Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে বৃদ্ধাকে হত্যার মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি : 

রাজবাড়ীর পাংশায় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতে বৃদ্ধাকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস (২৫) পাংশা উপজেলার সরিষা গ্রামের সুজিৎ বিশ্বাসের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) উজির আলী এই তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতে বাড়িতে ঢুকে আশালতা দাসকে শ্বাসরোধে ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস। পরদিন নিহতের জামাতা স্বপন কুমার বিশ্বাস অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে পাংশা থানায় মামলা করেন। পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উজির আলী বলেন, আশালতা দাসের দুই মেয়ে। অনেক আগেই তাঁদের বিয়ে হয়েছে। তাই বাড়িতে বৃদ্ধা একাই থাকতেন। তবে তাঁর জায়গা-জমি দেখাশোনার জন্য একজন লোক ছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির কাজের লোক ঘরের বারান্দায় আশালতা দাসের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।

আইনজীবী উজির আলী আরও বলেন, ‘মূলত আসামি স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের জন্যই এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। এ রায়ের মধ্য দিয়ে একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

রাজবাড়ীতে বৃদ্ধাকে হত্যার মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৮:০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি : 

রাজবাড়ীর পাংশায় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতে বৃদ্ধাকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস (২৫) পাংশা উপজেলার সরিষা গ্রামের সুজিৎ বিশ্বাসের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) উজির আলী এই তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতে বাড়িতে ঢুকে আশালতা দাসকে শ্বাসরোধে ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস। পরদিন নিহতের জামাতা স্বপন কুমার বিশ্বাস অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে পাংশা থানায় মামলা করেন। পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উজির আলী বলেন, আশালতা দাসের দুই মেয়ে। অনেক আগেই তাঁদের বিয়ে হয়েছে। তাই বাড়িতে বৃদ্ধা একাই থাকতেন। তবে তাঁর জায়গা-জমি দেখাশোনার জন্য একজন লোক ছিল। ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির কাজের লোক ঘরের বারান্দায় আশালতা দাসের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।

আইনজীবী উজির আলী আরও বলেন, ‘মূলত আসামি স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের জন্যই এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। এ রায়ের মধ্য দিয়ে একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’