি কিকে বক্সে কেউই ছোঁয়া দিতে পারেনি, তবে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেই নিজেদের জালে বল পাঠান ডিফেন্ডার মিলিতাও। এর তিন মিনিট আগে অবশ্য হাল্যান্ডকে হতাশ করেছিলেন কুর্তোয়া। যোগ হওয়া সময়ে ৯০+১ মিনিটে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন ম্যানসিটির বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন তারকা আলভারেজ।

এরপর আর ফিরে আসা যায় না। তা হয়ও নি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফাইনালে উঠে গার্দিওলা শিষ্যরা।

অসাধারণ জয়ে ট্রেবল ঘরে তোলার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে পেপ গার্দিওলার দল। যাদের এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ সাফল্য ফাইনাল! ২০২১ সালে তারা চেলসির কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল। শিরোপা মঞ্চে এবার তাদের সামনে ইন্টার মিলান।

নিজেদের ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপার লক্ষ্যে আগামী ১০ জুন তুরস্কের ইস্তানবুলে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

রিয়ালকে একহালি দিয়ে ফাইনালে ম্যানসিটি

প্রকাশের সময় : ১১:৫২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই যেন রিয়াল মাদ্রিদের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। কিন্তু এবার গল্পটা ম্যানচেস্টার সিটিই লিখল; তবে প্রত্যাবর্তনের নয়, দাপুটে ফুটবলের। চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজাদের গুঁড়িয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পা রাখল ফাইনালে। ঠিক যেমনটা ওয়েইন রুনি বলেছিলেন।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ শেষ হয়েছিল ১-১ গোলের ড্রতে। তাই মীমাংসার রাতটা জমা থাকে ইতিহাদের জন্য। বুধবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে রিয়ালকে অবশ্য পাত্তাই দিল না সিটি। বার্নার্দো সিলভার জোড়া গোল, হুলিয়ান আলভারেজের এক গোলের সুবাদে ৪-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলের অগ্রগামিতায় নিশ্চিত করে ইস্তাম্বুলের টিকিট। একইসঙ্গে গত আসরে হারের প্রতিশোধটাও নিল মধুরভাবে। ঠিক এই পর্যায় থেকেই তো পেপ গার্দিওলার দলকে ছিটকে যেতে হয়েছিল। এবার গল্পের পুনরাবৃত্তিটা করতে পারেনি রিয়াল।

সিলভার জোড়া গোলে রিয়ালকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে সিটি

ঠিক এক মৌসুম আগে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের টিকিট কাটে রিয়াল মাদ্রিদ। আর সেই ক্ষোভটাই যেন ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে উগরে দিল ম্যানচেস্টার সিটি। ২০২১/২২ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দুই গোল করে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তন দেয় রিয়াল। আর তাতেই থমকে যায় সিটির ফাইনাল খেলার স্বপ্ন।

ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে এক বছর পেরিয়েছে। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে এর্লিং হালান্ডকে দলে ভিড়িয়েছে সিটিজেনরা। আর তাতেই অপ্রতিরোধ্য সিটি। সঙ্গে পেপ গার্দিওলার জগদ্বিখ্যাত কৌশল। নতুন মৌসুমে অপ্রতিরোধ্য ম্যানচেস্টার সিটি। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ থেকে ১-১ গোলে ড্র করে বেশ স্বস্তিতেই ছিলেন সিটিজেন কোচ গার্দিওলা। কেননা দ্বিতীয় লেগ যে ঘরের মাঠে। আর ঘরের মাঠে রিয়ালের কাছে কখনোই হারেনি সিটি। সেই পরিসংখ্যান ধরে রেখেছে সিটি। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়ালকে এক প্রকার উড়িয়েই দিয়েছে সিটিজেনরা। শেষ তিন মৌসুমে মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।

রিয়ালকে একহালি দিয়ে ফাইনালে ম্যানসিটি

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতেই বল দখল করে নিল সিটি। আর এরপরেই মুহুর্মুহ আক্রমণে রিয়াল মাদ্রিদকে কোণঠাসা করে ফেললো তারা। সপ্তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগও পায় স্বাগতিকরা। কিন্তু কেভিন ডি ব্রুইনের পাস পেয়ে বক্সে গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে কাটিয়ে শট নেওয়ার জায়গা পাননি এর্লিং হালান্ড। পাস দেওয়ার মতো আশেপাশে কোনো সতীর্থও ছিল না তার।

এরপর ম্যাচের ২১তম মিনিটে কোর্তোয়ার অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় বেঁচে যায় রিয়াল। মানুয়েল আকাঞ্জির ক্রসে ছয় গজ বক্সের মধ্যে থেকে জোরাল হেড করেন হালান্ড, ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান বেলজিয়ান গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর আর পারেননি কোর্তোয়া। ডান দিক থেকে শাণানো আক্রমণে ডি ব্রুইনের পাস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরাল শটে দলকে এগিয়ে নেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার সিলভা।

রিয়ালকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যান সিটি 

গোল হজম করার পর যেন নিজেদের খুঁজে পায় রিয়াল। ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও করিম বেনজেমা দুটি প্রতি আক্রমণের চেষ্টা করেন, যদিও গোলরক্ষকের পরীক্ষাও নিতে পারেননি তারা। এরপর ৩৫তম মিনিটে অনেক দূর থেকে বুলেট গতির শট নেন টনি ক্রুস। লাফিয়েও বলের নাগাল পাননি সিটি গোলরক্ষক এডারসন। তবে ভাগ্যের ফেরে বল লাগে ক্রসবারে।

প্রথমার্ধেই ম্যাচে ফেরার প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল রিয়াল। তবে প্রথমার্ধ শেষের আগেই রিয়ালের সে স্বপ্নের গুড়ে বালি দিয়ে দিলেন সিলভা। ইয়াকি গুন্দোয়ানের শট প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে বল চলে যায় সিলভার কাছে, নিখুঁত হেডে জালে পাঠান তিনি। এতেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। আর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ফাইনালের।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে শেষ বাধা পেরিয়ে যাওয়ার সময় ফাউলের শিকার হন ভিনিসিয়াস। ম্যাচে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন সিটির ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াস। ওই ফ্রি কিকে গোল পেতে পারত রিয়াল কিন্তু ডেভিড আলাবার শটে বল শেষ সময়ে নিচু হয়ে ক্রসবার ঘেঁষে জালে জড়াতে যাচ্ছিল, কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান এডারসন।

রিয়ালকে উড়িয়ে ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি

ম্যাচের সময় যতই গড়াচ্ছিল রিয়ালের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ততই ফিকে হয়ে আসছিল। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে এসে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় রিয়াল। বাঁ দিক থেকে ডে ব্রুইনের ফ্রি কিকে বক্সে কেউই ছোঁয়া দিতে পারেনি, তবে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেই নিজেদের জালে বল পাঠান ডিফেন্ডার মিলিতাও। এর তিন মিনিট আগে অবশ্য হাল্যান্ডকে হতাশ করেছিলেন কুর্তোয়া। যোগ হওয়া সময়ে ৯০+১ মিনিটে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন ম্যানসিটির বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন তারকা আলভারেজ।

এরপর আর ফিরে আসা যায় না। তা হয়ও নি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফাইনালে উঠে গার্দিওলা শিষ্যরা।

অসাধারণ জয়ে ট্রেবল ঘরে তোলার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে পেপ গার্দিওলার দল। যাদের এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ সাফল্য ফাইনাল! ২০২১ সালে তারা চেলসির কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল। শিরোপা মঞ্চে এবার তাদের সামনে ইন্টার মিলান।

নিজেদের ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপার লক্ষ্যে আগামী ১০ জুন তুরস্কের ইস্তানবুলে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি।