Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সরকারকে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান ফখরুলের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ইস্যুতে সরকারকে কোনো হটকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয় এমন কোনো হটকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।

রোববার (২৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেরে-বাংলানগর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চললেও এখনো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতারা বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসে। তবে দলটির শীর্ষ নেতারা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন বিএনপি নেতারা।

রোববার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতির ইস্যুতে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। সবকিছু সাংবিধানিক নিয়মে করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি অপসারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপনাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এই বিষয়ে বিএনপি অবস্থান কী এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির যে সর্বোচ্চ ফোরাম রয়েছে সেই ফোরামে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করব।

তিনি বলেন, আমরা এর আগেও বলেছিলাম, গণঅভ্যুত্থানের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে সংহত করতে হবে। সেজন্য জাতীয় ঐক্য ছাড়া কোনো রকম হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এ বিষয়টি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তারজন্য বেশি প্রয়োজন অতিদ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার শেষে নির্বাচন করা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে আজকে শপথ নিয়েছি আমাদের যে স্বাধীনতা সেটা যেকোনো মূল্য রক্ষা করব। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই সংগ্রামে যুবদলের ভূমিকা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ। তা সত্ত্বেও আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুবদলের আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। এই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সফল পরিণতিতে তার ভূমিকা অক্ষুণ্ণ থাকবে। বাংলাদেশের যারা ভালো চায় না, তাদের প্রতিহত করার জন্য যুবদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনকেন্দ্রীক সংস্কার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। অভ্যুত্থানের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।

নির্বাচন বিলম্বিত হলে কোনো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবার বলছি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করা দরকার। একটি সাংবিধানিক রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপত্বিতে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সরকারকে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান ফখরুলের

প্রকাশের সময় : ০১:১২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ইস্যুতে সরকারকে কোনো হটকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয় এমন কোনো হটকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।

রোববার (২৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেরে-বাংলানগর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চললেও এখনো সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতারা বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসে। তবে দলটির শীর্ষ নেতারা তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন বিএনপি নেতারা।

রোববার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতির ইস্যুতে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। সবকিছু সাংবিধানিক নিয়মে করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি অপসারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপনাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এই বিষয়ে বিএনপি অবস্থান কী এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির যে সর্বোচ্চ ফোরাম রয়েছে সেই ফোরামে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করব।

তিনি বলেন, আমরা এর আগেও বলেছিলাম, গণঅভ্যুত্থানের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে সংহত করতে হবে। সেজন্য জাতীয় ঐক্য ছাড়া কোনো রকম হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এ বিষয়টি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তারজন্য বেশি প্রয়োজন অতিদ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার শেষে নির্বাচন করা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে আজকে শপথ নিয়েছি আমাদের যে স্বাধীনতা সেটা যেকোনো মূল্য রক্ষা করব। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই সংগ্রামে যুবদলের ভূমিকা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ। তা সত্ত্বেও আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুবদলের আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। এই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সফল পরিণতিতে তার ভূমিকা অক্ষুণ্ণ থাকবে। বাংলাদেশের যারা ভালো চায় না, তাদের প্রতিহত করার জন্য যুবদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনকেন্দ্রীক সংস্কার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। অভ্যুত্থানের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।

নির্বাচন বিলম্বিত হলে কোনো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবার বলছি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করা দরকার। একটি সাংবিধানিক রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপত্বিতে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।