Dhaka শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রায়ে সত্যের বিজয় হয়েছে : ডা. তাহের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়ের মাধ্যমে সত্যের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

মঙ্গলবার (২৭ মে) জামায়াত নেতা আজহারকে খালাসের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. তাহের বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে মিথ্যা পরাভূত হয়েছে। সত্যের বিজয় হয়েছে।

এ সময় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আল্লাহর বাণী মিথ্যা হতে পারে না। সত্যের ওপর জুলুম করে কেউ টিকতে পারে না। আজ সেটিই প্রমাণ হলো।

তিনি আরো বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করেছে, যারা অন্যায় করেছে, তাদের মুখ আজ উন্মোচিত। ওরা আমাদের নেতাদের ওপর অবিচার করেছে, জুলুম করেছে, এমনকি ফাঁসির সাজাও দিয়েছে। আমরা বারবার বলেছি, এসব রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আজকের রায়ে আমাদের বক্তব্যের সত্যতা ফুটে উঠেছে।

ডা. তাহের বলেন, আজহার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বহু মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছিল। কিন্তু দেশের মানুষ সচেতন ছিল। তারা জানতো, তিনি নির্দোষ। দেশের মানুষ সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিল, আছে।

তিনি আইনজীবী দল, দলের কর্মী এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই মামলা পরিচালনায় যারা ছিলেন, তারা আইনের পথেই লড়েছেন। অবশেষে আইনি প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।

ডা. তাহের আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মামলা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও একে একে সত্য উদ্ভাসিত হবে।

আজহারুল ইসলামের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সব অভিযোগ থেকে এটিএম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এই রায়ের মাধ্যমে সিন্ডিকেটেড ইনজাস্টিসের অবসান হয়েছে। এই রায় ঘোষণার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের আদালতের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি শর্ট অর্ডার চেয়েছি, অ্যাডভান্স অর্ডার চেয়েছি, এই অ্যাডভান্স অর্ডার আদালত মঞ্জুর করেছেন। আদালত বলেছেন, আমরা চেষ্টা করবো আজকেই যেন এবং আজ ও কালকের মধ্যেই এই শর্ট অর্ডারটা যেন প্রসেস হয়ে এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পেতে পারেন এজন্য আমরা সব আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। পরে তিনি আপিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট এই রায়ে তাকে খালাস দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

রায়ে সত্যের বিজয় হয়েছে : ডা. তাহের

প্রকাশের সময় : ১১:৩৩:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়ের মাধ্যমে সত্যের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

মঙ্গলবার (২৭ মে) জামায়াত নেতা আজহারকে খালাসের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. তাহের বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে মিথ্যা পরাভূত হয়েছে। সত্যের বিজয় হয়েছে।

এ সময় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আল্লাহর বাণী মিথ্যা হতে পারে না। সত্যের ওপর জুলুম করে কেউ টিকতে পারে না। আজ সেটিই প্রমাণ হলো।

তিনি আরো বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করেছে, যারা অন্যায় করেছে, তাদের মুখ আজ উন্মোচিত। ওরা আমাদের নেতাদের ওপর অবিচার করেছে, জুলুম করেছে, এমনকি ফাঁসির সাজাও দিয়েছে। আমরা বারবার বলেছি, এসব রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আজকের রায়ে আমাদের বক্তব্যের সত্যতা ফুটে উঠেছে।

ডা. তাহের বলেন, আজহার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বহু মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছিল। কিন্তু দেশের মানুষ সচেতন ছিল। তারা জানতো, তিনি নির্দোষ। দেশের মানুষ সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিল, আছে।

তিনি আইনজীবী দল, দলের কর্মী এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই মামলা পরিচালনায় যারা ছিলেন, তারা আইনের পথেই লড়েছেন। অবশেষে আইনি প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।

ডা. তাহের আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মামলা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও একে একে সত্য উদ্ভাসিত হবে।

আজহারুল ইসলামের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সব অভিযোগ থেকে এটিএম আজহারুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এই রায়ের মাধ্যমে সিন্ডিকেটেড ইনজাস্টিসের অবসান হয়েছে। এই রায় ঘোষণার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের আদালতের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি শর্ট অর্ডার চেয়েছি, অ্যাডভান্স অর্ডার চেয়েছি, এই অ্যাডভান্স অর্ডার আদালত মঞ্জুর করেছেন। আদালত বলেছেন, আমরা চেষ্টা করবো আজকেই যেন এবং আজ ও কালকের মধ্যেই এই শর্ট অর্ডারটা যেন প্রসেস হয়ে এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পেতে পারেন এজন্য আমরা সব আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। পরে তিনি আপিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট এই রায়ে তাকে খালাস দেন।