Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রায়পুরায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি : 

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও গুলিবিদ্ধ হয়ে এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১০ জন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মেথিকান্দা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চান্দেরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মানিক মিয়া ও সাবেক নারী ইউপি সদস্য কল্পনা বেগম। নিহত মানিক মিয়া চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তারা আবিদ হাসান রুবেলের সমর্থক।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেল ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় রুবেলের চাচা মানিক মিয়া চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বশির উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ সময় হারুন অর রশিদের সমর্থকরা তাকে বশির উদ্দিনের উঠানে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত মানিক মিয়া চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। এ ঘটনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে চান্দেরকান্দির মেথিকান্দায় সংঘর্ষ হয় এবং সেখানে সাবেক ইউপি সদস্য কল্পনা বেগম নিহত হন।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার জানান, আজ শনিবার সকালে রায়পুরার রুবেল গ্রুপ ও বাসেদ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আরও ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশপাশের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

শনিবার ভোরে গোলাবারুদ ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে আবিদ হাসান রুবেলের সমর্থক সাবেক মেম্বার মানিক মিয়ার ও কল্পনা বেগম গুলিবিদ্ধ হয়। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে জোড়া হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে।

পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুইজন নিহত হয়েছে। এই মুহূর্তের এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

রায়পুরায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশের সময় : ১২:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি : 

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও গুলিবিদ্ধ হয়ে এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১০ জন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মেথিকান্দা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চান্দেরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মানিক মিয়া ও সাবেক নারী ইউপি সদস্য কল্পনা বেগম। নিহত মানিক মিয়া চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তারা আবিদ হাসান রুবেলের সমর্থক।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেল ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় রুবেলের চাচা মানিক মিয়া চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বশির উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ সময় হারুন অর রশিদের সমর্থকরা তাকে বশির উদ্দিনের উঠানে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত মানিক মিয়া চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। এ ঘটনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে চান্দেরকান্দির মেথিকান্দায় সংঘর্ষ হয় এবং সেখানে সাবেক ইউপি সদস্য কল্পনা বেগম নিহত হন।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার জানান, আজ শনিবার সকালে রায়পুরার রুবেল গ্রুপ ও বাসেদ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আরও ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশপাশের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

শনিবার ভোরে গোলাবারুদ ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে আবিদ হাসান রুবেলের সমর্থক সাবেক মেম্বার মানিক মিয়ার ও কল্পনা বেগম গুলিবিদ্ধ হয়। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে জোড়া হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে।

পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুইজন নিহত হয়েছে। এই মুহূর্তের এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।