Dhaka শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্র এখন যন্ত্রণা, অত্যাচার-নিপীড়নের কারখানা হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভয়াবহ ঘোরতোর অন্ধকারে দেশ। রাষ্ট্র এখন আর রাষ্ট্র নেই, রাষ্ট্র এখন যন্ত্রণা, অত্যাচার নিপীড়নের কারখানা হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভগুলো শেষ। বিচারকরা নিজেরাই নিজেদের স্বাধীনতা শেষ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিইউজের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম।

আজকে জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সবাই মিলে এক জোট হয়ে লড়াই না করলে কীভাবে বের হবো তা জানিনা। গণমাধ্যমকে এককভাবে রক্ষা করে লাভ হবেনা, রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে হবে।

গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। রাজপথে নেমে সমস্ত শক্তি দিয়ে ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আজ ৫২ বছর পর এখানে দাঁড়িয়ে বলতে হচ্ছে, আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা একটা ঘোর অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। রাজপথে নেমে সমস্ত শক্তি দিয়ে ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র এখন আর রাষ্ট্র নেই, রাষ্ট্র এখন যন্ত্রণা, অত্যাচার নিপীড়নের কারখানা হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভগুলো শেষ। বিচারকরা নিজেরাই নিজেদের স্বাধীনতা শেষ করেছেন।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি, বরং ঘোরতোর অন্ধকারে দেশ- এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সবাই মিলে এক জোট হয়ে লড়াই না করলে কিভাবে বের হব তা জানি না। আজকে জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, জাতি বিপন্ন। জাতীয় ঐক্য দরকার।  ৩০ বছর পর ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৫ জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে অবিচার করা হচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তার অবস্থা গুরুতর।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় আছেন। গুরুতর অবস্থা। আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্বাসিত থেকেও তিনি সংগ্রাম করে চলেছেন এবং সংগঠিত করছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা আজকে আমাদের সঙ্গে শরিক হয়েছেন। সবাই কিন্তু আজকে এগিয়ে এসেছেন। সুতরাং ঘরে বসে থাকার সময় নেই। আসুন, আমরা সবাই রাজপথে নেমে সমস্ত শক্তিকে এবং জনগণকে সংগঠিত করে যে ভয়াবহ দানব আমাদের বুকের উপর চেপে বসে আছে, তাকে ফেলে দিয়ে এবং পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলি। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাই।

ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএফইউজের (একাংশ) সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, কবি আবদুল হাই শিকদার, কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ডিইউজের সহ সভাপতি রাশেদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি নেতা অধ্যাপক হাসান মুর্শেদ খান, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

রাষ্ট্র এখন যন্ত্রণা, অত্যাচার-নিপীড়নের কারখানা হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভয়াবহ ঘোরতোর অন্ধকারে দেশ। রাষ্ট্র এখন আর রাষ্ট্র নেই, রাষ্ট্র এখন যন্ত্রণা, অত্যাচার নিপীড়নের কারখানা হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভগুলো শেষ। বিচারকরা নিজেরাই নিজেদের স্বাধীনতা শেষ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিইউজের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম।

আজকে জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সবাই মিলে এক জোট হয়ে লড়াই না করলে কীভাবে বের হবো তা জানিনা। গণমাধ্যমকে এককভাবে রক্ষা করে লাভ হবেনা, রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে হবে।

গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। রাজপথে নেমে সমস্ত শক্তি দিয়ে ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আজ ৫২ বছর পর এখানে দাঁড়িয়ে বলতে হচ্ছে, আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা একটা ঘোর অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। রাজপথে নেমে সমস্ত শক্তি দিয়ে ভয়াবহ দানবকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র এখন আর রাষ্ট্র নেই, রাষ্ট্র এখন যন্ত্রণা, অত্যাচার নিপীড়নের কারখানা হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভগুলো শেষ। বিচারকরা নিজেরাই নিজেদের স্বাধীনতা শেষ করেছেন।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি, বরং ঘোরতোর অন্ধকারে দেশ- এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সবাই মিলে এক জোট হয়ে লড়াই না করলে কিভাবে বের হব তা জানি না। আজকে জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, জাতি বিপন্ন। জাতীয় ঐক্য দরকার।  ৩০ বছর পর ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৫ জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে অবিচার করা হচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তার অবস্থা গুরুতর।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় আছেন। গুরুতর অবস্থা। আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্বাসিত থেকেও তিনি সংগ্রাম করে চলেছেন এবং সংগঠিত করছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা আজকে আমাদের সঙ্গে শরিক হয়েছেন। সবাই কিন্তু আজকে এগিয়ে এসেছেন। সুতরাং ঘরে বসে থাকার সময় নেই। আসুন, আমরা সবাই রাজপথে নেমে সমস্ত শক্তিকে এবং জনগণকে সংগঠিত করে যে ভয়াবহ দানব আমাদের বুকের উপর চেপে বসে আছে, তাকে ফেলে দিয়ে এবং পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলি। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাই।

ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএফইউজের (একাংশ) সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, কবি আবদুল হাই শিকদার, কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ডিইউজের সহ সভাপতি রাশেদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি নেতা অধ্যাপক হাসান মুর্শেদ খান, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।