Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাদারফোর্ডের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২১৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শেষ দশ ওভারে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৮৩ রান। শারফেন রাদারফোর্ডের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই দুরত্বটা ২০ বল হাতে রেখেই অতিক্রম করে ফেলল উইন্ডিজ। বাংলাদেশের দেয়া ২৯৫ রানের লক্ষ্য পাঁচ উইকেটে টপকে গিয়ে সেন্ট কিটসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ক্যারিবিয়ানরা।

সেন্ট কিটসে ওয়ানডেতে এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৬৬ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল উইন্ডিজেরই। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ তিন জুটি আর রাদারফোর্ডের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে সেই রেকর্ড নতুন করে লিখল তারা।

লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। স্কোরবোর্ডে ২৭ রান যোগ করতেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। ক্যারিবিয়ান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। এই পেসারের করা অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলটি স্কিড করে ঢুকেছিল। ব্যাটে খেলতে পারেননি কিং। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ১৭ বলে ৯ রান করেন তিনি।
আরেক ওপেনার এভিন লুইসকে ফিরিয়েছেন নাহিদ রানা। এই পেসারের গতিতে পরাস্ত হয়েছেন লুইস। ৩১ বলে ১৬ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন তিনি।

এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে ভালো ভিত গড়ে দেন শাই হোপ ও কেসি কার্টি। ২১ রান করা কার্টিকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন রিশাদ। কার্টি দ্রুত ফিরলেও শতকের পথে এগোচ্ছিলেন হোপ। শেষ পর্যন্ত ৮৬ রানে থেমেছেন তিনি। তাকে ফিরিয়েছেন মিরাজ।

হোপের বিদায়ের পর শারেফানে রাদারফোর্ডের সঙ্গে জুটি গড়েন জাস্টিন গ্রেভস। এই দুজনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। রাদারফোর্ড রীতিমতো ঝড় তোলেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৮০ বলে ১১৩ রান করেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। আর গ্রেভস অপরাজিত ছিলেন ৪১ রান করে।

বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদ রানা, তানজিম সাকিব, মেহেদি মিরাজ, রিশাদ হোসেন ও সৌম্য সরকার।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ তামিম, মিরাজ, মাহমুদউল্লাহর তিন ফিফটির সাথে জাকের আলী অনিকের ৪৮ রানের ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান তোলে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আগে ব্যাটিং করে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ, সব মিলিয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

গ্লোবাল সুপার লিগে ব্যাট হাতে পারফর্ম করে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে আসা সৌম্য সরকার আজও দারুণ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। আগের বলেই দারুণ এক কভার ড্রাইভে চার মেরেছিলেন আলজারি জোসেফকে। কিন্তু পরের বলেই অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি। ১৮ বলে ৩ চারে করেন ১৯ রান। তিনে নামা লিটন দাসও একইভাবে খোঁচা দিয়ে আউট হন। ৭ বলে ২ রান করেন তিনি।

দ্রুত ২ উইকেট পড়লেও তানজিদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে সেই চাপ কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। রানের চাকা সচল হয় মিরাজের সাথে ৯৭ বলে ৭৯ রানের জুটিতে। এই জুটির পথে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির দেখা পান তানজিদ। আউট হওয়ার আগে ৬০ বলে ৬০ রানের ইনিংসটি তিনি সাজান ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায়। পরের উইকেট জুটিতে রান তোলার দায়িত্ব নেন মিরাজ আর এক বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা আফিফ হোসেন। চতুর্থ উইকেটে দুজন তোলেন ৫৪ রান। শেফার্ডের বলে জেডেন সিলসের হাতে আফিফ ক্যাচ দিলে ভাঙে সেই জুটি।

দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলা মিরাজ ব্যক্তিগত ৩১ রানের মধ্যেই জীবন পান দুবার। দুবারই তার ক্যাচ ফেলেন কেসি কার্টি। অবশ্য পঞ্চম ওয়ানডে ফিফটির দেখা পাওয়া মিরাজও এরপর আর টানতে পারেননি ইনিংস। সিলসের লাফিয়ে ওঠে বলে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন তিনি।

এরপর বাকিটা পথ মাহমুদউল্লাহ ও জাকেরে ব্যাটে এগোয় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৪ বলে ৯৬ রান যোগ করেন তারা, বাংলাদেশের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়ার আগে ৪০ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪৮ রান করেন জাকের। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকা মাহমুদউল্লাহ করেন ৪৪ বলে ৫০ রান।

 

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

রাদারফোর্ডের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

শেষ দশ ওভারে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৮৩ রান। শারফেন রাদারফোর্ডের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই দুরত্বটা ২০ বল হাতে রেখেই অতিক্রম করে ফেলল উইন্ডিজ। বাংলাদেশের দেয়া ২৯৫ রানের লক্ষ্য পাঁচ উইকেটে টপকে গিয়ে সেন্ট কিটসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ক্যারিবিয়ানরা।

সেন্ট কিটসে ওয়ানডেতে এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৬৬ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল উইন্ডিজেরই। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ তিন জুটি আর রাদারফোর্ডের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে সেই রেকর্ড নতুন করে লিখল তারা।

লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। স্কোরবোর্ডে ২৭ রান যোগ করতেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। ক্যারিবিয়ান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। এই পেসারের করা অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলটি স্কিড করে ঢুকেছিল। ব্যাটে খেলতে পারেননি কিং। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ১৭ বলে ৯ রান করেন তিনি।
আরেক ওপেনার এভিন লুইসকে ফিরিয়েছেন নাহিদ রানা। এই পেসারের গতিতে পরাস্ত হয়েছেন লুইস। ৩১ বলে ১৬ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন তিনি।

এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে ভালো ভিত গড়ে দেন শাই হোপ ও কেসি কার্টি। ২১ রান করা কার্টিকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন রিশাদ। কার্টি দ্রুত ফিরলেও শতকের পথে এগোচ্ছিলেন হোপ। শেষ পর্যন্ত ৮৬ রানে থেমেছেন তিনি। তাকে ফিরিয়েছেন মিরাজ।

হোপের বিদায়ের পর শারেফানে রাদারফোর্ডের সঙ্গে জুটি গড়েন জাস্টিন গ্রেভস। এই দুজনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। রাদারফোর্ড রীতিমতো ঝড় তোলেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৮০ বলে ১১৩ রান করেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। আর গ্রেভস অপরাজিত ছিলেন ৪১ রান করে।

বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদ রানা, তানজিম সাকিব, মেহেদি মিরাজ, রিশাদ হোসেন ও সৌম্য সরকার।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ তামিম, মিরাজ, মাহমুদউল্লাহর তিন ফিফটির সাথে জাকের আলী অনিকের ৪৮ রানের ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান তোলে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে আগে ব্যাটিং করে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ, সব মিলিয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

গ্লোবাল সুপার লিগে ব্যাট হাতে পারফর্ম করে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে আসা সৌম্য সরকার আজও দারুণ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। আগের বলেই দারুণ এক কভার ড্রাইভে চার মেরেছিলেন আলজারি জোসেফকে। কিন্তু পরের বলেই অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি। ১৮ বলে ৩ চারে করেন ১৯ রান। তিনে নামা লিটন দাসও একইভাবে খোঁচা দিয়ে আউট হন। ৭ বলে ২ রান করেন তিনি।

দ্রুত ২ উইকেট পড়লেও তানজিদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে সেই চাপ কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। রানের চাকা সচল হয় মিরাজের সাথে ৯৭ বলে ৭৯ রানের জুটিতে। এই জুটির পথে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির দেখা পান তানজিদ। আউট হওয়ার আগে ৬০ বলে ৬০ রানের ইনিংসটি তিনি সাজান ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায়। পরের উইকেট জুটিতে রান তোলার দায়িত্ব নেন মিরাজ আর এক বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা আফিফ হোসেন। চতুর্থ উইকেটে দুজন তোলেন ৫৪ রান। শেফার্ডের বলে জেডেন সিলসের হাতে আফিফ ক্যাচ দিলে ভাঙে সেই জুটি।

দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলা মিরাজ ব্যক্তিগত ৩১ রানের মধ্যেই জীবন পান দুবার। দুবারই তার ক্যাচ ফেলেন কেসি কার্টি। অবশ্য পঞ্চম ওয়ানডে ফিফটির দেখা পাওয়া মিরাজও এরপর আর টানতে পারেননি ইনিংস। সিলসের লাফিয়ে ওঠে বলে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন তিনি।

এরপর বাকিটা পথ মাহমুদউল্লাহ ও জাকেরে ব্যাটে এগোয় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৪ বলে ৯৬ রান যোগ করেন তারা, বাংলাদেশের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়ার আগে ৪০ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪৮ রান করেন জাকের। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকা মাহমুদউল্লাহ করেন ৪৪ বলে ৫০ রান।