Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ফিতরা ৯৫ টাকা

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

রাজশাহীতে এ বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা পর্যন্ত ফিতরা দেওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরামের এক বৈঠকে এ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

ফিতরা নির্ধারণের উদ্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহঃ) মাদরাসার অফিস কক্ষে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাওলানা শেখ তৈয়বুর রহমান নিজামী।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল খালেক, মাওলানা আবদুল গনী, ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমদ, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, মুফতি আজমল হোসাইন, মাওলানা মিনহাজ উদ্দীন, মুফতি জাকারিয়া হাবীবী, মাওলানা আবদুস সামাদসহ বিভিন্ন মাদরাসা ও মসজিদের অর্ধশতাধিক ইমাম, মুফতি, মুহাদ্দিস এবং ওলামায়ে কেরাম।

বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের হালনাগাদ বাজারদর পর্যালোচনা করে রাজশাহী অঞ্চলের জন্য ফিতরা নির্ধারণ করা হয় সর্বনিম্ন ৯৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা।

বাজার সরেজমিন পরিদর্শন করে গমের আটা ৫৭ টাকা কেজি দরে ১.৬৫০ গ্রাম হিসাবে ৯৪.০৫ বা ৯৫ টাকা, যব ৭০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ২৩১ টাকা, মধ্যম মানের খেজুর ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ১ হাজার ৯৮০ টাকা, কিশমিশ ৫৪০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ১ হাজার ৭৮২ টাকা, পনির ৮০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসাবে ২ হাজর ৬৪০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

বৈঠকে চলতি বছর রমজানে যাকাতের নেসাব নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়। শেষে পুরাতন রূপার প্রতি ভরি ১ হাজার ২০০ টাকা দরে এ বছরের যাকাতের নেসাব নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার টাকা (৫২.৫০ ভরি)। ওই বৈঠকে সর্বনিম্ন হারে ফিতরা না দিয়ে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যগুলোর যে কোনো একটি পণ্যের মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ফিতরা ৯৫ টাকা

প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : 

রাজশাহীতে এ বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা পর্যন্ত ফিতরা দেওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীর সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরামের এক বৈঠকে এ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

ফিতরা নির্ধারণের উদ্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহঃ) মাদরাসার অফিস কক্ষে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাওলানা শেখ তৈয়বুর রহমান নিজামী।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল খালেক, মাওলানা আবদুল গনী, ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমদ, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, মুফতি আজমল হোসাইন, মাওলানা মিনহাজ উদ্দীন, মুফতি জাকারিয়া হাবীবী, মাওলানা আবদুস সামাদসহ বিভিন্ন মাদরাসা ও মসজিদের অর্ধশতাধিক ইমাম, মুফতি, মুহাদ্দিস এবং ওলামায়ে কেরাম।

বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের হালনাগাদ বাজারদর পর্যালোচনা করে রাজশাহী অঞ্চলের জন্য ফিতরা নির্ধারণ করা হয় সর্বনিম্ন ৯৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা।

বাজার সরেজমিন পরিদর্শন করে গমের আটা ৫৭ টাকা কেজি দরে ১.৬৫০ গ্রাম হিসাবে ৯৪.০৫ বা ৯৫ টাকা, যব ৭০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ২৩১ টাকা, মধ্যম মানের খেজুর ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ১ হাজার ৯৮০ টাকা, কিশমিশ ৫৪০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ১ হাজার ৭৮২ টাকা, পনির ৮০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসাবে ২ হাজর ৬৪০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

বৈঠকে চলতি বছর রমজানে যাকাতের নেসাব নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়। শেষে পুরাতন রূপার প্রতি ভরি ১ হাজার ২০০ টাকা দরে এ বছরের যাকাতের নেসাব নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার টাকা (৫২.৫০ ভরি)। ওই বৈঠকে সর্বনিম্ন হারে ফিতরা না দিয়ে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যগুলোর যে কোনো একটি পণ্যের মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।