নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিটি) রায় ঘোষণার প্রেক্ষিতে কলকাতার একটি স্থানে মিটিং করেছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। সেখান থেকে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ‘আওয়ামী নেতাস ইন এক্সাইল প্লান স্টেয়ার ইন বাংলা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা লিখেছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। তবে কলকাতার কোথায়, কোন ঠিকানায় ওই মিটিং হয়েছে তা জানায়নি পত্রিকাটি। সোমবার কেন্দ্রীয় কমিটির ওই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন দলটির এমন একজন সিনিয়র নেতা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় সম্পর্কে বলেছেন- ৫ই আগস্টের পর থেকে এটা নির্ধারণ করে রাখা হয়েছিল। হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়ে ক্ষমতাসীনরা উন্মুখ হয়ে আছেন। তাই এ সময়ে তারা বিচারবিভাগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
ওদিকে সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আপডেট পাওয়ার জন্য খবরের চ্যানেল এবং নিউজ পোর্টালগুলোতে আঁঠার মতো লেগে ছিলেন। সন্ধ্যায় তিনি একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিকেল নাগাদ আদালতের রায় নিউজ চ্যানেল এবং অনলাইন নিউজ প্লাটফরমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ২০২৪ সালে ছাত্রদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া গণঅভ্যুত্থানকে নিয়ন্ত্রণে নিতে ঢাকায় শেখ হাসিনা প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে আদালত তাকে অভিযুক্ত করে। ওবায়দুল কাদের আদালতের রায়কে ‘একটি ক্যাঙ্গারু কোর্টের বিচারের নামে প্রহসন’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি আদালতের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দাবি করেন আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে। তিনি রায়কে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এতে আমরা বিস্মিত নই। সোমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা এই বিচার ও রায়কে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসেবে দেখেন বলে বলা হয় রিপোর্টে।
তাতে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন শেখ হাসিনা। এ জন্য তার বিরুদ্ধে এই প্রতিশোধ। কেন্দ্রীয় কমিটির ওই নেতা আরও বলেন, শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে এবং তার পক্ষে আমরা যেসব আইনজীবীকে প্রস্তাব করেছিলাম তাদের কাউকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি না দেয়ার মাধ্যমে বিচার হয়েছে। তার আত্মরক্ষার অধিকার সমুন্নত রাখা হয়নি। এই নেতা আদালত গঠনের কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিগগিরই যমুনামুখী মার্চ করার জন্য আমরা আমাদের নেতার সঙ্গে আলোচনা করবো এবং তার অনুমতি চাইবো। দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে এটা হবে অত্যন্ত কঠোর এক আন্দোলন।
জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া
ওদিকে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর (ওএইচসিএইচআর) সব পরিস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছে। গত জুলাইয়ে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন দ্রুত দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভে পরিণত হয়, যা জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী সহিংসভাবে দমন করে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। জাতিসংঘ-নেতৃত্বাধীন এক তদন্তে পাওয়া গেছে যে, গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে প্রায় ১৪০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক শিশু ছিল। বিচারের রায়কে ‘ভুক্তভোগীদের জন্য একটি মুহূর্ত’ আখ্যায়িত করে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।
ওএইচসিএইচআর এ রায়কে ‘গত বছরের বিক্ষোভ দমনকালে সংঘটিত গুরুতর লঙ্ঘনের ভুক্তভোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে ওএইচসিএইচআর আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং ভুক্তভোগীদের কার্যকর প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থে বাংলাদেশি প্রশাসন ক্রমবর্ধমান সহিংস পদ্ধতিতে বিক্ষোভ দমনে পদ্ধতিগতভাবে চেষ্টা করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফোলকার তুর্ক বলেন, ‘আমরা যে সাক্ষ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, তা রাষ্ট্রীয় সহিংসতা ও লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে গুরুতর রূপগুলোর মধ্যে পড়ে এবং যা আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।’
অ্যামনেস্টি যা বলেছে
ওদিকে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্রনেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় যেসব ভয়াবহ লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তাদের জন্য যারা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী, তাদের অবশ্যই স্বাধীন ও সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এই বিচার ও রায় কোনোভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়। ভুক্তভোগীদের প্রয়োজন ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা, অথচ মৃত্যুদণ্ড মানবাধিকার লঙ্ঘনকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এটি চূড়ান্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক শাস্তি, এবং কোনো বিচার প্রক্রিয়ায় এর স্থান নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে ১৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন। বেঁচে থাকা ব্যাক্তি ও নিহতদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সম্পূর্ণ স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডসম্পন্ন বিচার প্রক্রিয়া। কিন্তু এর পরিবর্তে এই বিচার হয়েছে এমন একটি আদালতে, যাকে দীর্ঘদিন ধরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল স্বাধীনতার অভাব ও অন্যায্য বিচার প্রক্রিয়ার জন্য সমালোচনা করে আসছে। তাছাড়া, অনুপস্থিতিতে এই নজিরবিহীন দ্রুত বিচার ও রায় এতো বড় ও জটিল মামলায় যথাযথ সুষ্ঠু বিচারের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করে। শেখ হাসিনাকে আদালতনিযুক্ত আইনজীবী দিয়ে প্রতিনিধিত্ব করানো হলেও আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রস্তুতির সময় ছিল স্পষ্টতই অপ্রতুল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এমন অভিযোগ যে, পরস্পরবিরোধী প্রমাণ নিয়ে আসামীপক্ষকে জেরা করতে দেয়া হয়নি, যা বিচারকে আরও অনিয়মের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বাংলাদেশে এমন একটি বিচারব্যবস্থা প্রয়োজন যা একেবারে নিখুঁতভাবে ন্যায়সঙ্গত, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন এবং কোনোভাবেই মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীর জন্য মৃত্যুদণ্ড ব্যবহার করে না।’
টেলিগ্রাফের সম্পাদকীয়: নয়াদিল্লি-ঢাকা সম্পর্কে ঝুঁকি
ওদিকে এই বিচার নিয়ে ভারতের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকা একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। এর শিরোনাম- ‘গ্রে জাস্টিস: এডিটরিয়াল অন বাংলাদেশ ট্রাইব্যুনালস ডেথ সেন্টেন্স এগেইনস্ট ফরমার পিএম শেখ হাসিনা’। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায় দেশটির একসময়কার শাসনব্যবস্থার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়ার ধরন, পূর্বনির্ধারিত বলেই মনে হওয়া রায় এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিক্রিয়া- এসবই দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষাকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং নয়াদিল্লি-ঢাকা সম্পর্কের ইতিমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশকে আরও জটিল করে তোলার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
শেখ হাসিনাকে গত বছর তার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত শত শত ছাত্র ও অন্যান্য বিরোধীদের হত্যার জন্য দায়ী করে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে বিচার করা হয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি ভারতেই নির্বাসনে আছেন। শেখ হাসিনার কখনোই শক্তিশালী আইনি প্রতিনিধি দল ছিল না এবং ট্রাইব্যুনালের রায়ও ছিল প্রায় অনুমেয়। মামলার গুণগত প্রমাণ যা-ই হোক না কেন, গোটা বিচারপ্রক্রিয়াটি একটি পূর্বনির্ধারিত ফলাফলসহ প্রদর্শনীমূলক বিচারের মতো দেখিয়েছে। পাশাপাশি রায় ঘোষণার পর সরকারের প্রতিক্রিয়াও হতাশাজনক। দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাশিতভাবেই ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে। কিন্তু তারা অনুরোধের পাশাপাশি হুমকিও জুড়ে দিয়েছে: শেখ হাসিনাকে তৎক্ষণাৎ প্রত্যর্পণ না করলে ঢাকার পক্ষ থেকে তা ‘অবন্ধুসুলভ’ আচরণ হিসেবে দেখা হবে বলে সতর্ক করেছে।
ভারতের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সংযত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারত বাংলাদেশের ‘মঙ্গলকামী’ এবং আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবুও ঢাকার কর্মকর্তারা নিশ্চয়ই জানেন- ভারত যদি সত্যিই শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয়, তবে প্রকাশ্য বিবৃতি বা কঠোর ভাষার বদলে নীরব, আড়ালের কূটনীতি-ই তাদের সবচেয়ে কার্যকর সম্ভবত একমাত্র পথ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কোনো একজন ব্যক্তিকে ঘিরে ফেলা ভুল। ভারত ও বাংলাদেশকে অবশ্যই পরস্পরের সঙ্গে কাজ করার পথ খুঁজে বের করতে হবে- এমনকি শেখ হাসিনার বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও। তাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে এই ভিন্নমতকে সামলে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতার ওপর।
সাবেক মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী যা বললেন
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। তাদের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় ছিল ‘মঞ্চায়িত নাটক’। একে তারা ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বলে আখ্যায়িত করেছে। আওয়ামী লীগ নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরী হলেন হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী। তিনি এনডিটিভির কাছে অভিযোগ করেন, ক্ষমতাচ্যুত নেত্রীর বিরুদ্ধে দেয়া রায়টি ‘আগেই লিখে রাখা ছিল’ এবং তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যায্য সুযোগ দেয়া হয়নি।
তিনি আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের প্রতি এখনো বাংলাদেশে জনসমর্থন রয়েছে। মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘এটা ছিল এক সাজানো নাটক। তারা জানে এই রায় বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তাই কিছু একটা দেখানোর জন্যই এ রায় দেয়া হয়েছে। রায় আগে থেকেই লেখা ছিল। গত এক মাস আদালতের চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলেন না।’
তিনি আদালতের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাইব্যুনালের আইন পরিবর্তনের কোনও বৈধ ক্ষমতা রাখে না। অথচ তারা এই আইন বদলে আমাদের সবাইকে এই ক্যাঙ্গারু কোর্টে বিচার করছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, হাসিনার বিচার চলাকালে সরকার কোনো মানদণ্ডের প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। এমনকি তার পক্ষে আইনজীবী বেছে নেয়ার সুযোগও দেয়া হয়নি।
চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আমাদের পছন্দের আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারিনি। আমাদের ‘ফেরারি’ ঘোষণা করা হয়েছিল। ঢাকার অনেক সিনিয়র আইনজীবী শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের সবাইকে নিষেধ করা হয়। তাদের আদালত পর্যন্ত যেতে দেয়া হয়নি।’ আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাবেক এই মন্ত্রী দাবি করেন তার দল ‘এখনো জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন অর্জন করে আছে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সাল থেকে আওয়ামী লীগ এটা দেখে আসছে। তখনও আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, আমরা ছাই থেকে উঠে দাঁড়িয়েছি। এবারও তাই করব।’ তিনি বলেন, ‘সরকার যদি সত্যিই জনসমর্থনে আত্মবিশ্বাসী হয়, তাহলে কেন তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না?’
শশী থারুর বললেন ‘উদ্বেগজনক’
ওদিকে ভারতের সিনিয়র কংগ্রেস নেতা শশী থারুর
Your message has been sent
সোমবার বলেন, বাংলাদেশের অপসারিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ঘটনা ‘খুবই উদ্বেগজনক’। গত বছর আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি ভারত পালিয়ে যান। সোমবার বাংলাদেশে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাকে তার অনুপস্থিতিতে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন। এনডিটিভি বলেছে, শশী ঠারুর এ নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে হোক বা বিদেশে, আমি ব্যক্তিগতভাবে মৃত্যুদণ্ডে বিশ্বাস করি না। তাই এই রায় আমাকে বিশেষভাবে হতাশ করেছে। কাউকে অনুপস্থিতিতে বিচার করা- যেখানে তিনি নিজেকে রক্ষা করার বা ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ পান না, তারপর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া…অন্য দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করা আমার জন্য সমুচিত নয়। কিন্তু এটুকু বলতে পারি- এটা কোনোভাবেই ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করি না। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















